পারিবারিক সহিংসতা-আইনি কপটতা বন্ধ করতে হবে by আইরিন খান
রুমানার ঘটনায় যে জনরোষ তৈরি হয়েছে, তা অর্থপূর্ণ হবে না যদি না রাষ্ট্র ও সমাজ কর্তৃক দুষ্কার্যে সহযোগিতা দেওয়াকে আইন ও মূল্যবোধের মাধ্যমে আমরা মোকাবিলা করতে ইচ্ছুক না হই। বিদ্যমান আইন ও মূল্যবোধ লিঙ্গীয় সহিংসতাকে উৎসাহ জোগায়।
রুমানার ওপর তাঁর স্বামীর ভয়াবহ নির্যাতন কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশের ৪৬ শতাংশ নারী পারিবারিক সহিংসতার শিকার। যৌতুকের কারণে আরও এক মৃত্যু, এসিড আক্রমণ, স্বামী অথবা শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হাতে স্ত্রীর মৃত্যু অথবা তাঁদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহত্যার দিকে ধাবিত হওয়ার কোনো না কোনো খবর সংবাদপত্রে আসে না এমন দিন কমই যায়।
রাজপথে কোনো নারীর গায়ে হাত তুললে প্রতিবাদে লোক জড়ো হয়ে যায়। তাঁর নিজের ঘরে তাঁকে পিটিয়ে থেঁতলে দিলেও প্রতিবেশীরা চোখ ফিরিয়ে নেয়, তাঁর নিজের পরিবার তাঁকে চুপ মেরে থাকা ও ভালো সেবা-তৎপর স্ত্রী হওয়ার পরামর্শ দেয়। তাই পুলিশের কাছে রিপোর্ট হয় কম আর তার চেয়েও কম মামলার বিচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
রুমানার মতো উচ্চশিক্ষিত ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী নারীকে যদি ভয় দেখিয়ে সমর্পিত করে রাখা যায়, তাহলে ভেবে দেখুন তো সেইসব গরিব নারীদের কথা। তাদের অবস্থা কতটা নাজুক গ্রাম ও ছোট শহরগুলোতে, যেখানে পরিবার ও সমাজে পুরুষের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত আর সামাজিক আচরণের পাহারাদার ধর্মীয় গোষ্ঠী। নারীর ওপর পুরুষের ক্ষমতার নির্মম প্রকাশ লিঙ্গীয় সহিংসতা। নারীর ওপর সহিংসতা চালিয়েও পুরুষ ‘পার পেয়ে যেতে পারে’—এটাই প্রকাশ পায় লিঙ্গীয় সহিংসতার মধ্যে। অসম লিঙ্গীয় সম্পর্ক ও শাস্তির ঝুঁকিহীন পরিবেশে লিঙ্গীয় সহিংসতা বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আইনের দ্বারা ক্ষমতার সমতা বিধান তো দূরের কথা, পুরুষের দিকে এর পাল্লা ভারী।
আমাদের সংস্কৃতি, প্রথা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের মধ্যে নারীর অধস্তনতা গভীরনিবদ্ধ। আইনি ব্যবস্থা সেসব পুরুষতান্ত্রিক সামাজিক রীতিনীতিকেই আরও দৃঢ় করে।
গত সপ্তাহে টাঙ্গাইলে ব্র্যাক-চালিত একটি আইনি সহায়তা ক্লিনিক সফরের সময় আমার সঙ্গে কয়েকজন নারীর সাক্ষাৎ হয়। তাঁরা জানান, তাঁদের প্রত্যেকের স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। তাঁরা অভিযোগ করায় তাঁদের লাঞ্ছনা ও প্রহারের শিকার হতে হয়েছে, তাঁদের বৈবাহিক সূত্রে আপন বাড়ি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। একজন নারীকে এমনভাবে মারা হয়েছে যে তাঁর মেরুদণ্ডে বড় আঘাত লেগেছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইন এবং ব্র্যাকের কাছ থেকে বিনা মূল্যে আইনি সহায়তা পাওয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তাঁদের কেউ ফৌজদারি অভিযোগ দাখিল করতে চাননি। তাঁদের আশঙ্কা ছিল, পুলিশি মামলা ধীরগতিতে চলতেই থাকবে, তাঁরা কোনো ন্যায়বিচার পাবেন না। আর তত দিনে স্বামীরা তাঁদের সন্তানদের কেড়ে নেবেন, তালাকের লেনদেনে দেরি হবে এবং তাঁদের খোরপোশ দেওয়া বন্ধ করে দেবে।
