অব্যবহৃত বিমানবন্দর-বৃহৎ স্বার্থেই উড্ডয়ন উপযোগী করা দরকার
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলো পুরোপুরিভাবে তৈরি আছে। কিন্তু বিদ্যমান বাস্তবতা সে কথা বলে না। লালমনিরহাট বিমানবন্দরটি এখন গোচারণভূমি। এটি একটি মাত্র দৃষ্টান্ত। অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলোর প্রায় প্রতিটিরই কমবেশি সমস্যা রয়েছে। নানাবিধ সমস্যা-সংকট বিমানবন্দরগুলোতে জিইয়ে থাকায় বিরূপ প্রভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে বহুমুখী। অথচ একেকটি বিমানবন্দর নির্মাণে প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়েছে।
সাতটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর কেন সরকারি সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও অর্ধ ডজনেরও বেশি বেসরকারি বিমান কম্পানির তেমন কাজে আসছে না_এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর মেলেনি।
৩০ অক্টোবর কালের কণ্ঠে অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলো নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলোতে যদি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও অন্য কম্পানিগুলোর বিমান নিয়মিত ওঠা-নামা করত, তাহলে এর সুফল শুধু বিমানে যাঁরা যাতায়াত করেন তাঁরাই পেতেন না, আকাশপথে যোগাযোগটাও বিস্তৃত হতো এবং জাতীয় অর্থনীতিতে এর অবদান লক্ষণীয় হয়ে উঠত। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সমস্যার শেষ নেই। সংস্থাটির লোকসানের খতিয়ান অনেক দীর্ঘ। পাশাপাশি বেসরকারি বিমান খাতটিও নানাবিধ প্রতিবন্ধকতার কারণে আশানুরূপভাবে বিকশিত হতে পারছে না। বেসরকারি বিমান খাত যে শৃঙ্খলা বা নিয়মকানুনের মধ্যে পরিচালিত হয় অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও সত্য, বাংলাদেশ বিমান সেভাবে পরিচালিত হয় না। অথচ দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ বিমানের ওঠা-নামার ক্ষেত্র বিস্তৃত করার আরো সুযোগ রয়েছে। বিমানের সেবার মান নিয়ে অন্তহীন প্রশ্ন আছে। অব্যবহৃত বিমানবন্দরগুলো উড্ডয়ন উপযোগী করতে পারলে এর ইতিবাচক প্রভাব যেমন হতো বহুমুখী, ঠিক তেমনি যেসব অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর চালু আছে সেগুলোরও সংস্কার করলে ব্যাপক সুফল মিলত। বড় আঙ্গিকে যাত্রীসেবা নিশ্চিত কিংবা যাতায়াতের ক্ষেত্রটি মসৃণ করতে হলে অব্যহৃত বিমানবন্দরগুলো চালুর পাশাপাশি সব রকম প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে পদক্ষেপ নিতে হবে।
এসব ব্যাপারে সর্বাগ্রে দরকার সরকারের কঠোর পর্যবেক্ষণ ও পরিকল্পিত দূরদর্শী উদ্যোগ। এ খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ স্ফীত করারও বহুবিধ সুযোগ সৃষ্টি করার উপায় বের করা দুরূহ কোনো বিষয় নয়। বিমানবন্দরগুলোর সেবার মান নিশ্চিত করাও জরুরি। প্রায় প্রতিটি বিমানবন্দরেরই রানওয়ের রাস্তাগুলো চলাচলের পুরোপুরি উপযোগী নয়। এর ফলে একদিকে যেমন ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে, তেমনি ক্ষতি হচ্ছে উড়োজাহাজেরও এবং ফুয়েল খরচ অনেক বেশি হচ্ছে। বিস্ময়কর হলেও সত্য, ব্রিটিশ আমলে তৈরি করা লালমনিরহাট বিমানবন্দরটি সিভিল এভিয়েশনের হিসাবের খাতায়ই নেই! একই অবস্থা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তৈরি ফেনী বিমানবন্দরটি, যা এখন পরিত্যক্ত। অবকাঠামোগত সমস্যার পাশাপাশি রয়েছে সংশ্লিষ্টদের দূরদর্শিতার অভাব। কয়েকটি বিমানবন্দরের নিজস্ব জমি ব্যবহৃত হচ্ছে অন্য কাজে। আমরা মনে করি, প্রতিটি বিমানবন্দরের সংস্কার এবং অব্যবহৃত বিমানবন্দরগুলোকে উড্ডয়ন উপযোগী করা ও সর্বোপরি সেবার মান নিশ্চিত করা সময়ের গুরুত্বপূর্ণ দাবি।
