সরকারের কার্যকর উদ্যোগ দরকার-বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা
একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনার জন্য সরকারি দল যে আগ্রহ প্রকাশ করছে, তা রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হলেও বাস্তবে অন্তঃসারশূন্য। কারণ, সেই সদিচ্ছা থাকলে সরকারি দল সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর আগেই আলোচনার উদ্যোগ নিতে পারত। কিন্তু তারা মৌখিক আহ্বান জানিয়েই দায়িত্ব শেষ করেছে।
বিরোধী দলকে আলোচনার টেবিলে আনতে যত ধরনের উদ্যোগ নেওয়া দরকার, সেগুলো অনুসরণ না করেই সংসদে বিল পাস করায় পরিস্থিতি জটিলতর হয়েছে। এখন বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনার জন্য আগের চেয়ে আরও বেশি উদ্যোগী হয়ে সরকারি দলকে এগিয়ে আসতে হবে। না হলে শুধু কথা-চালাচালিই হবে, কাজের কাজ কিছু হবে না।
বিএনপি বলছে, আগামী দুই মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করা যেতে পারে বলে আদালত তাঁদের পর্যবেক্ষণে যে অভিমত ব্যক্ত করেছেন, সরকারি দল সে ব্যাপারে আলোচনা করতে চাইলে পরিষ্কার করে বলতে হবে। তাহলে তারা সংসদ বা অন্য যেকোনো স্থানে, যেকোনো পর্যায়ে আলোচনায় সম্মত। সরকারি দল আলোচনায় আন্তরিক হলে এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারত। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেও সংসদে সংশোধনী গ্রহণ করে আগামী দুই মেয়াদে কীভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা যায়, সে জন্য কী ধরনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার করা যায়, এসব বিষয়ে আলোচনার দ্বার উদ্ঘাটন করতে পারত। কিন্তু সরকারি দল সেদিকে আগ্রহী না হওয়ায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার প্রথম আলোর শীর্ষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিরোধী দলের কাছ থেকে যৌক্তিক প্রস্তাব পেলে নতুন করে সংবিধান সংশোধনেও আওয়ামী লীগের নেতাদের আপত্তি নেই। জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে ‘অন্তর্বর্তীকালীন’, অর্থাৎ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। আর বিএনপি চায় ‘নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার’। আপাতত দুই দলের অবস্থান দুই মেরুতে। আলোচনার মাধ্যমে তাদের অভিন্ন অবস্থানে আসা দুরূহ মনে হলেও অসম্ভব নয়। তবে এ জন্য সর্বাগ্রে দরকার সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধাবোধ।
আলোচনার আরও অনেক বিষয় আছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনের অন্য সদস্যদের নিয়োগ-পদ্ধতি কী হওয়া উচিত, সে ব্যাপারেও দুই পক্ষের মতৈক্য দরকার। এই নিয়োগ-প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এ বিষয়টিও আলোচ্যসূচিতে যথাযোগ্য গুরুত্ব দিয়ে রাখতে হবে।
আরেকটি বিষয় হলো, নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রাপ্ত ফলাফল মেনে নিতে দলগুলোর ইতিবাচক মনোভাব। অতীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়েই পরাজয় মেনে নেওয়ার মনোভাব দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারি ও বিরোধী দল এত গণতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু নির্বাচনে শুধু জয় না, পরাজয়ও যে থাকে, সেটা মেনে নিতে চায় না। এই মানসিকতা গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক নয়। রাজনৈতিক সংলাপই পারে একে অপরকে কাছাকাছি আনতে। গণতন্ত্র শক্তিশালী করার দায়িত্ব সরকার ও বিরোধী দলকে ভাগ করে নিতে হবে।
বিএনপি বলছে, আগামী দুই মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করা যেতে পারে বলে আদালত তাঁদের পর্যবেক্ষণে যে অভিমত ব্যক্ত করেছেন, সরকারি দল সে ব্যাপারে আলোচনা করতে চাইলে পরিষ্কার করে বলতে হবে। তাহলে তারা সংসদ বা অন্য যেকোনো স্থানে, যেকোনো পর্যায়ে আলোচনায় সম্মত। সরকারি দল আলোচনায় আন্তরিক হলে এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারত। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেও সংসদে সংশোধনী গ্রহণ করে আগামী দুই মেয়াদে কীভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা যায়, সে জন্য কী ধরনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার করা যায়, এসব বিষয়ে আলোচনার দ্বার উদ্ঘাটন করতে পারত। কিন্তু সরকারি দল সেদিকে আগ্রহী না হওয়ায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার প্রথম আলোর শীর্ষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিরোধী দলের কাছ থেকে যৌক্তিক প্রস্তাব পেলে নতুন করে সংবিধান সংশোধনেও আওয়ামী লীগের নেতাদের আপত্তি নেই। জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে ‘অন্তর্বর্তীকালীন’, অর্থাৎ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। আর বিএনপি চায় ‘নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার’। আপাতত দুই দলের অবস্থান দুই মেরুতে। আলোচনার মাধ্যমে তাদের অভিন্ন অবস্থানে আসা দুরূহ মনে হলেও অসম্ভব নয়। তবে এ জন্য সর্বাগ্রে দরকার সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধাবোধ।
আলোচনার আরও অনেক বিষয় আছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনের অন্য সদস্যদের নিয়োগ-পদ্ধতি কী হওয়া উচিত, সে ব্যাপারেও দুই পক্ষের মতৈক্য দরকার। এই নিয়োগ-প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এ বিষয়টিও আলোচ্যসূচিতে যথাযোগ্য গুরুত্ব দিয়ে রাখতে হবে।
আরেকটি বিষয় হলো, নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রাপ্ত ফলাফল মেনে নিতে দলগুলোর ইতিবাচক মনোভাব। অতীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়েই পরাজয় মেনে নেওয়ার মনোভাব দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারি ও বিরোধী দল এত গণতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু নির্বাচনে শুধু জয় না, পরাজয়ও যে থাকে, সেটা মেনে নিতে চায় না। এই মানসিকতা গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক নয়। রাজনৈতিক সংলাপই পারে একে অপরকে কাছাকাছি আনতে। গণতন্ত্র শক্তিশালী করার দায়িত্ব সরকার ও বিরোধী দলকে ভাগ করে নিতে হবে।
No comments