জন্মদিন-আশিতেও দীপ্ত আত্মানুসন্ধান by আশীষ-উর-রহমান
আজ ৮০ বছর পূর্ণ হচ্ছে তাঁর। তবে ‘আসি’ বলে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন না। বরং ৮০-তেও নানান রঙের বিভায় উদ্ভাসিত তাঁর অন্তর। সৃজনশীলতা ও কর্মোদ্দীপনায় এখনো তারুণ্যের দীপ্তি। মনেই হয় না, ৮০ বছর হয়ে গেল দেশের বরেণ্য শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর।
শিল্পী নিজেও গতকাল বৃহস্পতিবার সে কথাই বলছিলেন, ‘বেঁচে থাকলে স্বাভাবিক নিয়মেই বয়স হবে। ৮০ হলো। হয়তো ৮৫ হবে, ৯০ও হতে পারে। তবে বয়স যা-ই হোক, যত দিন বাঁচি, কাজ করে যেতে চাই। জীবনের কাছে এটাই প্রত্যাশা।’
সেই কাজ নিয়েই শিল্পীর জন্মদিনের উৎসব হবে আজ। তাঁর ৮০টি সাম্প্রতিক কাজ নিয়ে এই প্রদর্শনীর নাম ‘আত্মানুসন্ধান’।
দীর্ঘ ৬০ বছরের শিল্পচর্চায় কাইয়ুম চৌধুরী আমাদের চারুকলার ভুবনকে সমৃদ্ধ করেছেন নিরলস সৃজনশীল কর্মপ্রবাহে। বিচিত্র তাঁর কাজের সম্ভার। সুকুমার শিল্পকলার সঙ্গে আছে ব্যবহারিক শিল্পকর্ম। চিত্রকলায় বাংলার নিসর্গ, ঐতিহ্যবাহী লোকসংস্কৃতির উপকরণ তাঁর নিজস্ব নান্দনিক বোধে জারিত হয়ে উপস্থাপিত হয়েছে আধুনিক আঙ্গিকে। বিদগ্ধজনেরা অনেকে বলেছেন, কবিতায় যেমন জীবনানন্দ দাশ বাংলার নিসর্গ ও ঐতিহ্যকে আধুনিক কলাকৃতির অভিব্যক্তিতে প্রকাশ করেছিলেন, শিল্পকলার ক্ষেত্রে কাইয়ুম চৌধুরীও সেই কাজটিই করেছেন। অধিকন্তু তিনি তাঁর কর্মপ্রবাহকে ব্যবহারিক শিল্পকলার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত করে এই জনপদে শিল্পরুচি সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। বইয়ের প্রচ্ছদ, বিজ্ঞাপন, নানা প্রতিষ্ঠানের লোগো এবং বিশেষত বাংলা অক্ষরকে তিনি এক অনন্য সুষমায় উপস্থাপন করেছেন।
কাইয়ুম চৌধুরী এই ছয় দশকের শিল্পসাধনায় নিজের কাজকে নিরন্তর নিরীক্ষা ও নতুনত্বের মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেছেন, ‘আমি কখনোই একটি নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ হয়ে থাকতে চাইনি। সংস্কৃতির উপাদান, প্রকৃতির সৌন্দর্য, আমার ভাবনা—এসব সংমিশ্রণ করে নানা আঙ্গিকে তুলে ধরার চেষ্টা করে গেছি। জীবনের যা কিছু ভালো ও সুন্দর, যা দেখে বাঁচতে ইচ্ছে করে, তাকেই আমি দেখাতে চেষ্টা করেছি। যেন আমার ছবি যাঁরা দেখবেন, তাঁরাও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য অনুপ্রাণিত বোধ করেন।’
সেই সুন্দর ভুবনের দ্বার উন্মোচিত হবে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টায়। ধানমন্ডির বেঙ্গল গ্যালারিতে ‘আত্মানুসন্ধান’ নামের এই প্রদর্শনীর দ্বারোদ্ঘাটন করবেন শিল্পীর বন্ধু শিল্পী মুর্তজা বশীর, লেখক সৈয়দ শামসুল হক, শিক্ষাবিদ আনিসুজ্জামান ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। শিল্পীর স্বজন, সুহূদ, অনুরাগীরা তাঁকে জন্মদিনের প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাবেন।
‘আত্মানুসন্ধান’ প্রদর্শনী চলবে ২২ মার্চ অবধি। খোলা থাকবে প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত।
