সুনামগঞ্জে ধানের অনুপযুক্ত ১২০০ হেক্টর জমিতে শিম চাষ by শামস শামীম,
ধান চাষের অনুপযুক্ত বিস্তীর্ণ বালুভূমিতে শিম চাষ করেছেন সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মথুরাকান্দি ইউনিয়নের চাষিরা। শিম চাষে এলাকার পাঁচ শতাধিক কৃষক পরিবার এখন স্বাবলম্বী। সরেজমিন ইউনিয়নের বাঘবের, আক্তাপাড়া, চালবন্দ, মাঝের টেক, জিনারপুর, রামপুর, ঘরেরগাঁও ঘুরে দেখা গেছে, গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চাষ হয়েছে সবুজ শিম। উত্তরে হাওয়ায় ঢেউ খেলানো ক্ষেত থেকে মনের আনন্দে শিম তুলছেন কৃষকরা।
চাষ হয়েছে পলাইশ্যা ও জিনারপুরী প্রজাতির শিষ। স্থানীয়ভাবে এ বীজ কৃষকরা তৈরি করেছেন।বিশ্বম্ভরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১০-১১ অর্থবছরে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় পাঁচ শতাধিক চাষি এক হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে শিম চাষ করেছেন। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ হাইব্রীড এবং বাকি ৬০ শতাংশ দেশীয়। তবে উপজেলার অন্য ইউনিয়নের চেয়ে সলুকাবাদ ইউনিয়নেই সবচেয়ে বেশি চাষ হয়ে থাকে শিম। এলাকার যেসব বেলে-দোঁআশ মাটিতে ধান চাষ হয় না, সেসব জমিতেই শিমসহ অন্যান্য সবজির চাষ হয়। চার দশক ধরে এ এলাকায় ধানের বদলে বিভিন্ন ধরনের ফসলের চাষ হচ্ছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়।
আক্তাপাড়া গ্রামের শিমচাষি আবদুল জানের স্ত্রী মিনারা বেগম জানান, চলতি মৌসুমে তাঁর স্বামী ৫০ শতাংশ জমিতে শিম চাষ করেছেন। গত ভাদ্র মাসে বীজ বুনেছেন। কার্তিক মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শিম তুলে বাজারে বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে। দিন যত এগোতে থাকবে ফলন তত বাড়বে। তিনি আরো জানান, ৫০ শতাংশ জমিতে তাঁর স্বামী শিম চাষ করেছেন। তাঁদের সর্বমোট খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। আশা করছেন, ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার শিম বিক্রি করতে পারবেন। গত ২০ বছর ধরে তাঁর স্বামী এই বিস্তীর্ণ বালুভূমিতে শিম চাষ করছেন বলে জানান মিনারা। একই গ্রামের কৃষক তাজুল ইসলাম জানান, পাহাড়ি ঢলে নেমে আসা বালুতে তাঁদের এলাকার আমনধানি জমি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এই বিস্তীর্ণ বালুভূমিতে ধান ফলত না। তাই কৃষকরা ধানের বদলে ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে শিমসহ বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষ করছেন। এবার প্রায় তিন একর ভূমিতে প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ করে শিম চাষ করেছেন। আশা করছেন, তিন লাখ টাকার শিম বিক্রি করতে পারবেন। তবে শিম চাষ লাভজনক হলেও তা বেশ কষ্টসাধ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফলন আসার পর প্রতিদিনই কীটনাশক দিতে হয়। তা না হলে ক্ষেতে পোকার আক্রমণ ঘটে। গত বছর তিনি অফিসারের কথায় কীটনাশক পিজিআর ব্যবহারের কারলে তাঁর প্রায় এক লাখ টাকার ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই এলাকার কৃষকরা ভায়া, সিনজেনটাসহ বিভিন্ন কম্পানির কীটনাশক ব্যবহার করেন বলে তিনি জানান।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এ টি এম শফিকুল ইসলাম বলেন, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মথুরাকান্দিতে দীর্ঘদিন ধরে শিম চাষ হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে মাঠপর্যায়ের চাষিকে চাষে কেন সহায়তা এবং পরামর্শ দেওয়া হয় না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাঁরা আমাদের কাছে আসেন তাঁদের আমরা পরামর্শ দিয়ে থাকি। ক্ষেতে পোকা ধরলে কীটনাশক ছিটানোর কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, আমরা সরকারি চাকরি করি, কোনো কম্পানির প্রতিনিধিত্ব করি না। তবে উন্নত ফলন এবং ক্ষেতে পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য কীটনাশক ব্যবহারের বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন।
আক্তাপাড়া গ্রামের শিমচাষি আবদুল জানের স্ত্রী মিনারা বেগম জানান, চলতি মৌসুমে তাঁর স্বামী ৫০ শতাংশ জমিতে শিম চাষ করেছেন। গত ভাদ্র মাসে বীজ বুনেছেন। কার্তিক মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শিম তুলে বাজারে বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে। দিন যত এগোতে থাকবে ফলন তত বাড়বে। তিনি আরো জানান, ৫০ শতাংশ জমিতে তাঁর স্বামী শিম চাষ করেছেন। তাঁদের সর্বমোট খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। আশা করছেন, ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার শিম বিক্রি করতে পারবেন। গত ২০ বছর ধরে তাঁর স্বামী এই বিস্তীর্ণ বালুভূমিতে শিম চাষ করছেন বলে জানান মিনারা। একই গ্রামের কৃষক তাজুল ইসলাম জানান, পাহাড়ি ঢলে নেমে আসা বালুতে তাঁদের এলাকার আমনধানি জমি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এই বিস্তীর্ণ বালুভূমিতে ধান ফলত না। তাই কৃষকরা ধানের বদলে ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে শিমসহ বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষ করছেন। এবার প্রায় তিন একর ভূমিতে প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ করে শিম চাষ করেছেন। আশা করছেন, তিন লাখ টাকার শিম বিক্রি করতে পারবেন। তবে শিম চাষ লাভজনক হলেও তা বেশ কষ্টসাধ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফলন আসার পর প্রতিদিনই কীটনাশক দিতে হয়। তা না হলে ক্ষেতে পোকার আক্রমণ ঘটে। গত বছর তিনি অফিসারের কথায় কীটনাশক পিজিআর ব্যবহারের কারলে তাঁর প্রায় এক লাখ টাকার ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই এলাকার কৃষকরা ভায়া, সিনজেনটাসহ বিভিন্ন কম্পানির কীটনাশক ব্যবহার করেন বলে তিনি জানান।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এ টি এম শফিকুল ইসলাম বলেন, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মথুরাকান্দিতে দীর্ঘদিন ধরে শিম চাষ হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে মাঠপর্যায়ের চাষিকে চাষে কেন সহায়তা এবং পরামর্শ দেওয়া হয় না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাঁরা আমাদের কাছে আসেন তাঁদের আমরা পরামর্শ দিয়ে থাকি। ক্ষেতে পোকা ধরলে কীটনাশক ছিটানোর কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, আমরা সরকারি চাকরি করি, কোনো কম্পানির প্রতিনিধিত্ব করি না। তবে উন্নত ফলন এবং ক্ষেতে পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য কীটনাশক ব্যবহারের বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন।
No comments