মুখোমুখি প্রতিদিন-এ প্রশ্নের জবাব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীই দেবেন
কাল থেকে নতুন আঙ্গিকে শুরু হতে যাওয়া প্রিমিয়ার ডিভিশন দাবা লিগ আকর্ষণীয় হবে বলেই মনে করছেন গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোর্শেদ। কিন্তু দাবার সার্বিক অবস্থা নিয়ে মোটেও খুশি হতে পারছেন না তিনি। উপমহাদেশের প্রথম জিএম যারপরনাই হতাশ দাবার বর্তমান কমিটির কর্মকাণ্ডেও। এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতেই কাল কালের কণ্ঠ স্পোর্টসের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি।কালের কণ্ঠ স্পোর্টস : এবার নতুন আঙ্গিকে লিগ হতে যাচ্ছে। কতটা আকর্ষণীয় হবে বলে মনে করছেন?
নিয়াজ মোর্শেদ : এটা আসলে আমরা আগে থেকেই চাইছিলাম, দুর্বল দলগুলোকে ছেঁটে ফেলে যেন আরেকটা ধাপ করা হয়। লিগে ১৪-১৫টা দল একটু বেশিই হয়ে যায়। শীর্ষ দশটা দল নিয়ে প্রিমিয়ার লিগ হলে এটা ভালোই হবে। এ ছাড়া এবার ভেন্যু বদলানোরও একটা দাবি ছিল আমাদের। ফেডারেশনের ওই ঘিঞ্জি কক্ষের বদলে এনএসসি টাওয়ারে খেলা হবে, এটা কিছুটা হলেও লিগকে আকর্ষণীয় করবে।
প্রশ্ন : এবারের লিগে ভারত থেকেও বেশ কয়েকজন দাবাড়ু অংশ নিচ্ছেন...
নিয়াজ : হ্যাঁ, চারটা দল ভারতীয় দাবাড়ুদের খেলাচ্ছে। মোহামেডানও দুজন জিএমকে নিয়েছে। ভারতীয় এ দাবাড়ুরা থাকায় লিগটা আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলেই মনে হয়।
প্রশ্ন : অনেক দিন পর মোহামেডান আবার দাবায় ফিরছে, দাবার জন্য এটা কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?
নিয়াজ : দলটা গড়ার জন্য আমিই উদ্যোগী হয়েছিলাম। মোহামেডানের মতো ক্লাব যদি দাবার সঙ্গে থাকে তা দাবার বিস্তৃতিতেই সাহায্য করবে। আশা করি মোহামেডান শুধু এবারই না, আগামীতেই নিয়মিত দল গড়বে দাবায়।
প্রশ্ন : দুই বছর খেলার পর বিমান ছেড়ে আসার কারণ কী?
নিয়াজ : ওরা আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছিল, ওদের অর্থ সংকট, ভালো দল করতে পারবে না। সে কারণেই বিমান ছেড়ে আসা।
প্রশ্ন : এ বছর টেবিল টেনিসেও ভালো দল গড়েনি তারা, এখন দাবায়ও অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। খেলাধুলা থেকে কি সরে যেতে চাইছে বিমান?
নিয়াজ : লোকসান কমাতেই নাকি ওরা খেলাধুলায় খরচ কমিয়ে দিচ্ছে। আমার কাছে খুবই অযৌক্তিক মনে হয়েছে এটা। খেলাধুলার চেয়ে অনেক আজেবাজে খাতে ওরা আরো খরচ করে, কিন্তু ভুক্তভোগী বানাচ্ছে খেলোয়াড়দের।
প্রশ্ন : এবারের লিগে বেশি ভারতীয় দাবাড়ু আনার পেছনে কি খেলোয়াড় সংকটটাও স্পষ্ট হয়নি?
