সাক্ষাৎকার: আশা ভোঁসলে-ঢাকায় শেষ গান করছি by মেহেদী মাসুদ

‘আমি তো বাংলাদেশের বউ, অর্ধেক বাঙালি। আমার শ্বশুর শচীন দেববর্মনের বাড়ি কুমিল্লায়। শাশুড়ি মীরা দেববর্মন ঢাকার মেয়ে। পঞ্চমের (স্বামী রাহুল দেববর্মন) কাছে অবশ্য বাংলাদেশের কথা খুব কমই শুনেছি। তবে আমার শ্বশুরের কাছে বসলে মনে হতো, তাঁর হূদয়টা পড়ে আছে বাংলাদেশে।’


গড়গড় করে বলে গেলেন আশা ভোঁসলে। উপমহাদেশের প্রখ্যাত এই সংগীতশিল্পী বুধবার রাতে ওয়েস্টিন হোটেলে তাঁর কক্ষে প্রথম আলোকে একান্ত সাক্ষাৎকার দেন। বললেন, ‘বাংলাদেশে এবারই শেষ গান করছি। গান গাওয়ার জন্য আর আসা হবে না।’
গত বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকায় এসেছেন আশা ভোঁসলে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয়েছে আশার কনসার্ট ‘ইটারনাল আশা, লাইভ ইন ঢাকা’।
আশা নিজে খুব ভালো রান্না করেন এবং অন্যকে খাওয়াতে পছন্দ করেন। নানা মাধ্যমে জানা এ প্রসঙ্গ টানতেই বললেন, ‘যদি শিল্পী না হতাম, তাহলে বাবুর্চি হতাম। আমি আর কিছু জানি না। পড়ালেখাও সে রকম করা হয়নি।’
খাবার বিষয়ে তথ্যও কম দিলেন না। তবে বেশি পছন্দ লক্ষেৗর খাবার। বাঙালি খাবার? ‘সরষে বাটা আর বড়ি দিয়ে পারশে মাছ রান্না আমার দারুণ পছন্দ। ইলিশ মাছের কড়া ভাজাটা বেশি ভালো লাগে। সঙ্গে কাঁচা মরিচ দিয়ে ভাত খেতে দারুণ! আমি পদ্মার ইলিশের ভক্ত। অপেক্ষায় থাকি, কখন কলকাতায় যায়। আমি সেখান থেকে তা মুম্বাই নেওয়ার ব্যবস্থা করি। কই আর চিতলও ভালো লাগে।’
লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে—দুজনই জীবন্ত কিংবদন্তি। শুরুতে না হলেও একটা সময় কে বেশি জনপ্রিয়—এমন আলোচনা তো ওঠে?
আশা ভোঁসলে বললেন, ‘এ কথাগুলো শুনে আমার ভালো লাগত না। দিদি দিদির মতো গান করছে, আমি আমার মতো গাইছি। আমরা দুজন বোন না হলে প্রতিযোগিতার ব্যাপারটা এভাবে হয়তো আসত না।’

No comments

Powered by Blogger.