এক বছর পর জনসমক্ষে কাস্ত্রো
প্রায় এক বছর পর জনসমক্ষে এলেন কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো। গতকাল শনিবার তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতিকথামূলক বই ‘গেরিলা অব টাইম’ নিয়ে জনগণের সামনে এসেছিলেন। ২০১১ সালের এপ্রিলে সর্বশেষ জনসমক্ষে আসেন তিনি।
কমিউনিস্ট পার্টির পত্রিকা গ্রানমার উদ্ধৃতি দিয়ে বিবিসি অনলাইন জানিয়েছে, রাজধানীর হাভানা কনভেনশন সেন্টারে এই বইটির প্রকাশনা উত্সব ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় স্থায়ী হয়। দুই খণ্ডের এই স্মৃতিকথা মূলত ফিদেল কাস্ত্রো ও সাংবাদিক কাতিউসকা বালানকোর কথোপকথনের ওপর ভিত্তি করে লেখা।
প্রায় হাজার পৃষ্ঠার বইটির প্রকাশনা উত্সবে কাস্ত্রোর উপস্থিতি ছিল অনেকটাই বিরল ঘটনা। ৮৫ বছর বয়সী কাস্ত্রোর স্মৃতিকথায় উঠে এসেছে তাঁর শৈশব থেকে শুরু করে কিউবার বিপ্লব পর্যন্ত নানা ঘটনা। বইটির শুরু হয়েছে কাস্ত্রোর একেবারে শৈশবের গল্প দিয়ে। এরপর পাঠককে ধীরে ধীরে গল্পের মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হয় ১৯৫৮ সালের ডিসেম্বর, যখন কাস্ত্রো ও তাঁর সহযোগীরা বিপ্লব ঘটান।
ফিদেল কাস্ত্রো বলেন, কিউবা, পৃথিবী ও মানবতার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়ে যাওয়া প্রত্যেক কিউবানের দায়িত্ব। অনুষ্ঠানে সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন কিউবার এই সাবেক প্রেসিডেন্ট। অবৈতনিক শিক্ষার জন্য লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রশংসা করেছেন তিনি।
প্রশংসা করতে ভুলে যাননি নিজের অন্যতম কাছের বন্ধু ও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজের। তাঁর প্রশংসা করে কাস্ত্রো বলেন, ভেনেজুয়েলার জনগণের জন্য চাভেজ যে কারও চেয়ে অনেক বেশি করেছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রী আবেল প্রিয়েতো ও কিউবান রাইটার্স ইউনিয়নের পরিচালক মিগুয়েল বারনেটও বক্তব্য দেন। রাবনেট এই স্মৃতিকথাকে উজ্জ্বল স্মৃতিকথার ত্রি-ডি চলচ্চিত্র বলে আখ্যায়িত করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে ছোট ভাই রাউল কাস্ত্রোকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব দেন ফিদেল। এর পর থেকে তিনি পর্দার আড়ালে চলে যান। ২০১১ সালের এপ্রিলে কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসের সমাপনী অধিবেশনে যোগ দেওয়া উপলক্ষে সর্বশেষ জনসম্মুখে হাজির হয়েছিলেন তিনি।
প্রায় হাজার পৃষ্ঠার বইটির প্রকাশনা উত্সবে কাস্ত্রোর উপস্থিতি ছিল অনেকটাই বিরল ঘটনা। ৮৫ বছর বয়সী কাস্ত্রোর স্মৃতিকথায় উঠে এসেছে তাঁর শৈশব থেকে শুরু করে কিউবার বিপ্লব পর্যন্ত নানা ঘটনা। বইটির শুরু হয়েছে কাস্ত্রোর একেবারে শৈশবের গল্প দিয়ে। এরপর পাঠককে ধীরে ধীরে গল্পের মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হয় ১৯৫৮ সালের ডিসেম্বর, যখন কাস্ত্রো ও তাঁর সহযোগীরা বিপ্লব ঘটান।
ফিদেল কাস্ত্রো বলেন, কিউবা, পৃথিবী ও মানবতার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়ে যাওয়া প্রত্যেক কিউবানের দায়িত্ব। অনুষ্ঠানে সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন কিউবার এই সাবেক প্রেসিডেন্ট। অবৈতনিক শিক্ষার জন্য লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রশংসা করেছেন তিনি।
প্রশংসা করতে ভুলে যাননি নিজের অন্যতম কাছের বন্ধু ও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজের। তাঁর প্রশংসা করে কাস্ত্রো বলেন, ভেনেজুয়েলার জনগণের জন্য চাভেজ যে কারও চেয়ে অনেক বেশি করেছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রী আবেল প্রিয়েতো ও কিউবান রাইটার্স ইউনিয়নের পরিচালক মিগুয়েল বারনেটও বক্তব্য দেন। রাবনেট এই স্মৃতিকথাকে উজ্জ্বল স্মৃতিকথার ত্রি-ডি চলচ্চিত্র বলে আখ্যায়িত করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে ছোট ভাই রাউল কাস্ত্রোকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব দেন ফিদেল। এর পর থেকে তিনি পর্দার আড়ালে চলে যান। ২০১১ সালের এপ্রিলে কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসের সমাপনী অধিবেশনে যোগ দেওয়া উপলক্ষে সর্বশেষ জনসম্মুখে হাজির হয়েছিলেন তিনি।
No comments