সার্ক শীর্ষ সম্মেলন-রচিত হোক সেতুবন্ধ
সপ্তদশ সার্ক শীর্ষ সম্মেলন শুরু হচ্ছে আজ থেকে মালদ্বীপে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরই মধ্যে মালদ্বীপ পৌঁছেছেন। গত রবিবার থেকে শুরু হয়েছে সার্ক সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা। রবিবার ছিল জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বৈঠক। এরপর গত সোম ও মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে সার্ক দেশগুলোর সচিব পর্যায়ের বৈঠক। গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। এবারকার সার্ক সম্মেলনের প্রতিপাদ্য সেতুবন্ধ।
এ ছাড়া এবারকার সম্মেলনে চারটি চুক্তি সই হতে পারে বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, সার্ক শস্যভাণ্ডার গড়ায় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় দ্রুত সাড়া দেওয়ার পাশাপাশি পণ্যের মানদণ্ড নিরূপণেও চুক্তি সই হবে। সার্কের দশম পর্যবেক্ষক হিসেবে তুরস্কের প্রার্থিতা নিয়েও আলোচনা হবে এবারকার বৈঠকে।
সার্ক নিয়ে বাংলাদেশের আলাদা একটি অবস্থান আছে। বাংলাদেশই সার্কের প্রস্তাবক। প্রথম সার্ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশে, ১৯৮৫ সালে। এবারকার শীর্ষ সম্মেলনটি সার্কের সপ্তদশ শীর্ষ সম্মেলন। বিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় আসিয়ান, নাফটা_এ রকম আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা রয়েছে। এর সুফলও সেই এলাকার দেশগুলো পেয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ারও এমন একটি সংস্থার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়েছিল। কিন্তু গত ২৬ বছরে সেই প্রয়োজনীয়তার কতটুকু অর্জন করা গেছে? বিগত ২৬ বছরে সার্কের অর্জন কী? কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে? এসব প্রশ্নের উত্তরও খোঁজা প্রয়োজন। কারণ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে দক্ষিণ এশিয়ার সমস্যা অন্য রকম। এখানে দাঙ্গার ইতিহাস আছে। আছে দেশ ভাগের করুণ স্মৃতি। আছে রক্তারক্তির ইতিহাস। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে সার্ক অন্য আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থাগুলোর চেয়ে একেবারেই আলাদা। বাস্তবতা এই যে সার্ক গঠিত হওয়ার পর সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে তেমন বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়নি। পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারের জন্য এটা ইতিবাচক একটা দিক। সার্ক দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। পারস্পরিক সহযোগিতার চিন্তাভাবনা নিয়ে এগিয়ে এসে দেশগুলো নিজেদের বাণিজ্যিক ভারসাম্য দূর করতে পারে। বিগত সার্ক সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্র সনদের প্রস্তাব করেছিলেন। এবারকার সম্মেলনে হয়তো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। এটা মানতে হবে, বিশ্ব রাজনীতির প্রভাবে আমাদের এই দক্ষিণ এশিয়ায়ও সন্ত্রাসবাদ কিছুটা হলেও বিস্তার লাভ করেছে। এই সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সার্কভুক্ত দেশগুলোকে একযোগেই কাজ করতে হবে। পরস্পরের প্রতি আস্থাশীল হতে হবে। আস্থাশীল না হলে দক্ষিণ এশিয়া থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করা যাবে না। দক্ষিণ এশিয়ার আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে। এ ক্ষেত্রেও সার্কভুক্ত দেশগুলোকে একযোগে কাজ করতে হবে। গত সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেছিলেন, 'সার্কের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়া যতটা উপকৃত হতে পারত, ততটা হয়নি।'
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মধ্যে এবারও দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হবে_এমনটি আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে হাসিনা-মনমোহন বৈঠকের দিকেই সবার দৃষ্টি। এবারকার বৈঠকের মধ্য দিয়ে সম্পর্কের উষ্ণতা আরো বৃদ্ধি পাবে, এটা আশা করা যেতে পারে।
সপ্তদশ সার্ক শীর্ষ সম্মেলন সফল হোক। দৃঢ় হোক সার্কভুক্ত দেশগুলোর সম্পর্ক। পারস্পরিক বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে রচিত হোক সেতুবন্ধ।
সার্ক নিয়ে বাংলাদেশের আলাদা একটি অবস্থান আছে। বাংলাদেশই সার্কের প্রস্তাবক। প্রথম সার্ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশে, ১৯৮৫ সালে। এবারকার শীর্ষ সম্মেলনটি সার্কের সপ্তদশ শীর্ষ সম্মেলন। বিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় আসিয়ান, নাফটা_এ রকম আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা রয়েছে। এর সুফলও সেই এলাকার দেশগুলো পেয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ারও এমন একটি সংস্থার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়েছিল। কিন্তু গত ২৬ বছরে সেই প্রয়োজনীয়তার কতটুকু অর্জন করা গেছে? বিগত ২৬ বছরে সার্কের অর্জন কী? কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে? এসব প্রশ্নের উত্তরও খোঁজা প্রয়োজন। কারণ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে দক্ষিণ এশিয়ার সমস্যা অন্য রকম। এখানে দাঙ্গার ইতিহাস আছে। আছে দেশ ভাগের করুণ স্মৃতি। আছে রক্তারক্তির ইতিহাস। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে সার্ক অন্য আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থাগুলোর চেয়ে একেবারেই আলাদা। বাস্তবতা এই যে সার্ক গঠিত হওয়ার পর সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে তেমন বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়নি। পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারের জন্য এটা ইতিবাচক একটা দিক। সার্ক দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। পারস্পরিক সহযোগিতার চিন্তাভাবনা নিয়ে এগিয়ে এসে দেশগুলো নিজেদের বাণিজ্যিক ভারসাম্য দূর করতে পারে। বিগত সার্ক সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্র সনদের প্রস্তাব করেছিলেন। এবারকার সম্মেলনে হয়তো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। এটা মানতে হবে, বিশ্ব রাজনীতির প্রভাবে আমাদের এই দক্ষিণ এশিয়ায়ও সন্ত্রাসবাদ কিছুটা হলেও বিস্তার লাভ করেছে। এই সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সার্কভুক্ত দেশগুলোকে একযোগেই কাজ করতে হবে। পরস্পরের প্রতি আস্থাশীল হতে হবে। আস্থাশীল না হলে দক্ষিণ এশিয়া থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করা যাবে না। দক্ষিণ এশিয়ার আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে। এ ক্ষেত্রেও সার্কভুক্ত দেশগুলোকে একযোগে কাজ করতে হবে। গত সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেছিলেন, 'সার্কের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়া যতটা উপকৃত হতে পারত, ততটা হয়নি।'
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মধ্যে এবারও দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হবে_এমনটি আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে হাসিনা-মনমোহন বৈঠকের দিকেই সবার দৃষ্টি। এবারকার বৈঠকের মধ্য দিয়ে সম্পর্কের উষ্ণতা আরো বৃদ্ধি পাবে, এটা আশা করা যেতে পারে।
সপ্তদশ সার্ক শীর্ষ সম্মেলন সফল হোক। দৃঢ় হোক সার্কভুক্ত দেশগুলোর সম্পর্ক। পারস্পরিক বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে রচিত হোক সেতুবন্ধ।
No comments