প্রেসিডেন্ট আসাদকে পদত্যাগের আহ্বান জর্ডানের বাদশাহর
সিরিয়ার বিরুদ্ধে আরব লিগের কঠোর অবস্থানের পর প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ গত সোমবার প্রেসিডেন্ট আসাদের প্রতি পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন। এতে আসাদের ক্ষুব্ধ সমর্থকেরা সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে জর্ডানের দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে।
এদিকে গত সোমবার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সরকারবিরোধীদের সহিংসতায় ৭০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
আরব দেশগুলোর সংগঠন আরব লিগ গত শনিবার সিরিয়াকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার এবং দেশটির ওপর অবরোধ আরোপ করে। সোমবার জর্ডানের বাদশা আবদুল্লাহ প্রেসিডেন্ট আসাদকে পদত্যাগের আহ্বান জানান। আরব দেশগুলোর প্রথম নেতা বাদশা আবদুল্লাহ, যিনি প্রেসিডেন্ট আসাদকে সরাসরি পদত্যাগের আহ্বান জানালেন। আর এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আসাদের সমর্থকেরা দামেস্কে জর্ডানের দূতাবাসে হামলা চালায়।
সিরিয়ায় নিযুক্ত জর্ডানের রাষ্ট্রদূত ওমর আল আমাদ বলেন, ১২০ জনের মতো বিক্ষোভকারী সোমবার সন্ধ্যার দিকে দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। তাদের মধ্যে দুজন দূতাবাস চত্বরে ঢুকে সেখানে থাকা জর্ডানের পতাকা ছিঁড়ে ফেলে। তিনি অভিযোগ করেন, এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের থামানোর চেষ্টা করেননি। আন্তর্জাতিক নীতি অনুযায়ী, জর্ডান দূতাবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে সিরিয়া।
গত সোমবার বাদশা আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমি যদি প্রেসিডেন্ট আসাদের জায়গায় থাকতাম, তাহলে পদত্যাগ করতাম। দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকলে তাঁর (আসাদ) পদত্যাগ করা উচিত।’
সিরিয়ার যুক্তরাজ্যভিত্তিক অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের তথ্যমতে, গত সোমবার নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ২৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। এ সময় সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংসতায় ৩৪ জন সেনা ও ১২ জন পক্ষত্যাগী সেনা নিহত হয়। সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের দারা প্রদেশে বেশির ভাগ নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, খেরবেট গাজেল ও হিরাক শহরের সংযোগ সড়কে গুলি চালিয়ে ২৩ জনকে হত্যা করে নিরাপত্তা বাহিনী। একই এলাকায় সশস্ত্র জনতার সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংসতায় ৩৪ জন সেনা ও ১২ জন পক্ষত্যাগী সেনা মারা যায়।
একই দিনে হোমস শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে চারজন নিহত হয়।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, গত ১৫ মার্চ সিরিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। দেশটির দারা প্রদেশ থেকে এই সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়।
এদিকে গত সোমবার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সরকারবিরোধীদের সহিংসতায় ৭০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
আরব দেশগুলোর সংগঠন আরব লিগ গত শনিবার সিরিয়াকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার এবং দেশটির ওপর অবরোধ আরোপ করে। সোমবার জর্ডানের বাদশা আবদুল্লাহ প্রেসিডেন্ট আসাদকে পদত্যাগের আহ্বান জানান। আরব দেশগুলোর প্রথম নেতা বাদশা আবদুল্লাহ, যিনি প্রেসিডেন্ট আসাদকে সরাসরি পদত্যাগের আহ্বান জানালেন। আর এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আসাদের সমর্থকেরা দামেস্কে জর্ডানের দূতাবাসে হামলা চালায়।
সিরিয়ায় নিযুক্ত জর্ডানের রাষ্ট্রদূত ওমর আল আমাদ বলেন, ১২০ জনের মতো বিক্ষোভকারী সোমবার সন্ধ্যার দিকে দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। তাদের মধ্যে দুজন দূতাবাস চত্বরে ঢুকে সেখানে থাকা জর্ডানের পতাকা ছিঁড়ে ফেলে। তিনি অভিযোগ করেন, এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের থামানোর চেষ্টা করেননি। আন্তর্জাতিক নীতি অনুযায়ী, জর্ডান দূতাবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে সিরিয়া।
গত সোমবার বাদশা আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমি যদি প্রেসিডেন্ট আসাদের জায়গায় থাকতাম, তাহলে পদত্যাগ করতাম। দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকলে তাঁর (আসাদ) পদত্যাগ করা উচিত।’
সিরিয়ার যুক্তরাজ্যভিত্তিক অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের তথ্যমতে, গত সোমবার নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ২৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। এ সময় সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংসতায় ৩৪ জন সেনা ও ১২ জন পক্ষত্যাগী সেনা নিহত হয়। সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের দারা প্রদেশে বেশির ভাগ নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, খেরবেট গাজেল ও হিরাক শহরের সংযোগ সড়কে গুলি চালিয়ে ২৩ জনকে হত্যা করে নিরাপত্তা বাহিনী। একই এলাকায় সশস্ত্র জনতার সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংসতায় ৩৪ জন সেনা ও ১২ জন পক্ষত্যাগী সেনা মারা যায়।
একই দিনে হোমস শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে চারজন নিহত হয়।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, গত ১৫ মার্চ সিরিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। দেশটির দারা প্রদেশ থেকে এই সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়।
No comments