স্বপ্ন বাস্তবায়নে জোরালো ভূমিকা নিন : প্রধানমন্ত্রী
দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অবাধ চলাচলে বিধিনিষেধ শিথিলের আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বৃহস্পতিবার মালদ্বীপের আদ্দু নগরীর ইকুয়েটরিয়াল কনভেনশন সেন্টারে ১৭তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান। একই সঙ্গে ২৫ বছর আগে প্রতিষ্ঠালগ্নে সার্ক নিয়ে জনগণকে দেখানো স্বপ্ন ও সম্ভাবনা বাস্তবায়নে জোরালো সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা বলেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী জনগণের সামাজিক কল্যাণ এবং সব ধরনের সম্ভাবনা নিশ্চিত করতে সার্কভুক্ত গোটা অঞ্চলে জনগণের যাতায়াত, পণ্য ও সেবার আদান-প্রদানে সহযোগিতা দিতে আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থা জোরদারেও দক্ষিণ এশীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। আন্তসার্ক ভ্রমণ সহজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আস্থা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা অর্জন এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের নতুন অধ্যায় বিবেচনা করে অবশ্যই ভ্রমণে বিধিনিষেধ শিথিল করতে হবে।
সার্কের তৃতীয় দশককে 'বাস্তবায়নের দশক' উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'কিছু আঞ্চলিক প্রকল্পের পাশাপাশি সার্ক উন্নয়ন তহবিলকে (এসডিএফ) আমাদের উৎসাহ জোগাতে হবে। সার্কের অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক বাতায়নের আওতায় প্রকল্প নিতে হবে।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক অগ্রগতি ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে আমাদের দেওয়া রাজনৈতিক অঙ্গীকার পূরণ এবং জোরালো সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখনই উপযুক্ত সময়।' তিনি আরো বলেন, আঞ্চলিক সংযোগের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশ গত শীর্ষ সম্মেলনের পর থেকে সার্ক আঞ্চলিক রেলওয়ে চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার প্রতীক্ষায় রয়েছে। এ চুক্তি সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সব সদস্য দেশের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
সত্যিকার আঞ্চলিকতাবাদের মানসিকতা লালন এবং আন্ত-আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচেষ্টা আরো জোরদারের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সার্ক অঞ্চলে আন্ত-আঞ্চলিক বাণিজ্যের পরিমাণ মাত্র ৫ শতাংশ। অথচ নিকটবর্তী আঞ্চলিক ব্লকগুলোতে ওই বাণিজ্যের পরিমাণ ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। তিনি বলেন, সাউথ এশিয়ান ফ্রি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন (সাফটা) এই অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে কাজ শুরু করে। তবে আমরা সবাই স্বীকার করব যে, বাণিজ্যের সঙ্গে অর্থনৈতিক সমন্বয় দীর্ঘমেয়াদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এ ক্ষেত্রে আরো কিছু করা দরকার।'
শেখ হাসিনা সার্কভুক্ত অঞ্চলের মানসম্মত শিক্ষা ও প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগের জন্য আন্তসীমান্ত সহযোগিতা কার্যক্রমের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মানসম্মত শিক্ষাই প্রজন্মের মধ্যে আঞ্চলিক সম্পর্ক কার্যকরভাবে দৃঢ় করতে পারে। এ ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটির মধ্যে যৌথ শিক্ষা কর্মসূচির ব্যাপারে সম্পাদিত চুক্তির উল্লেখ করে তিনি বলেন, সার্ক দেশগুলোর পারস্পরিক একাডেমিক ও প্রফেশনাল ডিগ্রির স্বীকৃতি দেওয়া এবং একাডেমিক মানের সমন্বয় করা উচিত। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে মালদ্বীপের সহযোগিতায় দেশটির রাজধানী মালেতে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে।
স্বতন্ত্র সদস্য দেশের প্রয়োজন মেটাতে অভিবাসীদের অধিকার ও শ্রমিকের যাতায়াত নিশ্চিত করতে সার্ক দেশগুলোর মধ্যে আরো উত্তম সহযোগিতার ওপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। তবে এ ক্ষেত্রে শ্রমিক শোষণ দূরীকরণ ও অভিবাসন ব্যয় নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর তদারকি থাকার প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করেন।
