এমপির উদারতা!

স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. আনোয়ার হোসেন ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ওই বছর বরিশাল আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এর আগে তিনি কয়েক বছর এলাকায় গণসংযোগ আর বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে জনপ্রিয় হন।


আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে তিনি আওয়ামী লীগের হাই কমান্ডের নজরে আসেন। গত নির্বাচনে দলীয় মনোয়ন পেয়ে তিনবারের আরেক জনপ্রিয় সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজিকে হারিয়ে তিনি নির্বাচিত হন।
সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর দলের কিছু নেতা-কর্মী তাঁর আনকূল্য পান বেশি। তাঁদের তিনি নানা প্রকল্পের আর্থিক সুবিধা ও সরকারি জমি বন্দোবস্ত দিতে সহায়তা করেন। এমনকি নদীর জলমহালের ইজারা থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত সরকারি জমি বন্দোবস্ত সুবিধা পান নিজ দলের কিছু নেতা-কর্মী। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির উল্লেখযোগ্য কিছু বাস্তবায়ন না হলেও দলীয় কিছু নেতা-কর্মীর আর্থিক উন্নতি আর জমি বন্দোবস্ত সুবিধার ক্ষেত্রে সংসদ সদস্য নিজ দলের সুবিধাভোগী নেতা-কর্মীদের ব্যাপারে রয়েছেন উদার। এমনকি সরকারি জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার ব্যাপারে স্থানীয় ভূমি অফিসের সঙ্গে দলীয় লোকজনের মতবিরোধ হলে ওই অফিসের এক কর্মকর্তাকে ডেকে নিয়ে মারধর করা হয়। এসব ব্যাপারে সংসদ সদস্য তাঁর দলীয় লোকজনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, সংসদ সদস্যের অনুসারী কিছু নেতা-কর্মীর অন্যায় কাজের সাংগঠনিক বিচার তো দূরে থাক বরং তার আনুকূল্যে থেকে আর্থিক সুবিধা পেয়ে তারা পুনঃনির্বাসিত হচ্ছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, 'দলের সবাই আমার কাছে সমান। যারা এসব বলছে, তারা সত্য না জেনে বলছে।' সংসদ সদস্য বলেন, 'স্থানীয় আওয়ামী লীগে কোনো কোন্দল নেই। দল যথারীতি গতিশীল আছে। তার প্রমাণ গত ১৮ অক্টোবর শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সমাবেশে আমাকেই সবাই মিলে আগামী সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। দলের ভেতর কোন্দল থাকলে এমন ঘোষণা সম্ভব হতো না।'

No comments

Powered by Blogger.