কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ-চুক্তি বাস্তবায়ন না হলে পাহাড় আবার অশান্ত হবে : সন্তু লারমা
পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন না হলে পার্বত্যাঞ্চল আবার অশান্ত হয়ে উঠবে। জুম্ম (পাহাড়ি) জনগণ চুক্তি বাস্তবায়নের বাধা অপসারণে ক্ষান্ত থাকবে না। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সমাধানে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। কিন্তু গত ১৪ বছরেও চুক্তি বাস্তবায়ন না করে একে চরম অবমূল্যায়ন করা হয়েছে, সৃষ্টি করা হয়েছে
অচলাবস্থা। আদিবাসীদের প্রতি কোনো সরকারই যে আন্তরিক নয়, এত দিনে তা প্রমাণিত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত গণসমাবেশে সভাপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। শান্তিচুক্তির ১৪তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জনসংহতি সমিতি ও আদিবাসী ফোরামের যৌথ উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে চুক্তি বাস্তবায়নে সময়সূচিভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) ঘোষণার পাশাপাশি আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি জানানো হয়। এতে পাহাড় ও সমতলের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শত শত ভাষাগত সংখ্যালঘু জনজাতির নারী-পুরুষ ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অংশ নেয়।
সাবেক গেরিলা নেতা সন্তু লারমা তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে আগামী মার্চের শেষ ভাগে পাহাড়ে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে আরো বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে। যখন যা প্রয়োজন তা করতে জুম্ম জনগণ প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে সন্তু লারমা বলেন, ১৯৯৭ সালে আপনার সরকারের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ ৩০ নভেম্বর শেষ হয়েছিল। সে সময় বিশেষ দূত মাধ্যমে আপনি যে ১০টি বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা কি ভুলে গেছেন? আপনি তখন বলেছিলেন, 'আমি পার্বত্য সমস্যার সমাধান দেব। পাহাড়িদের শান্তি, উন্নতি ও প্রগতির দিকে নিয়ে যাব।' আজ কোথায় আপনার সেই প্রতিশ্রুতি?
সন্তু লারমা আরো বলেন, গত ৪০ বছরে এ দেশে অনেক সরকার এসেছে, বিদায় নিয়েছে। কিন্তু সারা দেশের আদিবাসীরা একই তিমিরে রয়ে গেছে। কোনো সরকারই গণতান্ত্রিক মনোভাব নিয়ে আদিবাসীদের পাশে এসে দাঁড়ায়নি। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাংবিধানিকভাবে আদিবাসীদের 'বাঙালি' অভিধায় চিহ্নিত করেছিলেন। বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার একইভাবে আদিবাসীদের জাতিগত পরিচয় চিরতরে ভূলুণ্ঠিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে জনসংহতি সমিতির শক্তিপদ ত্রিপুরা, আদিবাসী ফোরামের সঞ্জিব দ্রং, আদিবাসী পরিষদের রবীন্দ্রনাথ সরেণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডালেম চন্দ্র বর্মণ, সিপিবির সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, নারীনেত্রী রোকেয়া কবির, উন্নয়নকর্মী তন্দ্রা চাকমা, শামসুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রুবায়েত ফেরদৌস প্রমুখ বক্তব্য দেন।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত গণসমাবেশে সভাপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। শান্তিচুক্তির ১৪তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জনসংহতি সমিতি ও আদিবাসী ফোরামের যৌথ উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে চুক্তি বাস্তবায়নে সময়সূচিভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) ঘোষণার পাশাপাশি আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি জানানো হয়। এতে পাহাড় ও সমতলের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শত শত ভাষাগত সংখ্যালঘু জনজাতির নারী-পুরুষ ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অংশ নেয়।
সাবেক গেরিলা নেতা সন্তু লারমা তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে আগামী মার্চের শেষ ভাগে পাহাড়ে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে আরো বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে। যখন যা প্রয়োজন তা করতে জুম্ম জনগণ প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে সন্তু লারমা বলেন, ১৯৯৭ সালে আপনার সরকারের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ ৩০ নভেম্বর শেষ হয়েছিল। সে সময় বিশেষ দূত মাধ্যমে আপনি যে ১০টি বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা কি ভুলে গেছেন? আপনি তখন বলেছিলেন, 'আমি পার্বত্য সমস্যার সমাধান দেব। পাহাড়িদের শান্তি, উন্নতি ও প্রগতির দিকে নিয়ে যাব।' আজ কোথায় আপনার সেই প্রতিশ্রুতি?
সন্তু লারমা আরো বলেন, গত ৪০ বছরে এ দেশে অনেক সরকার এসেছে, বিদায় নিয়েছে। কিন্তু সারা দেশের আদিবাসীরা একই তিমিরে রয়ে গেছে। কোনো সরকারই গণতান্ত্রিক মনোভাব নিয়ে আদিবাসীদের পাশে এসে দাঁড়ায়নি। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাংবিধানিকভাবে আদিবাসীদের 'বাঙালি' অভিধায় চিহ্নিত করেছিলেন। বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার একইভাবে আদিবাসীদের জাতিগত পরিচয় চিরতরে ভূলুণ্ঠিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে জনসংহতি সমিতির শক্তিপদ ত্রিপুরা, আদিবাসী ফোরামের সঞ্জিব দ্রং, আদিবাসী পরিষদের রবীন্দ্রনাথ সরেণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডালেম চন্দ্র বর্মণ, সিপিবির সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, নারীনেত্রী রোকেয়া কবির, উন্নয়নকর্মী তন্দ্রা চাকমা, শামসুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রুবায়েত ফেরদৌস প্রমুখ বক্তব্য দেন।
No comments