প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি-পাওয়া না-পাওয়ার দুঃখ
আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মহাজোট প্রার্থী মানুষের ভোট নেন। কিন্তু আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ দূরে থাক, বর্তমান সরকার এ সড়ক সংস্কারে বরাদ্দ দেওয়ার পরেও গত আড়াই বছরে কোনো কাজ হয়নি। ফলে জনজীবনে দুর্ভোগ অব্যাহত আছে।পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনে গত নির্বাচনে প্রধান দুই দলই প্রায় একই রকম প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে মহাজোটের মহাপ্রতিশ্রুতি ছিল এবারের নির্বাচনের প্রাক্কালে।
মঠবাড়িয়া-চরখালী সড়ক প্রশস্ত করে আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীতকরণ, পৌর শহরসহ গ্রামাঞ্চলে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহ, অরক্ষিত শহীদ মিনার স্থানান্তর করে যথাযথ সুরক্ষা, পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, বেড়িবাঁধের উন্নয়নসহ ইউনিয়ন পর্যায়ে সব কানেকটিং সড়ক পাকাকরণ। এ ছাড়া সিডরে বিপর্যস্ত সব অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ।
কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের গত আড়াই বছরে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উন্নয়ন হয়নি এলাকায়। এখনো সড়কের অবস্থা বেহাল, সড়ক উন্নয়নে যেটুকু বরাদ্দ হয়েছে, তার কাজও ফেলে রেখে জনজীবনে দুর্ভোগ বাড়ানো হয়েছে। নিরাপদ পানি সরবরাহের কোনো প্রকল্পই বাস্তবায়ন না হওয়ায় এ জনপদের মানুষ এখনো পুকুর ও খালের পানির ওপর নির্ভরশীল। পৌর শহরের রিজার্ভ পুকুরটি এখনো অরক্ষিত। অথচ রিজার্ভ পুকুরটি পৌরসভার ২৬ হাজার নাগরিকের বিশুদ্ধ পানির চাহিদা পূরণ করে। পানীয়জলের এ পুকুরটির কোনো সংস্কারও নেই। বরং পুকুরের দুই পাশ জুড়ে নানা স্থাপনা গড়ে উঠায় পুকুরের পানি দূষিত হয়ে পড়ছে।
মঠবাড়িয়া শহর পৌরসভায় উন্নীত হওয়ার পর ১৭ বছর পেরিয়ে গেলেও পৌরবাসী বিশুদ্ধ পানি থেকে এখনো বঞ্চিত। শহরের প্রাণকেন্দ্রের নাব্যতা হারানো মরা খাল ও পৌরভবন লাগোয়া সংস্কারহীন রিজার্ভ পুকুরটি পৌরবাসীর পানীয়জলের চাহিদা মেটায়। শুষ্ক মৌসুমে শহরের পুকুরগুলোর পানির স্তর নিচে নেমে গেলে শহরজুড়ে ভয়াবহ পানি-সমস্যা দেখা দেয়। ফলে বছরজুড়েই শহরে বিশুদ্ধ পানির জন্য হাহাকার লেগেই থাকে। নির্বাচনে ভোটারদের তাই প্রধান দাবি বিশুদ্ধ খাবার পানি।
শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি আজও অরক্ষিত। সাপ্তাহিক হাটের দিনে সেখানে বসে মাছধরা জাল ও কবুতরের হাট। তবে এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পৌর মেয়রের উদ্যোগে শহীদ মিনার সুরক্ষা ও স্থানান্তরের ব্যাপারে একটি মতবিনিময় সভা হয়। ওই সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত আজও আলোর মুখ দেখেনি। ফলে শহীদ মিনারটির দশা একই রকম আছে। সেই সঙ্গে দুইটি বধ্যভূমির কোনো উন্নয়ন নেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান শরীফ বলেন, 'আশা করেছিলাম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত বর্তমান সরকার আমলে আমাদের অরক্ষিত শহীদ মিনারটি ও দুটি বধ্যভূমির উন্নয়ন হবে। আড়াই বছর পার হলেও সে আশার কোনো আলো আমরা দেখছি না।'
সিডরে বিধ্বস্ত সাপলেজা সেতু, মাছুয়া ইউনিয়ন বাজার সেতুও নির্মাণ হয়নি। এ ছাড়া বিগত সরকারের সময় শুরু করা অসমাপ্ত মাতবর বাড়ি সেতু ও কালীরহাট সেতুর কাজও এখনো শেষ হয়নি।
মঠবাড়িয়া পৌর বিএনপির সভাপতি কে এম হুমায়ুন কবীর বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এ জনপদের কি উন্নয়ন হয়েছে তা মানুষের চোখে পড়ছে না। বরং বিএনপি আমলে শুরু হওয়া উন্নয়ন কার্যক্রমও তারা স্থবির করে রেখেছে। বিভিন্ন প্রকল্পে উন্নয়নের নামে লুটপাট হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জালাল বলেন, গত আড়াই বছরে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির কী বাস্তবায়ন হয়েছে তা আমার জানা নেই। এসব উন্নয়নের সঙ্গে এমপি, পৌর মেয়র আর উপজেলা চেয়ারম্যান জড়িত। তাঁরাই ভালো জানেন।
উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবর রহমান বলেন, 'যত উন্নয়নের কথাই বলা হোক না কেন, এ উপজেলার মানুষের প্রধান দুই দাবি চরখালী-মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ ও পৌরশহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ। এই দুই দাবির বাস্তবায়ন ছাড়া এখানকার প্রকৃত উন্নয়ন বলা সম্ভব নয়।'
কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের গত আড়াই বছরে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উন্নয়ন হয়নি এলাকায়। এখনো সড়কের অবস্থা বেহাল, সড়ক উন্নয়নে যেটুকু বরাদ্দ হয়েছে, তার কাজও ফেলে রেখে জনজীবনে দুর্ভোগ বাড়ানো হয়েছে। নিরাপদ পানি সরবরাহের কোনো প্রকল্পই বাস্তবায়ন না হওয়ায় এ জনপদের মানুষ এখনো পুকুর ও খালের পানির ওপর নির্ভরশীল। পৌর শহরের রিজার্ভ পুকুরটি এখনো অরক্ষিত। অথচ রিজার্ভ পুকুরটি পৌরসভার ২৬ হাজার নাগরিকের বিশুদ্ধ পানির চাহিদা পূরণ করে। পানীয়জলের এ পুকুরটির কোনো সংস্কারও নেই। বরং পুকুরের দুই পাশ জুড়ে নানা স্থাপনা গড়ে উঠায় পুকুরের পানি দূষিত হয়ে পড়ছে।
মঠবাড়িয়া শহর পৌরসভায় উন্নীত হওয়ার পর ১৭ বছর পেরিয়ে গেলেও পৌরবাসী বিশুদ্ধ পানি থেকে এখনো বঞ্চিত। শহরের প্রাণকেন্দ্রের নাব্যতা হারানো মরা খাল ও পৌরভবন লাগোয়া সংস্কারহীন রিজার্ভ পুকুরটি পৌরবাসীর পানীয়জলের চাহিদা মেটায়। শুষ্ক মৌসুমে শহরের পুকুরগুলোর পানির স্তর নিচে নেমে গেলে শহরজুড়ে ভয়াবহ পানি-সমস্যা দেখা দেয়। ফলে বছরজুড়েই শহরে বিশুদ্ধ পানির জন্য হাহাকার লেগেই থাকে। নির্বাচনে ভোটারদের তাই প্রধান দাবি বিশুদ্ধ খাবার পানি।
শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি আজও অরক্ষিত। সাপ্তাহিক হাটের দিনে সেখানে বসে মাছধরা জাল ও কবুতরের হাট। তবে এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পৌর মেয়রের উদ্যোগে শহীদ মিনার সুরক্ষা ও স্থানান্তরের ব্যাপারে একটি মতবিনিময় সভা হয়। ওই সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত আজও আলোর মুখ দেখেনি। ফলে শহীদ মিনারটির দশা একই রকম আছে। সেই সঙ্গে দুইটি বধ্যভূমির কোনো উন্নয়ন নেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান শরীফ বলেন, 'আশা করেছিলাম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত বর্তমান সরকার আমলে আমাদের অরক্ষিত শহীদ মিনারটি ও দুটি বধ্যভূমির উন্নয়ন হবে। আড়াই বছর পার হলেও সে আশার কোনো আলো আমরা দেখছি না।'
সিডরে বিধ্বস্ত সাপলেজা সেতু, মাছুয়া ইউনিয়ন বাজার সেতুও নির্মাণ হয়নি। এ ছাড়া বিগত সরকারের সময় শুরু করা অসমাপ্ত মাতবর বাড়ি সেতু ও কালীরহাট সেতুর কাজও এখনো শেষ হয়নি।
মঠবাড়িয়া পৌর বিএনপির সভাপতি কে এম হুমায়ুন কবীর বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এ জনপদের কি উন্নয়ন হয়েছে তা মানুষের চোখে পড়ছে না। বরং বিএনপি আমলে শুরু হওয়া উন্নয়ন কার্যক্রমও তারা স্থবির করে রেখেছে। বিভিন্ন প্রকল্পে উন্নয়নের নামে লুটপাট হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জালাল বলেন, গত আড়াই বছরে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির কী বাস্তবায়ন হয়েছে তা আমার জানা নেই। এসব উন্নয়নের সঙ্গে এমপি, পৌর মেয়র আর উপজেলা চেয়ারম্যান জড়িত। তাঁরাই ভালো জানেন।
উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবর রহমান বলেন, 'যত উন্নয়নের কথাই বলা হোক না কেন, এ উপজেলার মানুষের প্রধান দুই দাবি চরখালী-মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ ও পৌরশহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ। এই দুই দাবির বাস্তবায়ন ছাড়া এখানকার প্রকৃত উন্নয়ন বলা সম্ভব নয়।'
No comments