খোকনের মুক্তি দাবি করেছে বিএনপি
নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকনকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও তাঁর মুক্তি দাবি করেছে বিএনপি। নরসিংদী পৌর মেয়র লোকমান হোসেন সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হওয়ার পর ডিবি পুলিশ গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে তাঁকে ঢাকার খিলগাঁও চৌধুরীপাড়ার মাটির মসজিদ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার করে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে খোকনের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
গতকাল বুধবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও খোকনের স্ত্রী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা শিরিন সুলতানা এ অভিযোগ করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে ছিলেন ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুসহ মহিলা দলের নেতারা।
এদিকে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল ও সম্মিলিত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের ৩১টি সংগঠনের নেতারা এক যুক্ত বিবৃতিতে খায়রুল কবির খোকনের মুক্তি দাবি করেছেন। বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, লোকমান হোসেনের হত্যাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরছে অথচ তাদের গ্রেপ্তার না করে বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, 'গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে খিলগাঁওয়ের বাসা থেকে সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা খোকনকে তুলে নিয়ে যান। এরপর থেকে আমরা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও ঢাকা পুলিশ কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেও তাঁর অবস্থান জানতে পারিনি। খোকনকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে না।' রুহুল কবির রিজভী এই গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে খোকন কোথায় আছেন, তা প্রকাশ করার জন্য গোয়েন্দা বিভাগের কাছে জোর দাবি জানান।
খায়রুল কবির খোকনের স্ত্রী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা বলেন, 'খায়রুল কবির খোকন রাত ১২টার দিকে নরসিংদীর গুলিবিদ্ধ মেয়র লোকমানকে দেখতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে যান। সেখান থেকে ফিরে বাসায় এসে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত পৌনে ৩টার দিকে সাদা পোশাকের পুলিশ বাসায় আসে। আমি তাদের বলি, খোকনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তাঁকে কেন নিয়ে যাবেন?' পুলিশ বলে, কোনো অসুবিধা নেই। জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁকে সকালে ছেড়ে দেওয়া হবে।
শিরিন সুলতানা বলেন, 'ডিবি পুলিশ খোকনকে নিয়ে যাওয়ার পর আমি গাড়ি ফলো করে ডিবি অফিস পর্যন্ত যাই। ডিবি অফিসের গেট দিয়ে গাড়ি ভেতরে ঢোকার পর আর আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ভেতর থেকে মোবাইলে খোকন আমার সঙ্গে কথা বলেন। পরে তাঁর মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ তখনো বলে, কোনো সমস্যা নেই। আপনারা চলে যান। সকালে নাস্তা নিয়ে ডিবি অফিসে যাওয়ার পর সেখান থেকে বলা হয় তিনি সেখানে নেই।' তিনি বলেন, 'আমার স্বামীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। বিনা গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় তাঁকে ডিবি পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। তাঁকে কোথায় নিয়ে রাখা হয়েছে তাও জানাচ্ছে না। আমি দ্রুত জানতে চাই, তাঁকে কোথায় রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় আমি খুবই উৎকণ্ঠার মধ্যে আছি।'
রুহুল কবির রিজভী বলেন, 'আমরা পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, নরসিংদীর পৌর মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা লোকমান হোসেন দলীয় কোন্দলে নিহত হয়েছেন। সেখানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীরা এ হত্যাকাণ্ডের দোষ চাপিয়েছে। তাই খায়রুল কবির খোকনকে গ্রেপ্তারের কী কারণ আছে, আমরা তা খুঁজে পাই না।' তিনি বলেন, সরকার উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে।
কৃষক দল : ডাকসুর সাবেক জি এস খায়রুল কবির খোকনকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, খায়রুল কবির খোকন পরিচ্ছন্ন ও উদার মনের অনুকরণীয় চরিত্রের গণমানুষের নেতা। কোনো অভিযোগ ছাড়াই তাঁকে গ্রেপ্তার করা বাকশালী ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
এদিকে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল ও সম্মিলিত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের ৩১টি সংগঠনের নেতারা এক যুক্ত বিবৃতিতে খায়রুল কবির খোকনের মুক্তি দাবি করেছেন। বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, লোকমান হোসেনের হত্যাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরছে অথচ তাদের গ্রেপ্তার না করে বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, 'গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে খিলগাঁওয়ের বাসা থেকে সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা খোকনকে তুলে নিয়ে যান। এরপর থেকে আমরা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও ঢাকা পুলিশ কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেও তাঁর অবস্থান জানতে পারিনি। খোকনকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে না।' রুহুল কবির রিজভী এই গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে খোকন কোথায় আছেন, তা প্রকাশ করার জন্য গোয়েন্দা বিভাগের কাছে জোর দাবি জানান।
খায়রুল কবির খোকনের স্ত্রী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা বলেন, 'খায়রুল কবির খোকন রাত ১২টার দিকে নরসিংদীর গুলিবিদ্ধ মেয়র লোকমানকে দেখতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে যান। সেখান থেকে ফিরে বাসায় এসে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত পৌনে ৩টার দিকে সাদা পোশাকের পুলিশ বাসায় আসে। আমি তাদের বলি, খোকনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তাঁকে কেন নিয়ে যাবেন?' পুলিশ বলে, কোনো অসুবিধা নেই। জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁকে সকালে ছেড়ে দেওয়া হবে।
শিরিন সুলতানা বলেন, 'ডিবি পুলিশ খোকনকে নিয়ে যাওয়ার পর আমি গাড়ি ফলো করে ডিবি অফিস পর্যন্ত যাই। ডিবি অফিসের গেট দিয়ে গাড়ি ভেতরে ঢোকার পর আর আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ভেতর থেকে মোবাইলে খোকন আমার সঙ্গে কথা বলেন। পরে তাঁর মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ তখনো বলে, কোনো সমস্যা নেই। আপনারা চলে যান। সকালে নাস্তা নিয়ে ডিবি অফিসে যাওয়ার পর সেখান থেকে বলা হয় তিনি সেখানে নেই।' তিনি বলেন, 'আমার স্বামীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। বিনা গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় তাঁকে ডিবি পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। তাঁকে কোথায় নিয়ে রাখা হয়েছে তাও জানাচ্ছে না। আমি দ্রুত জানতে চাই, তাঁকে কোথায় রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় আমি খুবই উৎকণ্ঠার মধ্যে আছি।'
রুহুল কবির রিজভী বলেন, 'আমরা পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, নরসিংদীর পৌর মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা লোকমান হোসেন দলীয় কোন্দলে নিহত হয়েছেন। সেখানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীরা এ হত্যাকাণ্ডের দোষ চাপিয়েছে। তাই খায়রুল কবির খোকনকে গ্রেপ্তারের কী কারণ আছে, আমরা তা খুঁজে পাই না।' তিনি বলেন, সরকার উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে।
কৃষক দল : ডাকসুর সাবেক জি এস খায়রুল কবির খোকনকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, খায়রুল কবির খোকন পরিচ্ছন্ন ও উদার মনের অনুকরণীয় চরিত্রের গণমানুষের নেতা। কোনো অভিযোগ ছাড়াই তাঁকে গ্রেপ্তার করা বাকশালী ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
No comments