নিয়াজ : তা তো বটেই। দশ বছর আগে যারা খেলেছে, তারাই এখনো খেলছে। নতুন কোনো দাবাড়ু তো দেখছি না।
প্রশ্ন : দুই গ্র্যান্ডমাস্টার তো এখনো দাবা থেকে বিচ্ছিন্ন।
নিয়াজ : বর্তমান কমিটির ওপর এখন আমিও অসন্তুষ্ট। তাই বলে খেলা বন্ধ করে তো বসে থাকতে পারব না। শুরুতে আমি হয়তো মোকাদ্দেস হোসেনদের সমর্থন দিয়েছি। কিন্তু ক্রমেই হতাশ হয়েছি। তারা কোনো পরিকল্পনা নিয়েই কাজ করতে পারেনি। জাতীয় দাবা পর্যন্ত এখনো হয়নি, ডিসেম্বরে জাতীয় দাবা হতে আমি কখনো দেখিনি।
প্রশ্ন : মোকাদ্দেস হোসেনের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি কিভাবে এখনো এই পদে বহাল আছেন?
নিয়াজ : এটা সম্পূর্ণ ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর ব্যাপার। এ বিষয়টা পুরোপুরি উনিই দেখেন। উনিই এ প্রশ্নের জবাব দিতে পারবেন।
প্রশ্ন : এবারের লিগে ভারত থেকেও বেশ কয়েকজন দাবাড়ু অংশ নিচ্ছেন...
নিয়াজ : হ্যাঁ, চারটা দল ভারতীয় দাবাড়ুদের খেলাচ্ছে। মোহামেডানও দুজন জিএমকে নিয়েছে। ভারতীয় এ দাবাড়ুরা থাকায় লিগটা আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলেই মনে হয়।
প্রশ্ন : অনেক দিন পর মোহামেডান আবার দাবায় ফিরছে, দাবার জন্য এটা কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?
নিয়াজ : দলটা গড়ার জন্য আমিই উদ্যোগী হয়েছিলাম। মোহামেডানের মতো ক্লাব যদি দাবার সঙ্গে থাকে তা দাবার বিস্তৃতিতেই সাহায্য করবে। আশা করি মোহামেডান শুধু এবারই না, আগামীতেই নিয়মিত দল গড়বে দাবায়।
প্রশ্ন : দুই বছর খেলার পর বিমান ছেড়ে আসার কারণ কী?
নিয়াজ : ওরা আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছিল, ওদের অর্থ সংকট, ভালো দল করতে পারবে না। সে কারণেই বিমান ছেড়ে আসা।
প্রশ্ন : এ বছর টেবিল টেনিসেও ভালো দল গড়েনি তারা, এখন দাবায়ও অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। খেলাধুলা থেকে কি সরে যেতে চাইছে বিমান?
নিয়াজ : লোকসান কমাতেই নাকি ওরা খেলাধুলায় খরচ কমিয়ে দিচ্ছে। আমার কাছে খুবই অযৌক্তিক মনে হয়েছে এটা। খেলাধুলার চেয়ে অনেক আজেবাজে খাতে ওরা আরো খরচ করে, কিন্তু ভুক্তভোগী বানাচ্ছে খেলোয়াড়দের।
প্রশ্ন : এবারের লিগে বেশি ভারতীয় দাবাড়ু আনার পেছনে কি খেলোয়াড় সংকটটাও স্পষ্ট হয়নি?
নিয়াজ : তা তো বটেই। দশ বছর আগে যারা খেলেছে, তারাই এখনো খেলছে। নতুন কোনো দাবাড়ু তো দেখছি না।
প্রশ্ন : দুই গ্র্যান্ডমাস্টার তো এখনো দাবা থেকে বিচ্ছিন্ন।
নিয়াজ : বর্তমান কমিটির ওপর এখন আমিও অসন্তুষ্ট। তাই বলে খেলা বন্ধ করে তো বসে থাকতে পারব না। শুরুতে আমি হয়তো মোকাদ্দেস হোসেনদের সমর্থন দিয়েছি। কিন্তু ক্রমেই হতাশ হয়েছি। তারা কোনো পরিকল্পনা নিয়েই কাজ করতে পারেনি। জাতীয় দাবা পর্যন্ত এখনো হয়নি, ডিসেম্বরে জাতীয় দাবা হতে আমি কখনো দেখিনি।
প্রশ্ন : মোকাদ্দেস হোসেনের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি কিভাবে এখনো এই পদে বহাল আছেন?
নিয়াজ : এটা সম্পূর্ণ ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর ব্যাপার। এ বিষয়টা পুরোপুরি উনিই দেখেন। উনিই এ প্রশ্নের জবাব দিতে পারবেন।
No comments