দেশি বাজারে হঠাৎ করেই বাড়ল স্বর্ণের দাম
দেশীয় বাজারে হঠাৎ করেই বাড়ল স্বর্ণের দাম। গতকাল থেকে কার্যকর হওয়া নতুন দর অনুযায়ী প্রতি ভরিতে দাম বেড়েছে ১২শ' টাকার বেশি। যদিও প্রতিদিন আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কমছে। দেশি বাজারে স্বর্ণের সংকট এবং শীত মৌসুমকে কেন্দ্র করে এই দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানান, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। নতুন দর অনুযায়ী ভরি প্রতি ২২ ক্যারেট মানের স্বর্ণের দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৫৭ হাজার ৩৮৬ টাকায় নির্ধারণ করা হয়।
এতদিন এ হার ছিল ৫৬ হাজার ১০৩ টাকা। ২১ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ১ হাজার ২২৪ টাকা বাড়িয়ে ৫৪ হাজার ৮২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ মানের স্বর্ণের আগের দর ছিল ৫৩ হাজার ৫৯৬ টাকা। ১৮ ক্যারেট স্বর্ণে ১ হাজার ৩৯৯ টাকা বাড়িয়ে ৪৭ হাজার ৫ টাকায় নির্ধারণ করা হয়। এ মানের স্বর্ণের আগের দর ছিল ৪৫ হাজার ৯৫৬ টাকা। রুপা গ্রামপ্রতি দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৬৯১ টাকা। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি সূত্রে নতুন দর জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম পড়তির দিকে থাকা সত্ত্বেও দেশীয় বাজারে কেন দাম বাড়ানো হলো এ প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহিন গতকাল সমকালকে জানান, এবার দর বাড়ানোর কারণ মূলত দেশীয় বাজারে স্বর্ণের সংকট। দেশে স্বর্ণের জোগান অস্বাভাবিক হারে কমে গেছে। ভরিপ্রতি ব্যবসায়ীদেরই কিনতে হচ্ছে ৫২ হাজার টাকায়। এর পর লাভ। সে কারণে দাম না বাড়িয়ে কোনো উপায় ছিল না। শাহিন জানান, গ্রামগঞ্জ থেকে ১ আনা ২ আনা করে স্বর্ণ সংগ্রহ করে চলছে দেশীয় স্বর্ণের বাজার। স্বর্ণের আন্তর্জাতিক দর প্রসঙ্গে তিনি জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দর ওঠানামা করছে। গ্রিসের পর ইতালি সংকট এবং মধ্যপ্রাচ্যসহ আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে স্বর্ণের দর আরও বেড়ে যেতে পারে। আউন্সপ্রতি ১৮০০ ডলার দর ধরে তারা দাম নির্ধারণ করেছেন বলে জানান তিনি। তবে আন্তর্জাতিক বাজার দর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতকাল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের গড় দর ছিল ১৭৭৬ ডলার। স্বর্ণের বেচাবিক্রি প্রসঙ্গে শাহিন জানান, শীত মৌসুমে বিয়েশাদিকে কেন্দ্র করে স্বর্ণের স্বর্ণের চাহিদা বেড়ে যায়। এ বছর আসন্ন বিক্রি মৌসুমে যাতে দাম না বাড়ে সে বিষয়ে তারা সতর্ক ছিলেন। তারপরও সংকটের কারণে দাম বাড়াতে হয়েছে। তিনি বলেন, দেশি এবং বিদেশি বাজার পরিস্থিতি অনুকূল হলে তারা আবারও স্বর্ণের দাম কমিয়ে আনবেন। গতকালের পুনর্নির্ধারিত দরসহ চলতি বছর ২৩ বার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম পুনর্নির্ধারণ করা হলো।
আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম পড়তির দিকে থাকা সত্ত্বেও দেশীয় বাজারে কেন দাম বাড়ানো হলো এ প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহিন গতকাল সমকালকে জানান, এবার দর বাড়ানোর কারণ মূলত দেশীয় বাজারে স্বর্ণের সংকট। দেশে স্বর্ণের জোগান অস্বাভাবিক হারে কমে গেছে। ভরিপ্রতি ব্যবসায়ীদেরই কিনতে হচ্ছে ৫২ হাজার টাকায়। এর পর লাভ। সে কারণে দাম না বাড়িয়ে কোনো উপায় ছিল না। শাহিন জানান, গ্রামগঞ্জ থেকে ১ আনা ২ আনা করে স্বর্ণ সংগ্রহ করে চলছে দেশীয় স্বর্ণের বাজার। স্বর্ণের আন্তর্জাতিক দর প্রসঙ্গে তিনি জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দর ওঠানামা করছে। গ্রিসের পর ইতালি সংকট এবং মধ্যপ্রাচ্যসহ আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে স্বর্ণের দর আরও বেড়ে যেতে পারে। আউন্সপ্রতি ১৮০০ ডলার দর ধরে তারা দাম নির্ধারণ করেছেন বলে জানান তিনি। তবে আন্তর্জাতিক বাজার দর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতকাল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের গড় দর ছিল ১৭৭৬ ডলার। স্বর্ণের বেচাবিক্রি প্রসঙ্গে শাহিন জানান, শীত মৌসুমে বিয়েশাদিকে কেন্দ্র করে স্বর্ণের স্বর্ণের চাহিদা বেড়ে যায়। এ বছর আসন্ন বিক্রি মৌসুমে যাতে দাম না বাড়ে সে বিষয়ে তারা সতর্ক ছিলেন। তারপরও সংকটের কারণে দাম বাড়াতে হয়েছে। তিনি বলেন, দেশি এবং বিদেশি বাজার পরিস্থিতি অনুকূল হলে তারা আবারও স্বর্ণের দাম কমিয়ে আনবেন। গতকালের পুনর্নির্ধারিত দরসহ চলতি বছর ২৩ বার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম পুনর্নির্ধারণ করা হলো।
No comments