ধর্ম-ইসলাম নারীকে অগ্রাধিকার দিয়েছে by মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান
ইসলাম নারীর অধিকার ও মানমর্যাদা সমুন্নত রাখতে দিকনির্দেশক। ইসলাম ধর্মের মাধ্যমেই মানুষ প্রথম জেনেছে, যেকোনো মৌলিক অধিকার অর্জন মেয়েদের জন্মগত অধিকার। প্রাক-ইসলামি যুগে নারীর যখন কোনো সামাজিক অধিকার ছিল না, যখন কন্যাশিশুকে জীবন্ত পুঁতে ফেলা হতো,
তখন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সৎকর্মে নারী ও পুরুষের সমমর্যাদার কথা বললেন। তিনি আল্লাহর বাণী ঘোষণা করলেন, ‘আর যে সৎকাজ করবে, সে পুরুষ হোক বা নারী হোক, যদি সে মুমিন হয়, তাহলে এমন লোকেরাই জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের বিন্দু পরিমাণ হকও বিনষ্ট করা হবে না।’ (সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১২৪)
মুসলিম পরিবারে, সমাজে ও রাষ্ট্রে ইসলাম নারীকে দিয়েছে অত্যন্ত সম্মানজনক মর্যাদা। ইসলামের শান্তিময় বিধান নারীকে পুরুষের সমান মর্যাদার অধিকারী করেছে। ন্যায়বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কোনোরূপ তারতম্য নেই। ইসলাম কখনো নারীকে চার দেয়ালে আবদ্ধ করেনি। নারীকে প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বা কর্মস্থলে যেতে হবে বলেই ইসলাম তার সম্মান, নিরাপত্তা ও শালীনতার জন্য হিজাব বা পর্দার ব্যবস্থা অত্যাবশ্যকীয় করেছে। উম্মুল মুমিনীন তাঁর কাছে আসা নারীদের ধর্মীয়, ব্যক্তিগত, পারিবারিক প্রভৃতি বিষয়ে নৈতিক শিক্ষাদান করতেন। নবী করিম (সা.) স্বয়ং নারীদের শিক্ষা গ্রহণের গুরুত্বের প্রতি বিশেষভাবে সতর্ক দৃষ্টি রাখতেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে নারীদের উদ্দেশে শিক্ষামূলক ভাষণ দিয়ে উদাত্ত কণ্ঠে আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য জ্ঞানার্জন করা ফরজ।’ (ইবনে মাজা)
সমাজে মাতা, গৃহকর্ত্রী ও ব্যবসা-কর্মে নিয়োজিত নারীদের যথার্থ অবস্থান নিশ্চিত করে রাসুলুল্লাহ (সা.) নারীর অধিকার সমুন্নত করে গেছেন। ইহকালীন ও পারলৌকিক জীবনে সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ ও মুক্তির জন্য যাবতীয় বৈষম্য, অজ্ঞতা ও অহংকার পরিত্যাগ করে সৎকর্মের দ্বারা পারস্পরিক সম্পর্কের মাপকাঠি নির্ধারণ করা একান্ত বাঞ্ছনীয়।
ইসলামে পিতা-মাতা, নিকটাত্মীয় ও স্বামীর সম্পত্তিতে রয়েছে নারীর সম্মানজনক অধিকার। যেকোনো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থেকে যে অর্থসম্পদ নারীরা উপার্জন করবে এবং উত্তরাধিকার সূত্রে যে ধন-সম্পদের অধিকারী হবে, এতে ইসলাম নারীকে দিয়েছে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা। তবে এ সম্পদের যথাযথ ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সৎলোকের (পিতা, ভাই, স্বামী) পরামর্শ গ্রহণের জন্য ইসলাম তাগিদ দিয়েছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘পিতা-মাতা ও আত্মীয়স্বজনের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে পুরুষের অংশ আছে এবং পিতা-মাতা আত্মীয়স্বজনের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে নারীরও অংশ আছে, তা অল্পই হোক বা বেশি হোক, এক নির্ধারিত অংশ।’ (সূরা আন-নিসা, আয়াত-৭) পিতা, স্বামী, ভাই, পুত্র—এই চার পরিচয়ে পুরুষেরা নারীদের হক বা ন্যায্য প্রাপ্য দায়িত্বশীলতার সঙ্গে আদায় করবে—এটাই আল্লাহর হুকুম। ইসলামের বিধান অনুসারে স্বামীর ওপর স্ত্রীর বিশেষ অধিকার এই যে, স্বীয় সামর্থ্য অনুযায়ী তাকে খোরপোশ ও আবাসগৃহ দিতে হবে এবং মোহরানা (আদায় ওয়াজিব) দিতে হবে। আর তার প্রতি কোনো ধরনের অন্যায়-অত্যাচার করবে না। স্ত্রীর প্রতি স্বামীর দাবি এই যে, স্বামীর আনুগত্য স্বীকার ও সেবা-শুশ্রূষা করতে হবে।
