ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে চলছে ডিডিএস by জয়দেব দাশ ও সোহেল সামাদ
ডুয়েটের যান্ত্রিক জীবনে নিয়মতান্ত্রিক পড়াশোনার পাশাপাশি একটু আনন্দের স্বাদ খুঁজতে কিংবা একঘেয়েমি কাটিয়ে জীবনটাকে সৃষ্টিশীলতার রঙে রাঙাতে কতটুকু সময়ই আর অবশিষ্ট থাকে সেখানকার শিক্ষার্থীদের হাতে। তবে এর পরও নিজেকে একটু ব্যতিক্রমভাবে উপস্থাপন করার জন্য প্রত্যেকেই কিছু না কিছু করার চেষ্টা করেন। তেমনি কিছু উদ্যমী শিক্ষার্থী, যারা যুক্তিতর্কের মাধ্যমে সত্যটিকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান জীবনে।
উপস্থাপনায় যারা চান সৌন্দর্য-শৈলীর ব্যবহার_ তাদের সম্মিলিত একটি সংগঠন ডুয়েট ডিবেটিং সোসাইটি(ডিডিএস)।
'লক্ষ্যহীন প্রতিবাদ নয়, নয় অর্থহীন প্রতিশ্রুতি, চাই নিয়মতান্ত্রিক তর্কবিতর্ক'_ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ২০০৯ সালে পথচলা শুরু করে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি। ওই সময়কার বিভিন্ন বর্ষের কিছু তরুণের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল আজকের ডিডিএস। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যদের মধ্যে ছিলেন যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ আসিফ আহম্মেদ, মনজুরুল হক মন্জু, সাখাওয়াত হোসেন, মোজাম্মেল হক, বেলাল হোসাইন, তড়িৎকৌশল বিভাগের রায়হান কবির এবং পুরকৌশল বিভাগের ঋতু।
তবে প্রতিষ্ঠার প্রথমদিকে বিতর্কের কার্যক্রম তেমনভাবে শুরু করা সম্ভব হয়নি। প্রাথমিকভাবে তখনকার সদস্যরা ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সপ্তাহে দুই দিন কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর আলোচনা করতেন। পরে ২০১০ সেশনে সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুলের নেতৃত্বে সংগঠনটির কার্যক্রম কিছুটা ব্যাপকতা লাভ করে। আর বর্তমান সেশনে সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত অংশগ্রহণে সংগঠনটির প্রসারতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুরুতে হাতেগোনা কয়েকজন সদস্য থাকলেও বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা দুই শতাধিক। ডুয়েট ডিবেটিং সোসাইটির সদস্য হতে হলে বিতর্কে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের একশ' টাকার বিনিময়ে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করার মাধ্যমে ভর্তি হতে হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংগঠনটির কার্যক্রম দ্রুত সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে সংগঠনটি প্রতি সপ্তাহে অন্তত তিন দিন বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় বিতর্কের প্রশিক্ষণ এবং মাসে অন্তত একদিন ওয়ার্কশপ করে থাকে। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মারুফ বলেন, ডুয়েটের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর জীবনটাকে অনেক সময়ই একঘেয়ে মনে হয়। এই একঘেয়েমি কাটাতে বিতর্ক অন্যতম ভূমিকা পালন করে। কেননা বিতর্ক করতে গিয়ে একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে হয়।
এ পর্যন্ত সংগঠনটি ক্যাম্পাসে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রায় ডজনখানেক বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের বাইরেও রয়েছে তাদের সফল অংশগ্রহণ। ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন (এনডিএফ) আয়োজিত জাতীয় বিতর্কে অংশগ্রহণ, বিডিএফ আয়োজিত বিতর্ক এবং এটিএন বাংলার সহযোগিতায় ক্যামব্রিয়ান পার্লামেন্ট বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য। নবীন এই সংগঠনটি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
