সোনারগাঁয়ে আবর্জনার স্তূপ থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার

কালে সহপাঠীদের সঙ্গে বাড়ির সামনের রাস্তায় খেলছিল চার বছরের ফুটফুটে শিশু মেহরিন। বন্ধুদের সঙ্গে খেলার সময় সে ছিল প্রাণবন্ত। এর কিছু সময় পরে মেহরিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজি করে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তার নিথর দেহটি পাওয়া গেল রাস্তার পাশে আবর্জনার স্তূপে। পুলিশ আবর্জনার স্তূপের ভেতর থেকে মেহরিনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সোনারগাঁ থানার কাঁচপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর হরিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।


মেহরিনের মামা রুবেল জানান, ডা. মাজহারুল ইসলামের চার বছর বয়সী মেয়ে মেহরিন গতকাল সকালে যখন বাড়ির সামনে তার বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করছিল, তখন রুবেল তাঁর কর্মস্থল কাঁচপুরে যাচ্ছিলেন। দুপুরে মোবাইল ফোনে মেহেরিনের মৃত্যুর খবর পান তিনি। ছুটে যান কুতুবপুর হরিপুর গ্রামের বাস্তায়। যেখান থেকে মেহরিনের লাশ উদ্ধার করে বন্দর থানা পুলিশ। তিনি জানান, সকাল থেকেই মেহরিনকে পাওয়া যাচ্ছিল না। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পুরো কুতুবপুর গ্রামের স্বজন ও পড়শির বাড়িতে খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি মেহরিনকে। রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ এক পথিকের চোখ যায় আবর্জনার স্তূপের দিকে। আবর্জনার ভেতরে উঁকি দিয়ে মেহরিনের ছোট কচি হাতের অংশ দেখতে পান তিনি। সন্দেহ হলে কাছে গিয়ে আবর্জনা সরাতেই বেরিয়ে আসে তার শরীরের অনেকটা অংশ। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে শনাক্ত করে মেহরিনকে। খবর পেয়ে ছুটে আসে মেহরিনের বাবা-মা, চাচা-চাচিসহ সব আত্মীয় ও গ্রামের লোকজন। পরে খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
বন্দর থানার ওসি হারুন অর রশীদ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মেহরিনের আত্মীয়স্বজন মামলা করতে রাজি না হওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছে

No comments

Powered by Blogger.