এবারের প্রদর্শনীতে দর্শকেরা নতুন আঙ্গিকে পাবেন তাঁদের প্রিয় শিল্পীকে। অ্যাক্রিলিক, ছাপচিত্র, প্যাস্টেল, মিশ্রমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমের কাজ রয়েছে এতে। চিত্রপটে অনেক স্পেস ছেড়ে কাজ করেছেন, আকার-আকৃতির বিন্যাসেও আছে নিরীক্ষা। পাখি, নৌকা, মাছ, ফুল-পাতায় ভরা শাখা, নদীর রেখা, তার সঙ্গে মানব-মানবীর আদল, জ্যামিতিক ও লোকজ অঙ্কনরীতির নকশা—এসবের মধ্য দিয়েই অতিচেনা কাইয়ুম চৌধুরীকে পাওয়া যাবে নবব্যঞ্জনায়। সেই সঙ্গে মাঠের সবুজ, আকাশের নীল, শিমুল-পলাশের রক্তিম উচ্ছ্বাস, সূর্যের দীপ্তি, হাওয়ার চঞ্চলতা, নদীস্রোতের গতিধারা তিনি রেখায়-আঁচড়ে, তুলির টানে মিলিয়ে দিয়েছেন চিরন্তন মানবিক অনুভূতির সঙ্গে। এর মধ্য দিয়েই অনুসন্ধান করেছেন মানবমুক্তির সংগ্রাম, সমাজ-প্রগতির স্বরূপ।
প্রদর্শনী উপলক্ষে গতকাল দুপুরে বেঙ্গল গ্যালারিতে সংবাদ সম্মেলন ও প্রেস প্রিভিউয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে শিল্পীর কাজ নিয়ে তাঁর ছাত্র ও সহকর্মী শিল্পী রফিকুন নবী বলেন, ‘এই বয়সেও তিনি যেমন সতেজ, উদ্দীপনাময় এবং সৃজনশীল রয়েছেন, তা তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা দেয়। এমন এক স্বকীয়তা তিনি অর্জন করেছেন, যে মাধ্যমেই কাজ করেন, যত নিরীক্ষাই করেন, কাজ দেখেই তাঁকে চেনা যায়। যেমন: পিকাসো নানা মাধ্যমে, নানা ধরনের কাজ করলেও কাজ দেখেই তাঁকে চেনা যায়। এই স্বকীয়তা অর্জন করা বড় মাপের শিল্পীর বৈশিষ্ট্য। কাইয়ুম চৌধুরী তা অর্জন করেছেন।’
প্রাবন্ধিক মফিদুল হক বলেন, ‘শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী ব্যক্তিগতভাবে নেপথ্যচারী মানুষ। তা সত্ত্বেও তিনি ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বাঙালির সব আন্দোলন-সংগ্রামে তাঁর শিল্পীচেতনার ছাপ রেখে গেছেন। পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট, পুস্তিকার অলংকরণসহ বৈচিত্র্যময় তাঁর কাজ। এই বহুমাত্রিক শিল্পচর্চার ভেতর দিয়ে তিনি জাতির অন্তরাত্মাকে স্পর্শ করেছেন। তাঁর জন্মদিনের এই প্রদর্শনীটি এ কারণেই বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল মনসুর বলেন, ‘আমাদের দেশে রাজনৈতিক স্বাধিকারের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক স্বাধিকারের আন্দোলনে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে শিল্পের যোগসূত্র সৃষ্টি, বিশেষত মুদ্রণশিল্পের আধুনিকায়নে পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে তিনি অগ্রগণ্য ভূমিকা রেখেছেন। এই বয়সেও যেভাবে তিনি সৃজনশীল রয়েছেন, তা শিক্ষণীয় দৃষ্টান্ত।’ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক সারোয়ার জাহান; সঞ্চালনা করেন বেঙ্গল গ্যালারির পরিচালক সুবীর চৌধুরী।
