সংখ্যায় বাড়ুক, মানেও এগিয়ে যাক-ঢাকায় নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
ঘন হচ্ছে ঢাকার জনবসতি, বিস্তৃত হচ্ছে মহানগরের সীমানা। এর সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না রাজধানীর শিক্ষার অবকাঠামো। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু বাড়ছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চালু হলেও মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ঘাটতি মেটানোর বিষয়টি অগোচরেই রয়ে যাচ্ছিল।
আশার কথা যে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সরকারিভাবে ঢাকায় ১৭টি স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠার কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করেছে। কিন্তু কেবল নতুন ভবন বানানো নয়, দরকার যথাযথ শিক্ষাদানের বন্দোবস্তটাও নিশ্চিত করা।
এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে রাজধানীতে চাহিদার তুলনায় সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক কম। প্রাথমিক পর্যায়ে সরকারি শিক্ষা কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য ছিল নিরক্ষরতা দূরীকরণ। তার জন্য যথেষ্ট না হলেও বেশ কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিতও হয়েছে। কিন্তু মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের বেলায় কোনো ভারসাম্যই দেখা যেত না। অথচ নতুন নতুন এলাকায় বসেছে নতুন বসতি, পুরোনো এলাকাগুলোতেও জনসংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীর সংখ্যাও অনেক বেড়েছে। এই বাড়তি চাপটা গিয়ে তখন পড়ে ভর্তিব্যবস্থার ওপর। অল্প আসন কিন্তু ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায়, শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্যের সুযোগও বেড়ে যায় বেশি। নতুন ১৭টি স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলে নবীন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ভোগান্তি কিছুটা কমবে।
ঢাকার প্রধান সমস্যা যেমন অপরিকল্পিত নগরায়ণ; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের বেলাতেও সেই পরিকল্পনাহীনতার ছাপ দেখা যায়। পরিমাণের সমস্যা যদি মেটে, শিক্ষাদানের মানের সমস্যা মেটার লক্ষণ দেখা যায় না। সে কারণেই অল্প কিছু ‘ভালো’ স্কুল-কলেজে ভর্তির জন্য দেখা যায় মরণপণ প্রতিযোগিতা। ভালো স্কুল-কলেজগুলোর বেশির ভাগই আবার অভিজাত এলাকায়। ফলে দূরদূরান্ত থেকে শিশু-কিশোরদের সেখানে যেতে হয়। সেগুলোতে ভর্তির জন্য কঠিন প্রতিযোগিতা শুরু হয় শিক্ষার্থী এবং তাদের মা-বাবাদের মধ্যে। পরিকল্পনামাফিক প্রতিটি এলাকার সরকারি স্কুল-কলেজগুলোর শিক্ষাদানের মানোন্নতির বিষয়টিও তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মনোযোগে থাকতে হবে। পাশাপাশি তারা যে নতুন ১৭টি স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, সেগুলোকেও আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলায় নিরলস পরিশ্রম করে যাওয়া দরকার। শিক্ষা ক্ষেত্রে এখনো সরকার সবচেয়ে বড় কর্তৃপক্ষ এবং তাদের অবদানই সবচেয়ে বেশি। তাই, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিস্তার এবং সেগুলোর পড়ালেখার মান উন্নয়নের বড় দায়িত্বটিও তাদেরই নিতে হবে।
এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে রাজধানীতে চাহিদার তুলনায় সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক কম। প্রাথমিক পর্যায়ে সরকারি শিক্ষা কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য ছিল নিরক্ষরতা দূরীকরণ। তার জন্য যথেষ্ট না হলেও বেশ কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিতও হয়েছে। কিন্তু মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের বেলায় কোনো ভারসাম্যই দেখা যেত না। অথচ নতুন নতুন এলাকায় বসেছে নতুন বসতি, পুরোনো এলাকাগুলোতেও জনসংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীর সংখ্যাও অনেক বেড়েছে। এই বাড়তি চাপটা গিয়ে তখন পড়ে ভর্তিব্যবস্থার ওপর। অল্প আসন কিন্তু ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায়, শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্যের সুযোগও বেড়ে যায় বেশি। নতুন ১৭টি স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলে নবীন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ভোগান্তি কিছুটা কমবে।
ঢাকার প্রধান সমস্যা যেমন অপরিকল্পিত নগরায়ণ; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের বেলাতেও সেই পরিকল্পনাহীনতার ছাপ দেখা যায়। পরিমাণের সমস্যা যদি মেটে, শিক্ষাদানের মানের সমস্যা মেটার লক্ষণ দেখা যায় না। সে কারণেই অল্প কিছু ‘ভালো’ স্কুল-কলেজে ভর্তির জন্য দেখা যায় মরণপণ প্রতিযোগিতা। ভালো স্কুল-কলেজগুলোর বেশির ভাগই আবার অভিজাত এলাকায়। ফলে দূরদূরান্ত থেকে শিশু-কিশোরদের সেখানে যেতে হয়। সেগুলোতে ভর্তির জন্য কঠিন প্রতিযোগিতা শুরু হয় শিক্ষার্থী এবং তাদের মা-বাবাদের মধ্যে। পরিকল্পনামাফিক প্রতিটি এলাকার সরকারি স্কুল-কলেজগুলোর শিক্ষাদানের মানোন্নতির বিষয়টিও তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মনোযোগে থাকতে হবে। পাশাপাশি তারা যে নতুন ১৭টি স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, সেগুলোকেও আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলায় নিরলস পরিশ্রম করে যাওয়া দরকার। শিক্ষা ক্ষেত্রে এখনো সরকার সবচেয়ে বড় কর্তৃপক্ষ এবং তাদের অবদানই সবচেয়ে বেশি। তাই, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিস্তার এবং সেগুলোর পড়ালেখার মান উন্নয়নের বড় দায়িত্বটিও তাদেরই নিতে হবে।
No comments