ব্যক্তিগত আইন যখন নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক, তখন তো ফৌজদারি আইন নারীকে পারিবারিক সহিংসতা থেকে রক্ষা করতে পারে না।
জনজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পুরুষ ও নারীর সমানাধিকারের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশের সংবিধান। কিন্তু একান্ত কিংবা ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে ধর্মীয় আইন প্রযোজ্য। তা সে শরিয়াহ কিংবা হিন্দু কিংবা খ্রিষ্টীয় যে আইনি ব্যবস্থাই হোক না কেন, সেটির আওতায় নারী অসম এবং পুরুষের অধস্তন হিসেবে বিবেচিত হন। তাই বিয়ে, তালাক, সন্তানের হেফাজত ও উত্তরাধিকারের প্রশ্নে তাঁরা প্রচণ্ড বঞ্চনার শিকার হন।
সবার জন্য সমতার সাংবিধানিক নিশ্চয়তা এক ফাঁপা প্রতিশ্রুতি। কেননা, ধর্মীয় ব্যক্তিগত আইন বলবৎ রাখার মাধ্যমে নারীকে সমান আইনি সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে না।
যখন কোনো নারী প্রচণ্ড নির্যাতন-আঘাতে নিহত হন অথবা রুমানার মতো অন্ধ হয়ে যান, তখন রাষ্ট্র হস্তক্ষেপে এগিয়ে আসে। কেননা, তখন সেটা ফৌজদারি আইনের ব্যাপার। কিন্তু কোনো পুরুষ যখন তাঁর স্ত্রীকে পেটান, তাঁকে পথে ছুড়ে ফেলেন, তখন কোন ন্যায়বিচারের বলে অপরাধী নিজের ঘরে থাকেন, আর অপরাধের শিকার যিনি তাকে হতে হয় ঘরছাড়া?
স্বামীর নিষ্ঠুরতার প্রতিবাদ করলে যদি নিজের সন্তান ও বৈবাহিক সূত্রে আপন বাড়ি হারানোর ভয় থাকে, তাহলে কীভাবে কোনো নারী প্রতিবাদ করতে পারেন? নারীরা প্রতিকার চাইতে যান না আর পুরুষেরা পার পেয়ে গিয়ে আরও বলবান হয়ে ওঠেন—এটা কি কোনো আশ্চর্যের ব্যাপার?
সংবিধানে সব নাগরিকের সমতা স্বীকৃত হলে কীভাবে তা নারীকে তাঁর নিজের ঘরে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হয়ে থাকতে দেয়?
ধর্মনিরপেক্ষতাকে সংবিধানের মৌলনীতি হিসেবে সদ্যই ফিরিয়ে আনা হলো। আমরা কোনো ধর্মীয় রাষ্ট্রে বাস করি না। তাহলে কেন আমাদের ওপর চলবে ধর্মীয় আইনের শাসন? সংবিধানের সমতার বিধান ব্যক্তি ও জনজীবনের সবখানে বিরাজমান হওয়া উচিত।
সরকারকে অবশ্যই একটি অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়ন করতে হবে, যে আইন এই দেশের সব নারীকে পুরুষের সঙ্গে সমান জমিনে দাঁড় করাবে। আর মানবাধিকারের আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের প্রতি সরকারের শ্রদ্ধা থাকতে হবে। বহু বছর ধরে বাংলাদেশের নারীগোষ্ঠীগুলো অভিন্ন পারিবারিক বিধির দাবি জানিয়ে আসছে। জাতীয় নারীনীতি সঠিক পথে একটি পদক্ষেপ, তবে এটাই যথেষ্ট নয়।
স্বীকার করতেই হবে যে শুধু আইন করে পারিবারিক সহিংসতা বন্ধ হবে না। তবে পূর্ণাঙ্গ আইনি সমতা নারীকে নির্দ্বিধায় কথা বলতে, ন্যায়বিচার চাইতে গেলে তাঁকে সহায়তা প্রদানে এবং তাঁদের চাহিদা মোতাবেক প্রতিকার পাওয়ার জন্য ক্ষমতায়নের পথে বহু দূর এগিয়ে দেবে।
আইনি বৈষম্যের অবসান সামাজিক মূল্যবোধকেও নতুন সুরে বাঁধবে এবং নারীর প্রতি সামাজিক বৈষম্যকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে।
নারীর জীবনে পদে পদে বাধা সৃষ্টিকারী আইনি কপটতা অবসানের এটাই উপযুক্ত সময়।
ইংরেজি থেকে অনুবাদ: আহসান হাবীব
আইরিন খান: মানবাধিকারকর্মী; অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক মহাসচিব।
রাজপথে কোনো নারীর গায়ে হাত তুললে প্রতিবাদে লোক জড়ো হয়ে যায়। তাঁর নিজের ঘরে তাঁকে পিটিয়ে থেঁতলে দিলেও প্রতিবেশীরা চোখ ফিরিয়ে নেয়, তাঁর নিজের পরিবার তাঁকে চুপ মেরে থাকা ও ভালো সেবা-তৎপর স্ত্রী হওয়ার পরামর্শ দেয়। তাই পুলিশের কাছে রিপোর্ট হয় কম আর তার চেয়েও কম মামলার বিচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
রুমানার মতো উচ্চশিক্ষিত ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী নারীকে যদি ভয় দেখিয়ে সমর্পিত করে রাখা যায়, তাহলে ভেবে দেখুন তো সেইসব গরিব নারীদের কথা। তাদের অবস্থা কতটা নাজুক গ্রাম ও ছোট শহরগুলোতে, যেখানে পরিবার ও সমাজে পুরুষের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত আর সামাজিক আচরণের পাহারাদার ধর্মীয় গোষ্ঠী। নারীর ওপর পুরুষের ক্ষমতার নির্মম প্রকাশ লিঙ্গীয় সহিংসতা। নারীর ওপর সহিংসতা চালিয়েও পুরুষ ‘পার পেয়ে যেতে পারে’—এটাই প্রকাশ পায় লিঙ্গীয় সহিংসতার মধ্যে। অসম লিঙ্গীয় সম্পর্ক ও শাস্তির ঝুঁকিহীন পরিবেশে লিঙ্গীয় সহিংসতা বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আইনের দ্বারা ক্ষমতার সমতা বিধান তো দূরের কথা, পুরুষের দিকে এর পাল্লা ভারী।
আমাদের সংস্কৃতি, প্রথা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের মধ্যে নারীর অধস্তনতা গভীরনিবদ্ধ। আইনি ব্যবস্থা সেসব পুরুষতান্ত্রিক সামাজিক রীতিনীতিকেই আরও দৃঢ় করে।
গত সপ্তাহে টাঙ্গাইলে ব্র্যাক-চালিত একটি আইনি সহায়তা ক্লিনিক সফরের সময় আমার সঙ্গে কয়েকজন নারীর সাক্ষাৎ হয়। তাঁরা জানান, তাঁদের প্রত্যেকের স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। তাঁরা অভিযোগ করায় তাঁদের লাঞ্ছনা ও প্রহারের শিকার হতে হয়েছে, তাঁদের বৈবাহিক সূত্রে আপন বাড়ি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। একজন নারীকে এমনভাবে মারা হয়েছে যে তাঁর মেরুদণ্ডে বড় আঘাত লেগেছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইন এবং ব্র্যাকের কাছ থেকে বিনা মূল্যে আইনি সহায়তা পাওয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তাঁদের কেউ ফৌজদারি অভিযোগ দাখিল করতে চাননি। তাঁদের আশঙ্কা ছিল, পুলিশি মামলা ধীরগতিতে চলতেই থাকবে, তাঁরা কোনো ন্যায়বিচার পাবেন না। আর তত দিনে স্বামীরা তাঁদের সন্তানদের কেড়ে নেবেন, তালাকের লেনদেনে দেরি হবে এবং তাঁদের খোরপোশ দেওয়া বন্ধ করে দেবে।
ব্যক্তিগত আইন যখন নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক, তখন তো ফৌজদারি আইন নারীকে পারিবারিক সহিংসতা থেকে রক্ষা করতে পারে না।
জনজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পুরুষ ও নারীর সমানাধিকারের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশের সংবিধান। কিন্তু একান্ত কিংবা ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে ধর্মীয় আইন প্রযোজ্য। তা সে শরিয়াহ কিংবা হিন্দু কিংবা খ্রিষ্টীয় যে আইনি ব্যবস্থাই হোক না কেন, সেটির আওতায় নারী অসম এবং পুরুষের অধস্তন হিসেবে বিবেচিত হন। তাই বিয়ে, তালাক, সন্তানের হেফাজত ও উত্তরাধিকারের প্রশ্নে তাঁরা প্রচণ্ড বঞ্চনার শিকার হন।
সবার জন্য সমতার সাংবিধানিক নিশ্চয়তা এক ফাঁপা প্রতিশ্রুতি। কেননা, ধর্মীয় ব্যক্তিগত আইন বলবৎ রাখার মাধ্যমে নারীকে সমান আইনি সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে না।
যখন কোনো নারী প্রচণ্ড নির্যাতন-আঘাতে নিহত হন অথবা রুমানার মতো অন্ধ হয়ে যান, তখন রাষ্ট্র হস্তক্ষেপে এগিয়ে আসে। কেননা, তখন সেটা ফৌজদারি আইনের ব্যাপার। কিন্তু কোনো পুরুষ যখন তাঁর স্ত্রীকে পেটান, তাঁকে পথে ছুড়ে ফেলেন, তখন কোন ন্যায়বিচারের বলে অপরাধী নিজের ঘরে থাকেন, আর অপরাধের শিকার যিনি তাকে হতে হয় ঘরছাড়া?
স্বামীর নিষ্ঠুরতার প্রতিবাদ করলে যদি নিজের সন্তান ও বৈবাহিক সূত্রে আপন বাড়ি হারানোর ভয় থাকে, তাহলে কীভাবে কোনো নারী প্রতিবাদ করতে পারেন? নারীরা প্রতিকার চাইতে যান না আর পুরুষেরা পার পেয়ে গিয়ে আরও বলবান হয়ে ওঠেন—এটা কি কোনো আশ্চর্যের ব্যাপার?
সংবিধানে সব নাগরিকের সমতা স্বীকৃত হলে কীভাবে তা নারীকে তাঁর নিজের ঘরে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হয়ে থাকতে দেয়?
ধর্মনিরপেক্ষতাকে সংবিধানের মৌলনীতি হিসেবে সদ্যই ফিরিয়ে আনা হলো। আমরা কোনো ধর্মীয় রাষ্ট্রে বাস করি না। তাহলে কেন আমাদের ওপর চলবে ধর্মীয় আইনের শাসন? সংবিধানের সমতার বিধান ব্যক্তি ও জনজীবনের সবখানে বিরাজমান হওয়া উচিত।
সরকারকে অবশ্যই একটি অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়ন করতে হবে, যে আইন এই দেশের সব নারীকে পুরুষের সঙ্গে সমান জমিনে দাঁড় করাবে। আর মানবাধিকারের আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের প্রতি সরকারের শ্রদ্ধা থাকতে হবে। বহু বছর ধরে বাংলাদেশের নারীগোষ্ঠীগুলো অভিন্ন পারিবারিক বিধির দাবি জানিয়ে আসছে। জাতীয় নারীনীতি সঠিক পথে একটি পদক্ষেপ, তবে এটাই যথেষ্ট নয়।
স্বীকার করতেই হবে যে শুধু আইন করে পারিবারিক সহিংসতা বন্ধ হবে না। তবে পূর্ণাঙ্গ আইনি সমতা নারীকে নির্দ্বিধায় কথা বলতে, ন্যায়বিচার চাইতে গেলে তাঁকে সহায়তা প্রদানে এবং তাঁদের চাহিদা মোতাবেক প্রতিকার পাওয়ার জন্য ক্ষমতায়নের পথে বহু দূর এগিয়ে দেবে।
আইনি বৈষম্যের অবসান সামাজিক মূল্যবোধকেও নতুন সুরে বাঁধবে এবং নারীর প্রতি সামাজিক বৈষম্যকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে।
নারীর জীবনে পদে পদে বাধা সৃষ্টিকারী আইনি কপটতা অবসানের এটাই উপযুক্ত সময়।
ইংরেজি থেকে অনুবাদ: আহসান হাবীব
আইরিন খান: মানবাধিকারকর্মী; অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক মহাসচিব।
No comments