আর শিল্পীর কী অনুভূতি? গ্যালারির চার দেয়ালে আপন সৃজনসম্ভার। রঙে-রেখায়, আকৃতি-অবয়বে, স্বদেশ-স্বজাতির অন্তরাত্মার উদ্ভাসন। সেদিকে তাকিয়ে বললেন, ‘যা করেছি, প্রাপ্তি তার থেকে অনেক বেশি। এই প্রাপ্তি মানুষের ভালোবাসা। যাবার বেলায় এটা নিয়েই যেতে চাই।’
এই তো, এর চেয়ে আর কী লাগে মানুষের! এ প্রত্যাশা পূরণ হোক—জন্মদিনে তাঁর দীর্ঘ পরমায়ু কামনার সঙ্গে এই প্রার্থনাই থাকবে প্রিয় শিল্পীর জন্য।
সেই কাজ নিয়েই শিল্পীর জন্মদিনের উৎসব হবে আজ। তাঁর ৮০টি সাম্প্রতিক কাজ নিয়ে এই প্রদর্শনীর নাম ‘আত্মানুসন্ধান’।
দীর্ঘ ৬০ বছরের শিল্পচর্চায় কাইয়ুম চৌধুরী আমাদের চারুকলার ভুবনকে সমৃদ্ধ করেছেন নিরলস সৃজনশীল কর্মপ্রবাহে। বিচিত্র তাঁর কাজের সম্ভার। সুকুমার শিল্পকলার সঙ্গে আছে ব্যবহারিক শিল্পকর্ম। চিত্রকলায় বাংলার নিসর্গ, ঐতিহ্যবাহী লোকসংস্কৃতির উপকরণ তাঁর নিজস্ব নান্দনিক বোধে জারিত হয়ে উপস্থাপিত হয়েছে আধুনিক আঙ্গিকে। বিদগ্ধজনেরা অনেকে বলেছেন, কবিতায় যেমন জীবনানন্দ দাশ বাংলার নিসর্গ ও ঐতিহ্যকে আধুনিক কলাকৃতির অভিব্যক্তিতে প্রকাশ করেছিলেন, শিল্পকলার ক্ষেত্রে কাইয়ুম চৌধুরীও সেই কাজটিই করেছেন। অধিকন্তু তিনি তাঁর কর্মপ্রবাহকে ব্যবহারিক শিল্পকলার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত করে এই জনপদে শিল্পরুচি সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। বইয়ের প্রচ্ছদ, বিজ্ঞাপন, নানা প্রতিষ্ঠানের লোগো এবং বিশেষত বাংলা অক্ষরকে তিনি এক অনন্য সুষমায় উপস্থাপন করেছেন।
কাইয়ুম চৌধুরী এই ছয় দশকের শিল্পসাধনায় নিজের কাজকে নিরন্তর নিরীক্ষা ও নতুনত্বের মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেছেন, ‘আমি কখনোই একটি নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ হয়ে থাকতে চাইনি। সংস্কৃতির উপাদান, প্রকৃতির সৌন্দর্য, আমার ভাবনা—এসব সংমিশ্রণ করে নানা আঙ্গিকে তুলে ধরার চেষ্টা করে গেছি। জীবনের যা কিছু ভালো ও সুন্দর, যা দেখে বাঁচতে ইচ্ছে করে, তাকেই আমি দেখাতে চেষ্টা করেছি। যেন আমার ছবি যাঁরা দেখবেন, তাঁরাও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য অনুপ্রাণিত বোধ করেন।’
সেই সুন্দর ভুবনের দ্বার উন্মোচিত হবে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টায়। ধানমন্ডির বেঙ্গল গ্যালারিতে ‘আত্মানুসন্ধান’ নামের এই প্রদর্শনীর দ্বারোদ্ঘাটন করবেন শিল্পীর বন্ধু শিল্পী মুর্তজা বশীর, লেখক সৈয়দ শামসুল হক, শিক্ষাবিদ আনিসুজ্জামান ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। শিল্পীর স্বজন, সুহূদ, অনুরাগীরা তাঁকে জন্মদিনের প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাবেন।
‘আত্মানুসন্ধান’ প্রদর্শনী চলবে ২২ মার্চ অবধি। খোলা থাকবে প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত।
