প্রা ণি জ গ ৎ-ব্যাঙ ভয়ঙ্কর!
বিশাল এক দৈত্য ঢুকে পড়েছে শহরে। ভেঙে সব চুরমার করে দিচ্ছে! দৈত্যটির হুঙ্কারে প্রকম্পিত হচ্ছে ভূমি, গাছপালা। দালানকোঠা নড়ে উঠছে! দৈত্যটি ধরতে পিছে পিছে ছুটছে আইন-শৃঙ্খলা ও সামরিক বাহিনীর সদস্যসহ সাংবাদিকরা। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই দৈত্যটিকে থামানো যাচ্ছে না, ধরে ফেলা তো দূরের কথা। বিশালদেহী প্রাণীটির কাছে মানুষ পিঁপড়ার মতোই অসহায়। রূপকথার এ দৈত্যটির নাম গডজিলা।
তবে আচার-আচরণে ততটা ভয়ঙ্কর না হলেও পৃথিবীতে আছে টডজিলা নামে একটি প্রাণী। ওজন ৮৬১ গ্রাম আর দৈর্ঘ্য ৮ ইঞ্চি। আকার-আকৃতিতে ব্যাঙটি দেখতে ছোটখাটো কুকুরের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। যা-ই হোক, বিশাল বপুর এ ব্যাঙটি প্রথম দেখা যায় উত্তর অস্ট্রেলিয়ার ডারউইন এলাকার একটি আখ ক্ষেতে। সাধারণ ব্যাঙের চেয়ে দেখতে অনেক বড় হওয়ায় বিজ্ঞানীরা বিশালাকৃতির দৈত্য গডজিলার নামানুসারেই এটির নাম রেখেছেন টডজিলা। অবশ্য টডজিলা রাখার পেছনে আরও কিছু যুক্তি ছিল। টডজিলার মুখ ও চাহনি অনেকটা গডজিলার মতোই ।
টডজিলা আকার-আকৃতিতে যেমন বড়, তেমনি আচার-আচরণেও ভয়ঙ্কর। প্রাণিবিজ্ঞানীদের মতে, টডজিলাকে কোনো প্রাণীই ভক্ষণ করতে পারে না, মানে পেটে সহ্য করতে পারে না। কারণ, প্রাণীটি অসম্ভব বিষাক্ত। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হাওয়াই থেকে প্রথমে এ ব্যাঙ অস্ট্রেলিয়ায় আমদানি করা হয় ফসল বিনষ্টকারী ছোট পোকামাকড় ধ্বংস করার জন্য। শুরুতে প্রাণীটিকে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডসের বিভিন্ন এলাকার আবাদী ভূমিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। টডজিলা দ্রুত বংশবিস্তার করতে থাকে। একসময় ছড়িয়ে পড়ে পুরো অস্ট্রেলিয়ায়। বংশবিস্তার ঘটে অনেকটা নীরবেই। অবশ্য ব্যাঙগুলোও নিভৃতচারী। ফলে এ নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা ছিল না। কিন্তু এখন যেন চক্ষুশূল। কারণ, বিষাক্ত এ প্রাণীটির সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। ২০০৭ খ্রিস্টাব্দেই অনুমান করা হয়েছিল, অস্ট্রেলিয়ায় টডজিলার সংখ্যা বিশ কোটিরও বেশি। কত্ত বড় ভয়ঙ্কর কথা! কারণ, প্রাণীটি ভক্ষণ করে ইতিমধ্যেই বিষক্রিয়ায় মারা গেছে সাপ, কুমির থেকে শুরু করে আরও অসংখ্য বড় বড় প্রাণী!
টডজিলা অস্ট্রেলিয়াবাসীর কাছে এখন যেন 'খাল কেটে কুমির আনা'র মতো ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। না পারছেন গিলতে, না পারছেন উগরে ফেলে দিতে। পরিবেশবাদীরাও চাচ্ছেন প্রাণীটির দ্রুত বিনাশ। রূপকথার গডজিলার মতোই হয়তো টডজিলাও বিদায় নেবে দুনিয়া থেকে আর তার আয়োজনও চলছে অস্ট্রেলিয়ায়!
সোহাগ আহমেদ
টডজিলা আকার-আকৃতিতে যেমন বড়, তেমনি আচার-আচরণেও ভয়ঙ্কর। প্রাণিবিজ্ঞানীদের মতে, টডজিলাকে কোনো প্রাণীই ভক্ষণ করতে পারে না, মানে পেটে সহ্য করতে পারে না। কারণ, প্রাণীটি অসম্ভব বিষাক্ত। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হাওয়াই থেকে প্রথমে এ ব্যাঙ অস্ট্রেলিয়ায় আমদানি করা হয় ফসল বিনষ্টকারী ছোট পোকামাকড় ধ্বংস করার জন্য। শুরুতে প্রাণীটিকে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডসের বিভিন্ন এলাকার আবাদী ভূমিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। টডজিলা দ্রুত বংশবিস্তার করতে থাকে। একসময় ছড়িয়ে পড়ে পুরো অস্ট্রেলিয়ায়। বংশবিস্তার ঘটে অনেকটা নীরবেই। অবশ্য ব্যাঙগুলোও নিভৃতচারী। ফলে এ নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা ছিল না। কিন্তু এখন যেন চক্ষুশূল। কারণ, বিষাক্ত এ প্রাণীটির সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। ২০০৭ খ্রিস্টাব্দেই অনুমান করা হয়েছিল, অস্ট্রেলিয়ায় টডজিলার সংখ্যা বিশ কোটিরও বেশি। কত্ত বড় ভয়ঙ্কর কথা! কারণ, প্রাণীটি ভক্ষণ করে ইতিমধ্যেই বিষক্রিয়ায় মারা গেছে সাপ, কুমির থেকে শুরু করে আরও অসংখ্য বড় বড় প্রাণী!
টডজিলা অস্ট্রেলিয়াবাসীর কাছে এখন যেন 'খাল কেটে কুমির আনা'র মতো ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। না পারছেন গিলতে, না পারছেন উগরে ফেলে দিতে। পরিবেশবাদীরাও চাচ্ছেন প্রাণীটির দ্রুত বিনাশ। রূপকথার গডজিলার মতোই হয়তো টডজিলাও বিদায় নেবে দুনিয়া থেকে আর তার আয়োজনও চলছে অস্ট্রেলিয়ায়!
সোহাগ আহমেদ
No comments