৩০ অক্টোবর কালের কণ্ঠে অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলো নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলোতে যদি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও অন্য কম্পানিগুলোর বিমান নিয়মিত ওঠা-নামা করত, তাহলে এর সুফল শুধু বিমানে যাঁরা যাতায়াত করেন তাঁরাই পেতেন না, আকাশপথে যোগাযোগটাও বিস্তৃত হতো এবং জাতীয় অর্থনীতিতে এর অবদান লক্ষণীয় হয়ে উঠত। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সমস্যার শেষ নেই। সংস্থাটির লোকসানের খতিয়ান অনেক দীর্ঘ। পাশাপাশি বেসরকারি বিমান খাতটিও নানাবিধ প্রতিবন্ধকতার কারণে আশানুরূপভাবে বিকশিত হতে পারছে না। বেসরকারি বিমান খাত যে শৃঙ্খলা বা নিয়মকানুনের মধ্যে পরিচালিত হয় অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও সত্য, বাংলাদেশ বিমান সেভাবে পরিচালিত হয় না। অথচ দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ বিমানের ওঠা-নামার ক্ষেত্র বিস্তৃত করার আরো সুযোগ রয়েছে। বিমানের সেবার মান নিয়ে অন্তহীন প্রশ্ন আছে। অব্যবহৃত বিমানবন্দরগুলো উড্ডয়ন উপযোগী করতে পারলে এর ইতিবাচক প্রভাব যেমন হতো বহুমুখী, ঠিক তেমনি যেসব অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর চালু আছে সেগুলোরও সংস্কার করলে ব্যাপক সুফল মিলত। বড় আঙ্গিকে যাত্রীসেবা নিশ্চিত কিংবা যাতায়াতের ক্ষেত্রটি মসৃণ করতে হলে অব্যহৃত বিমানবন্দরগুলো চালুর পাশাপাশি সব রকম প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে পদক্ষেপ নিতে হবে।
এসব ব্যাপারে সর্বাগ্রে দরকার সরকারের কঠোর পর্যবেক্ষণ ও পরিকল্পিত দূরদর্শী উদ্যোগ। এ খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ স্ফীত করারও বহুবিধ সুযোগ সৃষ্টি করার উপায় বের করা দুরূহ কোনো বিষয় নয়। বিমানবন্দরগুলোর সেবার মান নিশ্চিত করাও জরুরি। প্রায় প্রতিটি বিমানবন্দরেরই রানওয়ের রাস্তাগুলো চলাচলের পুরোপুরি উপযোগী নয়। এর ফলে একদিকে যেমন ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে, তেমনি ক্ষতি হচ্ছে উড়োজাহাজেরও এবং ফুয়েল খরচ অনেক বেশি হচ্ছে। বিস্ময়কর হলেও সত্য, ব্রিটিশ আমলে তৈরি করা লালমনিরহাট বিমানবন্দরটি সিভিল এভিয়েশনের হিসাবের খাতায়ই নেই! একই অবস্থা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তৈরি ফেনী বিমানবন্দরটি, যা এখন পরিত্যক্ত। অবকাঠামোগত সমস্যার পাশাপাশি রয়েছে সংশ্লিষ্টদের দূরদর্শিতার অভাব। কয়েকটি বিমানবন্দরের নিজস্ব জমি ব্যবহৃত হচ্ছে অন্য কাজে। আমরা মনে করি, প্রতিটি বিমানবন্দরের সংস্কার এবং অব্যবহৃত বিমানবন্দরগুলোকে উড্ডয়ন উপযোগী করা ও সর্বোপরি সেবার মান নিশ্চিত করা সময়ের গুরুত্বপূর্ণ দাবি।
No comments