এবারের প্রদর্শনীতে দর্শকেরা নতুন আঙ্গিকে পাবেন তাঁদের প্রিয় শিল্পীকে। অ্যাক্রিলিক, ছাপচিত্র, প্যাস্টেল, মিশ্রমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমের কাজ রয়েছে এতে। চিত্রপটে অনেক স্পেস ছেড়ে কাজ করেছেন, আকার-আকৃতির বিন্যাসেও আছে নিরীক্ষা। পাখি, নৌকা, মাছ, ফুল-পাতায় ভরা শাখা, নদীর রেখা, তার সঙ্গে মানব-মানবীর আদল, জ্যামিতিক ও লোকজ অঙ্কনরীতির নকশা—এসবের মধ্য দিয়েই অতিচেনা কাইয়ুম চৌধুরীকে পাওয়া যাবে নবব্যঞ্জনায়। সেই সঙ্গে মাঠের সবুজ, আকাশের নীল, শিমুল-পলাশের রক্তিম উচ্ছ্বাস, সূর্যের দীপ্তি, হাওয়ার চঞ্চলতা, নদীস্রোতের গতিধারা তিনি রেখায়-আঁচড়ে, তুলির টানে মিলিয়ে দিয়েছেন চিরন্তন মানবিক অনুভূতির সঙ্গে। এর মধ্য দিয়েই অনুসন্ধান করেছেন মানবমুক্তির সংগ্রাম, সমাজ-প্রগতির স্বরূপ।
প্রদর্শনী উপলক্ষে গতকাল দুপুরে বেঙ্গল গ্যালারিতে সংবাদ সম্মেলন ও প্রেস প্রিভিউয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে শিল্পীর কাজ নিয়ে তাঁর ছাত্র ও সহকর্মী শিল্পী রফিকুন নবী বলেন, ‘এই বয়সেও তিনি যেমন সতেজ, উদ্দীপনাময় এবং সৃজনশীল রয়েছেন, তা তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা দেয়। এমন এক স্বকীয়তা তিনি অর্জন করেছেন, যে মাধ্যমেই কাজ করেন, যত নিরীক্ষাই করেন, কাজ দেখেই তাঁকে চেনা যায়। যেমন: পিকাসো নানা মাধ্যমে, নানা ধরনের কাজ করলেও কাজ দেখেই তাঁকে চেনা যায়। এই স্বকীয়তা অর্জন করা বড় মাপের শিল্পীর বৈশিষ্ট্য। কাইয়ুম চৌধুরী তা অর্জন করেছেন।’
প্রাবন্ধিক মফিদুল হক বলেন, ‘শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী ব্যক্তিগতভাবে নেপথ্যচারী মানুষ। তা সত্ত্বেও তিনি ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বাঙালির সব আন্দোলন-সংগ্রামে তাঁর শিল্পীচেতনার ছাপ রেখে গেছেন। পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট, পুস্তিকার অলংকরণসহ বৈচিত্র্যময় তাঁর কাজ। এই বহুমাত্রিক শিল্পচর্চার ভেতর দিয়ে তিনি জাতির অন্তরাত্মাকে স্পর্শ করেছেন। তাঁর জন্মদিনের এই প্রদর্শনীটি এ কারণেই বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল মনসুর বলেন, ‘আমাদের দেশে রাজনৈতিক স্বাধিকারের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক স্বাধিকারের আন্দোলনে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে শিল্পের যোগসূত্র সৃষ্টি, বিশেষত মুদ্রণশিল্পের আধুনিকায়নে পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে তিনি অগ্রগণ্য ভূমিকা রেখেছেন। এই বয়সেও যেভাবে তিনি সৃজনশীল রয়েছেন, তা শিক্ষণীয় দৃষ্টান্ত।’ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক সারোয়ার জাহান; সঞ্চালনা করেন বেঙ্গল গ্যালারির পরিচালক সুবীর চৌধুরী।
আর শিল্পীর কী অনুভূতি? গ্যালারির চার দেয়ালে আপন সৃজনসম্ভার। রঙে-রেখায়, আকৃতি-অবয়বে, স্বদেশ-স্বজাতির অন্তরাত্মার উদ্ভাসন। সেদিকে তাকিয়ে বললেন, ‘যা করেছি, প্রাপ্তি তার থেকে অনেক বেশি। এই প্রাপ্তি মানুষের ভালোবাসা। যাবার বেলায় এটা নিয়েই যেতে চাই।’
এই তো, এর চেয়ে আর কী লাগে মানুষের! এ প্রত্যাশা পূরণ হোক—জন্মদিনে তাঁর দীর্ঘ পরমায়ু কামনার সঙ্গে এই প্রার্থনাই থাকবে প্রিয় শিল্পীর জন্য।
No comments