পরিবেশগত সহযোগিতার বিষয়ে সার্ক কনভেনশনকে কার্যকর করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, 'আমাদের হিমালয়ের পূর্বাঞ্চলের অভিন্ন নদীগুলোর পানিসম্পদের ব্যবস্থাপনা সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন। বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় জড়িত থাকাকালে আমরা গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদী অববাহিকায় যৌথ মালিকানার বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতার প্রস্তাব করব। আমরা মনে করি, এটি নিজ নিজ নদী অববাহিকার পানিসম্পদের সমন্বিত উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা সুবিধা বাড়াবে। এর ফলে কৃষি সমৃদ্ধ হবে। একই সঙ্গে এ অঞ্চলের ১০০ কোটির বেশি মানুষ উপকৃত হবে।' তিনি আরো বলেন, 'এ অঞ্চলের নদীগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের এর পরিচালনাগত দুর্বলতা মোকাবিলা করতে হবে। এ লক্ষ্যে কৃষি ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ক্ষেত্রে আমাদের গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতার জন্য সুনির্দিষ্ট কৌশল থাকা প্রয়োজন।'
সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সার্ক বীজভাণ্ডার প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এক দশক আগের সার্ক ফুড ব্যাংককে পুরোপুরি কার্যকর করারও আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা দারিদ্র্য ও সন্ত্রাসবাদকে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে ভয়াবহ সংকট হিসেবে উল্লেখ করেন এবং এ অঞ্চলের সামাজিক কাঠামো, বিকাশ ও উন্নয়ন বজায় রাখতে এসব সমস্যা নির্মূলে সম্মিলিত প্রচেষ্টা গ্রহণের আহ্বান জানান। দারিদ্র্যের কারণে সৃষ্ট বিশেষ করে মাদক চোরাচালান, জাল মুদ্রা এবং নারী ও শিশু পাচার কঠোরভাবে মোকাবিলায় মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি আন্তসীমান্ত চোরাচালান ইস্যুকে ব্যাপক করতে ২০০২ সালের জানুয়ারিতে স্বাক্ষরিত প্রিভেন্টিং অ্যান্ড কমবেটিং ট্রাফিকিং ইন উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন বিষয়ক সার্ক কনভেনশনের আওতা বাড়ানোর প্রস্তাব করেন।
শেখ হাসিনা সার্ক পর্যবেক্ষকদের আরো বেশি সংশ্লিষ্ট করার সম্ভাবনার বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়ারও প্রস্তাব করেন, যাতে তাঁরা দ্রুত এ অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য তাঁদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দিয়ে সার্ককে সহায়তা করতে পারেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চমৎকারভাবে ১৭তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ নাশিদকে ধন্যবাদ জানান।
সার্কের তৃতীয় দশককে 'বাস্তবায়নের দশক' উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'কিছু আঞ্চলিক প্রকল্পের পাশাপাশি সার্ক উন্নয়ন তহবিলকে (এসডিএফ) আমাদের উৎসাহ জোগাতে হবে। সার্কের অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক বাতায়নের আওতায় প্রকল্প নিতে হবে।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক অগ্রগতি ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে আমাদের দেওয়া রাজনৈতিক অঙ্গীকার পূরণ এবং জোরালো সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখনই উপযুক্ত সময়।' তিনি আরো বলেন, আঞ্চলিক সংযোগের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশ গত শীর্ষ সম্মেলনের পর থেকে সার্ক আঞ্চলিক রেলওয়ে চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার প্রতীক্ষায় রয়েছে। এ চুক্তি সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সব সদস্য দেশের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
সত্যিকার আঞ্চলিকতাবাদের মানসিকতা লালন এবং আন্ত-আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচেষ্টা আরো জোরদারের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সার্ক অঞ্চলে আন্ত-আঞ্চলিক বাণিজ্যের পরিমাণ মাত্র ৫ শতাংশ। অথচ নিকটবর্তী আঞ্চলিক ব্লকগুলোতে ওই বাণিজ্যের পরিমাণ ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। তিনি বলেন, সাউথ এশিয়ান ফ্রি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন (সাফটা) এই অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে কাজ শুরু করে। তবে আমরা সবাই স্বীকার করব যে, বাণিজ্যের সঙ্গে অর্থনৈতিক সমন্বয় দীর্ঘমেয়াদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এ ক্ষেত্রে আরো কিছু করা দরকার।'
