অস্ট্রেলিয়া সফরে ওবামা-আড়াই হাজার সেনা মোতায়েনের ঘোষণা-* আগামী বছর থেকে ডারউইনে মেরিন সেনা মোতায়েন শুরু হবে * চীনের উদ্বেগ
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সামরিক বন্ধন আরো জোরদার করছে যুক্তরাষ্ট্র। এর অংশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার নর্দার্ন টেরিটরিতে আড়াই হাজার মার্কিন মেরিন সেনা মোতায়েন করা হবে। গতকাল বুধবার ক্যানবেরায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।২৮ ঘণ্টার সফরে গতকাল অস্ট্রেলিয়ায় পেঁৗছান ওবামা। আজ বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে তাঁর ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে।
এতে তিনি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির ব্যাপারে আলোকপাত করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে ওবামা দাবি করেন, 'পুরো প্রশান্ত-মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ে তাদের প্রতিশ্রুতিকে এগিয়ে নিতে' এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তবে সেনা মোতায়েনের ব্যাপারটি 'হয়তো পুরোপুরি সঠিক হবে না' বলে মনে করে চীন। তাদের এ মনোভাব প্রকাশের ফলে এ অঞ্চল সম্পর্কে ওবামার প্রতিশ্রুতি রক্ষার ব্যাপারটিকে নিরুৎসাহিত করা হলো বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তাদের দাবি, বর্তমান বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের বিপরীতে অস্ট্রেলিয়াকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
ওবামা ও গিলার্ডের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী বছরের মাঝামাঝিতে নর্দার্ন টেরিটরির রাজধানী ডারউইন শহরে প্রথম দফায় ২৫০ জন মেরিন সেনা মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে এ সংখ্যা আড়াই হাজারে উন্নীত করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে গিলার্ড বলেন, 'দুদেশের মধ্যকার ৬০ বছরের সম্পর্ক জোরদার করতে আমরা উভয়পক্ষ একমত হয়েছি। আগামী দিনগুলোর জন্য এ সম্পর্ককে ধরে রাখা হবে।'
চীন প্রসঙ্গে ওবামা বলেন, 'চীনের শান্তিপূর্ণ উন্নতিকে আমরা স্বাগত জানাই। দেশটি সম্পর্কে আমার প্রধান বক্তব্য হলো, উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে তাদের দায়িত্বও বেড়ে যাচ্ছে। এ কথাটি আমি জনসমক্ষে এবং চীনকে ব্যক্তিগতভাবেও বলতে চাই।'
অস্ট্রেলিয়ায় মার্কিন সেনা মোতায়েনের প্রতিক্রিয়ায় চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিউ উইমিন গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, 'অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক জোরদার ও তার বিস্তার ঘটানোর ব্যাপারটি হয়তো পুরোপুরি সঠিক নাও হতে পারে। এ পদক্ষেপ হয়তো এ অঞ্চলের মধ্যে দেশ দুটির স্বার্থরক্ষার জন্য নাও হতে পারে।' তিনি বলেন, 'বর্তমান সময়ে পারস্পরিক সহযোগিতা ও শান্তিপূর্ণ উন্নয়নে বিশ্বাস করে চীন। এবং এ অঞ্চলের দেশগুলোর প্রধান পররাষ্ট্র নীতিও তাই।'
আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে আজ ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করবেন ওবামা। বালি দ্বীপে তিন দিনের আসিয়ান সম্মেলন চলবে আগামী শনিবার পর্যন্ত। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments