সাদি গাদ্দাফিকে আশ্রয় দিয়েছে নাইজার
লিবিয়ার সাবেক নেতা প্রয়াত মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলে সাদি গাদ্দাফিকে আশ্রয় দিয়েছে নাইজার। সে দেশের প্রেসিডেন্ট মাহমাদু ইউসুফু গত শুক্রবার বলেছেন, তিনি মানবিক কারণে সাদির আশ্রয় আবেদন অনুমোদন করেছেন। সাদিকে লিবিয়া কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গাদ্দাফির অপর পলাতক ছেলে সাইফ আল ইসলাম নাইজারে আত্মগোপন করে থাকার খবর উড়িয়ে দিয়ে প্রেসিডেন্ট মাহমাদু বলেন, সাইফ কোথায় আছেন, এ ব্যাপারে তাঁদের কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে তিনি নাইজারে নেই।
দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই দিনের সফর শেষে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট মাহমাদু এসব কথা বলেন।
সাউথ আফ্রিকান প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (এসএপিএ) নাইজারের প্রেসিডেন্টের বরাত দিয়ে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, গাদ্দাফির ছেলে সাদিকে আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে নাইজারের এ ঘোষণা দেশটির সঙ্গে লিবিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সম্পর্কে তিক্ততা সৃষ্টি করবে।
গত আগস্টে ত্রিপোলির পতনের পর ব্যবসায়ী ও সাবেক ফুটবলার সাদি নাইজারে পালিয়ে যান। তাঁকে দেশটির রাজধানী নিয়ামিতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।
লিবিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের অভিযোগ, লিবিয়ার ফুটবল ফেডারেশনের প্রধানের দায়িত্ব পালনকালে সাদি সম্পদের অপব্যবহার করেছেন। এ ছাড়া অস্ত্রের ভীতি প্রদর্শন করেছেন তিনি। গাদ্দাফিবিরোধী আন্দোলনের শুরুর দিকে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলিবর্ষণের জন্য তাঁর অনুগত মিলিশিয়া বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সাদি।
এসব অপরাধের বিচার করতে সাদিকে ত্রিপোলির কাছে হস্তান্তরের অনুরোধ জানিয়ে আসছে নতুন সরকার। এদিকে সাদিকে গ্রেপ্তারের অনুরোধ জানিয়ে এর প্রতি জরুরি সতর্কতা জারি করেছে ইন্টারপোল।
প্রেসিডেন্ট মাহমাদু বলেন, ‘সাদির সঙ্গে আসা তিনজন জেনারেল ও তিনজন লিবীয় নাগরিককে শরণার্থীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। মানবিক কারণে আমরা তাঁদের আশ্রয় দিতে সম্মত হয়েছি। তবে তাঁরা এখানে থেকে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়াতে পারবেন না। লিবিয়া থেকে এ দেশে আশ্রয় নেওয়া অন্য শরণার্থীদের মতোই সাদিকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি।’
লিবিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন বিচার মন্ত্রণালয় নাইজারের এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাদের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, যারা নিজ দেশে রাজনৈতিক হয়রানির শিকার হয়, এ ধরনের আশ্রয় সাধারণত তাদেরই দেওয়া হয়। কিন্তু সাদি নিজেই মানুষকে নিপীড়ন করতেন।
প্রেসিডেন্ট মাহমাদু আরও বলেন, গাদ্দাফির অপর ছেলে সাইফের অবস্থান সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। তবে এটা নিশ্চিত, সাইফ নাইজারে নেই। প্রেসিডেন্ট বলেন, নাইজার একটি গণতান্ত্রিক দেশ। সাইফ কখনো এ দেশে এলে আইন, গণতন্ত্র ও আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাদ্দাফির অপর পলাতক ছেলে সাইফ আল ইসলাম নাইজারে আত্মগোপন করে থাকার খবর উড়িয়ে দিয়ে প্রেসিডেন্ট মাহমাদু বলেন, সাইফ কোথায় আছেন, এ ব্যাপারে তাঁদের কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে তিনি নাইজারে নেই।
দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই দিনের সফর শেষে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট মাহমাদু এসব কথা বলেন।
সাউথ আফ্রিকান প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (এসএপিএ) নাইজারের প্রেসিডেন্টের বরাত দিয়ে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, গাদ্দাফির ছেলে সাদিকে আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে নাইজারের এ ঘোষণা দেশটির সঙ্গে লিবিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সম্পর্কে তিক্ততা সৃষ্টি করবে।
গত আগস্টে ত্রিপোলির পতনের পর ব্যবসায়ী ও সাবেক ফুটবলার সাদি নাইজারে পালিয়ে যান। তাঁকে দেশটির রাজধানী নিয়ামিতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।
লিবিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের অভিযোগ, লিবিয়ার ফুটবল ফেডারেশনের প্রধানের দায়িত্ব পালনকালে সাদি সম্পদের অপব্যবহার করেছেন। এ ছাড়া অস্ত্রের ভীতি প্রদর্শন করেছেন তিনি। গাদ্দাফিবিরোধী আন্দোলনের শুরুর দিকে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলিবর্ষণের জন্য তাঁর অনুগত মিলিশিয়া বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সাদি।
এসব অপরাধের বিচার করতে সাদিকে ত্রিপোলির কাছে হস্তান্তরের অনুরোধ জানিয়ে আসছে নতুন সরকার। এদিকে সাদিকে গ্রেপ্তারের অনুরোধ জানিয়ে এর প্রতি জরুরি সতর্কতা জারি করেছে ইন্টারপোল।
প্রেসিডেন্ট মাহমাদু বলেন, ‘সাদির সঙ্গে আসা তিনজন জেনারেল ও তিনজন লিবীয় নাগরিককে শরণার্থীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। মানবিক কারণে আমরা তাঁদের আশ্রয় দিতে সম্মত হয়েছি। তবে তাঁরা এখানে থেকে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়াতে পারবেন না। লিবিয়া থেকে এ দেশে আশ্রয় নেওয়া অন্য শরণার্থীদের মতোই সাদিকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি।’
লিবিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন বিচার মন্ত্রণালয় নাইজারের এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাদের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, যারা নিজ দেশে রাজনৈতিক হয়রানির শিকার হয়, এ ধরনের আশ্রয় সাধারণত তাদেরই দেওয়া হয়। কিন্তু সাদি নিজেই মানুষকে নিপীড়ন করতেন।
প্রেসিডেন্ট মাহমাদু আরও বলেন, গাদ্দাফির অপর ছেলে সাইফের অবস্থান সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। তবে এটা নিশ্চিত, সাইফ নাইজারে নেই। প্রেসিডেন্ট বলেন, নাইজার একটি গণতান্ত্রিক দেশ। সাইফ কখনো এ দেশে এলে আইন, গণতন্ত্র ও আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments