ধেয়ে আসছে সৌরঝড়
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বড় ধরনের সৌরঝড়। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে পৃথিবীতে ঝড়টির আঘাত হানার কথা। আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, গত পাঁচ বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় সৌরঝড়।
বিজ্ঞানীরা হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, এই সৌরঝড়ের প্রভাবে বিদ্যুৎ-ব্যবস্থা, ভূ-উপগ্রহের পরিভ্রমণ ও বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
এই সৌরঝড়ের সৃষ্টি গত রোববার। মঙ্গলবার শক্তিশালী সৌরতরঙ্গ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পৌঁছায়। দ্বিতীয় দফায় গত বুধবার সৌরবিকিরণ পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রে আঘাত হানে। ঝড়টি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতে থাকায় এর গতি ক্রমেই বেড়ে চলছে। গতকাল গ্রিনিচ মান সময় অনুযায়ী বিকেল পাঁচটা ২৫ মিনিটের দিকে ঘণ্টায় ৪০ লাখ মাইল বেগে প্লাজমা মেঘ আঘাত হানার কথা পৃথিবীতে। আজ সকাল পর্যন্ত তা স্থায়ী হতে পারে। এ ধরনের ঝড়ের আঘাতে সাধারণত মানুষের জানমালের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয় না। তবে প্রযুক্তির ক্ষতি হয়। এর আগে ১৯৭২ সালে একটি সৌরঝড়ের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে দূরপাল্লার টেলিযোগাযোগব্যবস্থা বিকল হয়ে পড়ে। ১৯৮৯ সালে কানাডার কিউবেক প্রদেশের একটি পাওয়ার গ্রিডে আঘাত হানলে অন্তত ৬০ লাখ মানুষ বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এই সৌরঝড় সূর্যের ১১ বছরের চক্রের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) বিজ্ঞানী ডেভিড হাথওয়ে বলেছেন, সৌর ‘কলঙ্ক’ থেকে এ ধরনের ঝড় ওঠে। এরপর পরমাণুর চেয়ে ক্ষুদ্র কণাগুলো দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। পরে কয়েক দিনের মধ্যে তা পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে। এ ধরনের সৌরঝড়ের আঘাতে রেডিও ও তাপবিকিরণ বিঘ্নিত হয়।
ন্যাশনাল ওসেনিক অ্যান্ড অ্যাটমসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনওএএ) মহাকাশ আবহাওয়া বিজ্ঞানী জোসেফ কানচ গত বুধবার বলেছেন, মহাকাশের আবহাওয়া গত ২৪ ঘণ্টায় মজার রূপ লাভ করেছে।
সৌরঝড়ের প্রভাব সাধারণত মেরু অঞ্চলগুলোতে বেশি দেখা যায়। তাই মেরু অঞ্চলে বিমান চলাচলে সতর্ক থাকার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এবারের ঝড়ের প্রভাবে উত্তর মেরুতে বর্ণিল ও অতি উজ্জ্বল মেরুপ্রভা দেখা যেতে পারে। বিজ্ঞানী কানচ বলেন, উত্তর আমেরিকার জন্য গতকাল সন্ধ্যায় মেরুপ্রভা দেখা যাওয়ার কথা। কিন্তু পূর্ণ চাঁদের আলোয় এ ধরনের প্রভা অনেকটা ম্লান হয়ে যায়। তিনি বলেন, এবারের সৌরঝড়ের প্রভাবে পৃথিবীর প্রযুক্তিকে তিনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে—চৌম্বকক্ষেত্র, রেডিও ও তাপবিকিরণ বা রেডিয়েশন নির্গমনের মাধ্যমে। এএফপি।
এই সৌরঝড়ের সৃষ্টি গত রোববার। মঙ্গলবার শক্তিশালী সৌরতরঙ্গ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পৌঁছায়। দ্বিতীয় দফায় গত বুধবার সৌরবিকিরণ পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রে আঘাত হানে। ঝড়টি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতে থাকায় এর গতি ক্রমেই বেড়ে চলছে। গতকাল গ্রিনিচ মান সময় অনুযায়ী বিকেল পাঁচটা ২৫ মিনিটের দিকে ঘণ্টায় ৪০ লাখ মাইল বেগে প্লাজমা মেঘ আঘাত হানার কথা পৃথিবীতে। আজ সকাল পর্যন্ত তা স্থায়ী হতে পারে। এ ধরনের ঝড়ের আঘাতে সাধারণত মানুষের জানমালের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয় না। তবে প্রযুক্তির ক্ষতি হয়। এর আগে ১৯৭২ সালে একটি সৌরঝড়ের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে দূরপাল্লার টেলিযোগাযোগব্যবস্থা বিকল হয়ে পড়ে। ১৯৮৯ সালে কানাডার কিউবেক প্রদেশের একটি পাওয়ার গ্রিডে আঘাত হানলে অন্তত ৬০ লাখ মানুষ বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এই সৌরঝড় সূর্যের ১১ বছরের চক্রের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) বিজ্ঞানী ডেভিড হাথওয়ে বলেছেন, সৌর ‘কলঙ্ক’ থেকে এ ধরনের ঝড় ওঠে। এরপর পরমাণুর চেয়ে ক্ষুদ্র কণাগুলো দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। পরে কয়েক দিনের মধ্যে তা পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে। এ ধরনের সৌরঝড়ের আঘাতে রেডিও ও তাপবিকিরণ বিঘ্নিত হয়।
ন্যাশনাল ওসেনিক অ্যান্ড অ্যাটমসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনওএএ) মহাকাশ আবহাওয়া বিজ্ঞানী জোসেফ কানচ গত বুধবার বলেছেন, মহাকাশের আবহাওয়া গত ২৪ ঘণ্টায় মজার রূপ লাভ করেছে।
সৌরঝড়ের প্রভাব সাধারণত মেরু অঞ্চলগুলোতে বেশি দেখা যায়। তাই মেরু অঞ্চলে বিমান চলাচলে সতর্ক থাকার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এবারের ঝড়ের প্রভাবে উত্তর মেরুতে বর্ণিল ও অতি উজ্জ্বল মেরুপ্রভা দেখা যেতে পারে। বিজ্ঞানী কানচ বলেন, উত্তর আমেরিকার জন্য গতকাল সন্ধ্যায় মেরুপ্রভা দেখা যাওয়ার কথা। কিন্তু পূর্ণ চাঁদের আলোয় এ ধরনের প্রভা অনেকটা ম্লান হয়ে যায়। তিনি বলেন, এবারের সৌরঝড়ের প্রভাবে পৃথিবীর প্রযুক্তিকে তিনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে—চৌম্বকক্ষেত্র, রেডিও ও তাপবিকিরণ বা রেডিয়েশন নির্গমনের মাধ্যমে। এএফপি।
No comments