ডিডিএসের উপদেষ্টা যন্ত্রকৌশল বিভাগের প্রভাষক মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, 'কোন বিষয় নিয়ে বিতর্ক করতে গিয়ে বিষয়টির আদ্যোপান্ত জানা হয়ে যায়, যা একজন শিক্ষার্থীকে অনেক বেশি তথ্যাভিজ্ঞ করে তোলে।' বিতর্ক একজন মানুষকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করে বলে মনে করেন ডিডিএসের মডারেটর যন্ত্রকৌশল বিভাগের প্রভাষক সুমা চক্রবর্তী। তিনি বলেন, জোরের যুক্তি নয়, যুক্তির জোরই আমাদের তরুণদের মূলমন্ত্র হোক।' সংগঠনটির নেতাদের প্রত্যাশা_ ভবিষ্যতে নতুন সদস্যরা এই সংগঠনকে আরও গতিশীল করবে।
'লক্ষ্যহীন প্রতিবাদ নয়, নয় অর্থহীন প্রতিশ্রুতি, চাই নিয়মতান্ত্রিক তর্কবিতর্ক'_ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ২০০৯ সালে পথচলা শুরু করে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি। ওই সময়কার বিভিন্ন বর্ষের কিছু তরুণের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল আজকের ডিডিএস। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যদের মধ্যে ছিলেন যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ আসিফ আহম্মেদ, মনজুরুল হক মন্জু, সাখাওয়াত হোসেন, মোজাম্মেল হক, বেলাল হোসাইন, তড়িৎকৌশল বিভাগের রায়হান কবির এবং পুরকৌশল বিভাগের ঋতু।
তবে প্রতিষ্ঠার প্রথমদিকে বিতর্কের কার্যক্রম তেমনভাবে শুরু করা সম্ভব হয়নি। প্রাথমিকভাবে তখনকার সদস্যরা ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সপ্তাহে দুই দিন কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর আলোচনা করতেন। পরে ২০১০ সেশনে সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুলের নেতৃত্বে সংগঠনটির কার্যক্রম কিছুটা ব্যাপকতা লাভ করে। আর বর্তমান সেশনে সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত অংশগ্রহণে সংগঠনটির প্রসারতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুরুতে হাতেগোনা কয়েকজন সদস্য থাকলেও বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা দুই শতাধিক। ডুয়েট ডিবেটিং সোসাইটির সদস্য হতে হলে বিতর্কে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের একশ' টাকার বিনিময়ে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করার মাধ্যমে ভর্তি হতে হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংগঠনটির কার্যক্রম দ্রুত সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে সংগঠনটি প্রতি সপ্তাহে অন্তত তিন দিন বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় বিতর্কের প্রশিক্ষণ এবং মাসে অন্তত একদিন ওয়ার্কশপ করে থাকে। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মারুফ বলেন, ডুয়েটের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর জীবনটাকে অনেক সময়ই একঘেয়ে মনে হয়। এই একঘেয়েমি কাটাতে বিতর্ক অন্যতম ভূমিকা পালন করে। কেননা বিতর্ক করতে গিয়ে একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে হয়।
এ পর্যন্ত সংগঠনটি ক্যাম্পাসে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রায় ডজনখানেক বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের বাইরেও রয়েছে তাদের সফল অংশগ্রহণ। ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন (এনডিএফ) আয়োজিত জাতীয় বিতর্কে অংশগ্রহণ, বিডিএফ আয়োজিত বিতর্ক এবং এটিএন বাংলার সহযোগিতায় ক্যামব্রিয়ান পার্লামেন্ট বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য। নবীন এই সংগঠনটি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
ডিডিএসের উপদেষ্টা যন্ত্রকৌশল বিভাগের প্রভাষক মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, 'কোন বিষয় নিয়ে বিতর্ক করতে গিয়ে বিষয়টির আদ্যোপান্ত জানা হয়ে যায়, যা একজন শিক্ষার্থীকে অনেক বেশি তথ্যাভিজ্ঞ করে তোলে।' বিতর্ক একজন মানুষকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করে বলে মনে করেন ডিডিএসের মডারেটর যন্ত্রকৌশল বিভাগের প্রভাষক সুমা চক্রবর্তী। তিনি বলেন, জোরের যুক্তি নয়, যুক্তির জোরই আমাদের তরুণদের মূলমন্ত্র হোক।' সংগঠনটির নেতাদের প্রত্যাশা_ ভবিষ্যতে নতুন সদস্যরা এই সংগঠনকে আরও গতিশীল করবে।
No comments