ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক চাকরিচ্যুত
অনুমতি না নিয়ে ছুটিতে থাকায় এবং নির্দিষ্ট সময়ে কাজে যোগ না দেওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে সিন্ডিকেটের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। চাকরিচ্যুত তিন শিক্ষক হলেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসরিন ইসলাম খান, ফিন্যান্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কে এম মুরশেদ ও মো. মুশফিক উদ্দিন।
গত ১৯ জানুয়ারি এই তিন শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার সুপারিশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটি।
সিন্ডিকেটের সদস্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান জানান, এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মকানুন ঠিকভাবে মানা না হলেও বর্তমানে তা কঠোরভাবে পালন করা হচ্ছে। ওই তিন শিক্ষকের ছুটির নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর তাঁদের চাকরিতে যোগ দেওয়ার তাগিদ দেওয়া হলেও তাঁরা যোগ দেননি।
একই সঙ্গে আরও পাঁচ শিক্ষকের ছুটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
তাঁদের মধ্যে লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মাদ এহসান, তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক মো. হানিফ উদ্দিন, ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মহিউদ্দিন আবদুল কাদিরকে চার সপ্তাহের মধ্যে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
আর ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আতিকুর রহমান এবং ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাশেদুজ্জামান চৌধুরীকে আট সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, চাকরিচ্যুত তিন শিক্ষকেরই ছুটির মেয়াদ ২০০৯-১০ সালের মধ্যে শেষ হয়। এর পর কর্তৃপক্ষ তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য তাগাদা দিয়ে নোটিশ দেয়। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও তাঁরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি।
তাঁদের মধ্যে মো. মুশফিক উদ্দীন বিনা বেতনে এক বছরের ছুটি নিয়ে দেশের বাইরে চাকরি করতে যান। কিন্তু ছুটি শেষ হওয়ার পর তিনি ছুটি বৃদ্ধির আবেদন না করেই দেশের বাইরে অবস্থান করতে থাকেন। এ অবস্থায় তাঁকে দেশে ফেরার জন্য দুই মাসের নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি নোটিশের কোনো জবাব না দিয়েই বিদেশে অবস্থান করতে থাকেন।
কাজী আবু মুরশেদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিনা বেতনে চার বছরের ছুটি নিয়ে দেশেই একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতে যান। কিন্তু ছুটি শেষে তিনি আর কাজে যোগ দেননি। কর্তৃপক্ষ এক মাসের মধ্যে কাজে যোগ দেওয়ার নোটিশ দিলেও তিনি যোগাযোগ করেননি।
নাসরিন ইসলাম খান পিএইচডি করতে দেশের বাইরে পড়াশোনা করতে যান। সাত বছর ধরে পিএইচডি সম্পন্ন করে তিনি দেশে ফেরেন। এরপর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি আবারও দেশের বাইরে যান। বিদেশ যাওয়ার পর আবারও ছুটি চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর ছুটি আর অনুমোদন করেনি।
সিন্ডিকেটের সদস্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান জানান, এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মকানুন ঠিকভাবে মানা না হলেও বর্তমানে তা কঠোরভাবে পালন করা হচ্ছে। ওই তিন শিক্ষকের ছুটির নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর তাঁদের চাকরিতে যোগ দেওয়ার তাগিদ দেওয়া হলেও তাঁরা যোগ দেননি।
একই সঙ্গে আরও পাঁচ শিক্ষকের ছুটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
তাঁদের মধ্যে লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মাদ এহসান, তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক মো. হানিফ উদ্দিন, ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মহিউদ্দিন আবদুল কাদিরকে চার সপ্তাহের মধ্যে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
আর ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আতিকুর রহমান এবং ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাশেদুজ্জামান চৌধুরীকে আট সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, চাকরিচ্যুত তিন শিক্ষকেরই ছুটির মেয়াদ ২০০৯-১০ সালের মধ্যে শেষ হয়। এর পর কর্তৃপক্ষ তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য তাগাদা দিয়ে নোটিশ দেয়। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও তাঁরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি।
তাঁদের মধ্যে মো. মুশফিক উদ্দীন বিনা বেতনে এক বছরের ছুটি নিয়ে দেশের বাইরে চাকরি করতে যান। কিন্তু ছুটি শেষ হওয়ার পর তিনি ছুটি বৃদ্ধির আবেদন না করেই দেশের বাইরে অবস্থান করতে থাকেন। এ অবস্থায় তাঁকে দেশে ফেরার জন্য দুই মাসের নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি নোটিশের কোনো জবাব না দিয়েই বিদেশে অবস্থান করতে থাকেন।
কাজী আবু মুরশেদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিনা বেতনে চার বছরের ছুটি নিয়ে দেশেই একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতে যান। কিন্তু ছুটি শেষে তিনি আর কাজে যোগ দেননি। কর্তৃপক্ষ এক মাসের মধ্যে কাজে যোগ দেওয়ার নোটিশ দিলেও তিনি যোগাযোগ করেননি।
নাসরিন ইসলাম খান পিএইচডি করতে দেশের বাইরে পড়াশোনা করতে যান। সাত বছর ধরে পিএইচডি সম্পন্ন করে তিনি দেশে ফেরেন। এরপর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি আবারও দেশের বাইরে যান। বিদেশ যাওয়ার পর আবারও ছুটি চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর ছুটি আর অনুমোদন করেনি।
No comments