শেখ হাসিনা সার্কভুক্ত অঞ্চলের মানসম্মত শিক্ষা ও প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগের জন্য আন্তসীমান্ত সহযোগিতা কার্যক্রমের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মানসম্মত শিক্ষাই প্রজন্মের মধ্যে আঞ্চলিক সম্পর্ক কার্যকরভাবে দৃঢ় করতে পারে। এ ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটির মধ্যে যৌথ শিক্ষা কর্মসূচির ব্যাপারে সম্পাদিত চুক্তির উল্লেখ করে তিনি বলেন, সার্ক দেশগুলোর পারস্পরিক একাডেমিক ও প্রফেশনাল ডিগ্রির স্বীকৃতি দেওয়া এবং একাডেমিক মানের সমন্বয় করা উচিত। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে মালদ্বীপের সহযোগিতায় দেশটির রাজধানী মালেতে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে।
স্বতন্ত্র সদস্য দেশের প্রয়োজন মেটাতে অভিবাসীদের অধিকার ও শ্রমিকের যাতায়াত নিশ্চিত করতে সার্ক দেশগুলোর মধ্যে আরো উত্তম সহযোগিতার ওপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। তবে এ ক্ষেত্রে শ্রমিক শোষণ দূরীকরণ ও অভিবাসন ব্যয় নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর তদারকি থাকার প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করেন।
পরিবেশগত সহযোগিতার বিষয়ে সার্ক কনভেনশনকে কার্যকর করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, 'আমাদের হিমালয়ের পূর্বাঞ্চলের অভিন্ন নদীগুলোর পানিসম্পদের ব্যবস্থাপনা সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন। বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় জড়িত থাকাকালে আমরা গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদী অববাহিকায় যৌথ মালিকানার বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতার প্রস্তাব করব। আমরা মনে করি, এটি নিজ নিজ নদী অববাহিকার পানিসম্পদের সমন্বিত উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা সুবিধা বাড়াবে। এর ফলে কৃষি সমৃদ্ধ হবে। একই সঙ্গে এ অঞ্চলের ১০০ কোটির বেশি মানুষ উপকৃত হবে।' তিনি আরো বলেন, 'এ অঞ্চলের নদীগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের এর পরিচালনাগত দুর্বলতা মোকাবিলা করতে হবে। এ লক্ষ্যে কৃষি ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ক্ষেত্রে আমাদের গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতার জন্য সুনির্দিষ্ট কৌশল থাকা প্রয়োজন।'
সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সার্ক বীজভাণ্ডার প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এক দশক আগের সার্ক ফুড ব্যাংককে পুরোপুরি কার্যকর করারও আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা দারিদ্র্য ও সন্ত্রাসবাদকে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে ভয়াবহ সংকট হিসেবে উল্লেখ করেন এবং এ অঞ্চলের সামাজিক কাঠামো, বিকাশ ও উন্নয়ন বজায় রাখতে এসব সমস্যা নির্মূলে সম্মিলিত প্রচেষ্টা গ্রহণের আহ্বান জানান। দারিদ্র্যের কারণে সৃষ্ট বিশেষ করে মাদক চোরাচালান, জাল মুদ্রা এবং নারী ও শিশু পাচার কঠোরভাবে মোকাবিলায় মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি আন্তসীমান্ত চোরাচালান ইস্যুকে ব্যাপক করতে ২০০২ সালের জানুয়ারিতে স্বাক্ষরিত প্রিভেন্টিং অ্যান্ড কমবেটিং ট্রাফিকিং ইন উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন বিষয়ক সার্ক কনভেনশনের আওতা বাড়ানোর প্রস্তাব করেন।
শেখ হাসিনা সার্ক পর্যবেক্ষকদের আরো বেশি সংশ্লিষ্ট করার সম্ভাবনার বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়ারও প্রস্তাব করেন, যাতে তাঁরা দ্রুত এ অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য তাঁদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দিয়ে সার্ককে সহায়তা করতে পারেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চমৎকারভাবে ১৭তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ নাশিদকে ধন্যবাদ জানান।
No comments