স্বামী-স্ত্রীর প্রাপ্য সম্মান ও সমানাধিকার সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে সুস্পষ্ট ঘোষণা রয়েছে, ‘নারীদেরও (পুরুষদের ওপর) তদ্রূপ অধিকার আছে, যদ্রূপ নারীদের ওপর পুরুষদের অধিকার আছে বিধান অনুযায়ী।’ (সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২২৮)
ইসলাম নারীকে সর্বক্ষেত্রেই অধিকার দিয়েছে বেশি আর পুরুষকে দায়িত্ব ও কর্তব্য দিয়েছে বেশি। আধুনিক যুগে সম-অধিকারের কথা বলে নারীর ওপর অন্যায়-জুুলুম চালানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। অথচ তাদের তো অগ্রাধিকার প্রাপ্য। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে আল্লাহ তাআলা পোশাকের সঙ্গে তুলনা করেছেন। পোশাকের সঙ্গে শরীরের সম্পর্ক যত নিবিড়, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ততটাই নিবিড় হওয়া চাই। ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা হচ্ছে তোমাদের জন্য পোশাকস্বরূপ এবং তোমরাও তাদের জন্য পোশাকস্বরূপ।’ (সূরা আল-বাকারা, আয়াত-১৮৭) নবী করিম (সা.) স্বামীকেই অধিক ধৈর্যশীল ও সহিষ্ণু হতে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন, ‘তোমরা নিজ পত্নীদের প্রতি সদয় ব্যবহার করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহকে সাক্ষী রেখে তোমরা তাদের গ্রহণ করেছ এবং তাঁরই আদেশমতো তাদের তোমাদের জন্য বৈধ করে নিয়েছ। মুমিন স্বামী ঈমানদার স্ত্রীর প্রতি বিদ্বেষভাব পোষণকারী হবে না। কারণ, স্ত্রীর কোনো ব্যবহারে মনে কষ্ট এলেও পুনরায় তার দ্বারাই এমন ব্যবহার পাবে, যাতে সন্তুষ্টি লাভ হবে।’ (মুসলিম)
ইসলামে নারী-পুরুষ উভয়েরই ন্যায্য অধিকার ও সমমর্যাদা স্বীকৃত। যেমন-বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার ও সমালোচনার অধিকার। ইসলামের দৃষ্টিতে নারী-পুরুষ পরস্পরের সহযোগী, প্রতিযোগী নয়। পরিবারে নারী-পুরুষ উভয়ই সংসারধর্ম পালন করবে এবং পারস্পরিক উন্নতির সর্বাত্মক চেষ্টা করবে। স্বামী যেহেতু বাইরে চাকরি বা ব্যবসায় ব্যস্ত, সেহেতু ঘরে সন্তানদের সঠিক শিক্ষা দেওয়া ও চরিত্র গঠন করার মতো বিরাট দায়িত্ব স্ত্রীকেই পালন করতে হয়।
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিস-আদালতে নারীরা নিজ নিজ যোগ্যতা ও মেধার গুণে নিজেরাই কর্মসংস্থান করে নিচ্ছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, নারীদের প্রতি রূঢ় আচরণ করা যেন মানুষের মজ্জাগত। নারী সহকর্মীকে প্রায়ই আপন করে নেওয়ার মনমানসিকতা হারিয়ে তাদের মানবিক প্রাপ্যটুকু ক্ষুণ্ন করা হয়, যা দেশ-জাতি বা নতুন প্রজন্মের উন্নতিতে বাধা দিচ্ছে। ইসলামের মহান শিক্ষা ও আদর্শ নারীকে বিভিন্ন বিষয়ে সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে তার অধিকারকে যে উঁচু মর্যাদায় উন্নীত করেছে, তা অন্য কোনো ধর্ম, আদর্শ বা মতবাদে সম্ভব নয়। ইসলাম-প্রদত্ত নারী জাতির ন্যায্য প্রাপ্য সম্মান, মর্যাদা ও ন্যায়সংগত অধিকার প্রদানের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ উভয়কেই আন্তরিক হতে হবে। ইসলামে নারীদের যেসব অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, তা কড়ায়-গন্ডায় আদায় হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে নজরদারি বাড়াতে আলেম সমাজেরও এগিয়ে আসা উচিত।
ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও কলাম লেখক।
মুসলিম পরিবারে, সমাজে ও রাষ্ট্রে ইসলাম নারীকে দিয়েছে অত্যন্ত সম্মানজনক মর্যাদা। ইসলামের শান্তিময় বিধান নারীকে পুরুষের সমান মর্যাদার অধিকারী করেছে। ন্যায়বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কোনোরূপ তারতম্য নেই। ইসলাম কখনো নারীকে চার দেয়ালে আবদ্ধ করেনি। নারীকে প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বা কর্মস্থলে যেতে হবে বলেই ইসলাম তার সম্মান, নিরাপত্তা ও শালীনতার জন্য হিজাব বা পর্দার ব্যবস্থা অত্যাবশ্যকীয় করেছে। উম্মুল মুমিনীন তাঁর কাছে আসা নারীদের ধর্মীয়, ব্যক্তিগত, পারিবারিক প্রভৃতি বিষয়ে নৈতিক শিক্ষাদান করতেন। নবী করিম (সা.) স্বয়ং নারীদের শিক্ষা গ্রহণের গুরুত্বের প্রতি বিশেষভাবে সতর্ক দৃষ্টি রাখতেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে নারীদের উদ্দেশে শিক্ষামূলক ভাষণ দিয়ে উদাত্ত কণ্ঠে আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য জ্ঞানার্জন করা ফরজ।’ (ইবনে মাজা)
সমাজে মাতা, গৃহকর্ত্রী ও ব্যবসা-কর্মে নিয়োজিত নারীদের যথার্থ অবস্থান নিশ্চিত করে রাসুলুল্লাহ (সা.) নারীর অধিকার সমুন্নত করে গেছেন। ইহকালীন ও পারলৌকিক জীবনে সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ ও মুক্তির জন্য যাবতীয় বৈষম্য, অজ্ঞতা ও অহংকার পরিত্যাগ করে সৎকর্মের দ্বারা পারস্পরিক সম্পর্কের মাপকাঠি নির্ধারণ করা একান্ত বাঞ্ছনীয়।
ইসলামে পিতা-মাতা, নিকটাত্মীয় ও স্বামীর সম্পত্তিতে রয়েছে নারীর সম্মানজনক অধিকার। যেকোনো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থেকে যে অর্থসম্পদ নারীরা উপার্জন করবে এবং উত্তরাধিকার সূত্রে যে ধন-সম্পদের অধিকারী হবে, এতে ইসলাম নারীকে দিয়েছে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা। তবে এ সম্পদের যথাযথ ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সৎলোকের (পিতা, ভাই, স্বামী) পরামর্শ গ্রহণের জন্য ইসলাম তাগিদ দিয়েছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘পিতা-মাতা ও আত্মীয়স্বজনের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে পুরুষের অংশ আছে এবং পিতা-মাতা আত্মীয়স্বজনের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে নারীরও অংশ আছে, তা অল্পই হোক বা বেশি হোক, এক নির্ধারিত অংশ।’ (সূরা আন-নিসা, আয়াত-৭) পিতা, স্বামী, ভাই, পুত্র—এই চার পরিচয়ে পুরুষেরা নারীদের হক বা ন্যায্য প্রাপ্য দায়িত্বশীলতার সঙ্গে আদায় করবে—এটাই আল্লাহর হুকুম। ইসলামের বিধান অনুসারে স্বামীর ওপর স্ত্রীর বিশেষ অধিকার এই যে, স্বীয় সামর্থ্য অনুযায়ী তাকে খোরপোশ ও আবাসগৃহ দিতে হবে এবং মোহরানা (আদায় ওয়াজিব) দিতে হবে। আর তার প্রতি কোনো ধরনের অন্যায়-অত্যাচার করবে না। স্ত্রীর প্রতি স্বামীর দাবি এই যে, স্বামীর আনুগত্য স্বীকার ও সেবা-শুশ্রূষা করতে হবে।
স্বামী-স্ত্রীর প্রাপ্য সম্মান ও সমানাধিকার সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে সুস্পষ্ট ঘোষণা রয়েছে, ‘নারীদেরও (পুরুষদের ওপর) তদ্রূপ অধিকার আছে, যদ্রূপ নারীদের ওপর পুরুষদের অধিকার আছে বিধান অনুযায়ী।’ (সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২২৮)
ইসলাম নারীকে সর্বক্ষেত্রেই অধিকার দিয়েছে বেশি আর পুরুষকে দায়িত্ব ও কর্তব্য দিয়েছে বেশি। আধুনিক যুগে সম-অধিকারের কথা বলে নারীর ওপর অন্যায়-জুুলুম চালানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। অথচ তাদের তো অগ্রাধিকার প্রাপ্য। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে আল্লাহ তাআলা পোশাকের সঙ্গে তুলনা করেছেন। পোশাকের সঙ্গে শরীরের সম্পর্ক যত নিবিড়, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ততটাই নিবিড় হওয়া চাই। ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা হচ্ছে তোমাদের জন্য পোশাকস্বরূপ এবং তোমরাও তাদের জন্য পোশাকস্বরূপ।’ (সূরা আল-বাকারা, আয়াত-১৮৭) নবী করিম (সা.) স্বামীকেই অধিক ধৈর্যশীল ও সহিষ্ণু হতে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন, ‘তোমরা নিজ পত্নীদের প্রতি সদয় ব্যবহার করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহকে সাক্ষী রেখে তোমরা তাদের গ্রহণ করেছ এবং তাঁরই আদেশমতো তাদের তোমাদের জন্য বৈধ করে নিয়েছ। মুমিন স্বামী ঈমানদার স্ত্রীর প্রতি বিদ্বেষভাব পোষণকারী হবে না। কারণ, স্ত্রীর কোনো ব্যবহারে মনে কষ্ট এলেও পুনরায় তার দ্বারাই এমন ব্যবহার পাবে, যাতে সন্তুষ্টি লাভ হবে।’ (মুসলিম)
ইসলামে নারী-পুরুষ উভয়েরই ন্যায্য অধিকার ও সমমর্যাদা স্বীকৃত। যেমন-বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার ও সমালোচনার অধিকার। ইসলামের দৃষ্টিতে নারী-পুরুষ পরস্পরের সহযোগী, প্রতিযোগী নয়। পরিবারে নারী-পুরুষ উভয়ই সংসারধর্ম পালন করবে এবং পারস্পরিক উন্নতির সর্বাত্মক চেষ্টা করবে। স্বামী যেহেতু বাইরে চাকরি বা ব্যবসায় ব্যস্ত, সেহেতু ঘরে সন্তানদের সঠিক শিক্ষা দেওয়া ও চরিত্র গঠন করার মতো বিরাট দায়িত্ব স্ত্রীকেই পালন করতে হয়।
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিস-আদালতে নারীরা নিজ নিজ যোগ্যতা ও মেধার গুণে নিজেরাই কর্মসংস্থান করে নিচ্ছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, নারীদের প্রতি রূঢ় আচরণ করা যেন মানুষের মজ্জাগত। নারী সহকর্মীকে প্রায়ই আপন করে নেওয়ার মনমানসিকতা হারিয়ে তাদের মানবিক প্রাপ্যটুকু ক্ষুণ্ন করা হয়, যা দেশ-জাতি বা নতুন প্রজন্মের উন্নতিতে বাধা দিচ্ছে। ইসলামের মহান শিক্ষা ও আদর্শ নারীকে বিভিন্ন বিষয়ে সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে তার অধিকারকে যে উঁচু মর্যাদায় উন্নীত করেছে, তা অন্য কোনো ধর্ম, আদর্শ বা মতবাদে সম্ভব নয়। ইসলাম-প্রদত্ত নারী জাতির ন্যায্য প্রাপ্য সম্মান, মর্যাদা ও ন্যায়সংগত অধিকার প্রদানের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ উভয়কেই আন্তরিক হতে হবে। ইসলামে নারীদের যেসব অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, তা কড়ায়-গন্ডায় আদায় হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে নজরদারি বাড়াতে আলেম সমাজেরও এগিয়ে আসা উচিত।
ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও কলাম লেখক।
No comments