অবশেষে সিলেট বিকেএসপি বুঝে নিচ্ছে বাফুফে

বিকেএসপির সিদ্ধান্তের ১৮ মাস পর বাফুফে বুঝে নিতে যাচ্ছে সিলেট বিকেএসপি যেখানে হবে বাংলাদেশের প্রথম ফুটবল একাডেমী।২০০৮ সালে ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে আসার পর কাজী সালাউদ্দিন বলেছিলেন একটি ফুটবল একাডেমী গড়ার স্বপ্নকথা। সেই একাডেমীর জায়গার অনুমোদন পেতেই লেগে গেল এত সময়। বাফুফের পছন্দ ছিল সিলেট বিকেএসপি, এটাকেই ফুটবল একাডেমীতে রূপান্তর করা। তাতে সায় দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীও। তারপর গত বছর ২৭ এপ্রিল বাফুফে হাতে পায় বিকেএসপির গভর্নিং বডির সম্মতিপত্র, এটাকে পুরোপুরি ফুটবল একাডেমী হিসেবে ব্যবহারের অনুমোদন দেয় তারা।


তবে মাত্র পাঁচ বছরের জন্য। তাতেই সম্মতি জানিয়েছিল বাফুফে। সেই গত বছর এপ্রিলের অনুমোদনের ১৮ মাস পর দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হতে যাচ্ছে। গতকাল বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, 'আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই একাডেমীর ব্যাপারে চুক্তি হয়ে যাবে বিকেএসপির সঙ্গে। সেটা কিভাবে কী করা যায়, সে নিয়েই এখন আলোচনা চলছে।' এ ব্যাপারে গতকাল তিনি আলোচনা করছিলেন বাফুফের ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদের সঙ্গে।
চুক্তি হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই বাফুফে বুঝে নেবে সিলেট বিকেএসপি। তারপর শুরু হবে ফুটবল একাডেমীতে রূপান্তরের কাজ। এটা চালাতে গেলে অনেক অর্থ লাগবে আর সেই অর্থের জোগান কোত্থেকে আসবে তা নিয়েই সালাউদ্দিনের দুশ্চিন্তা। একবার শোনা গিয়েছিল বেঙ্মিকো গ্রুপের একাডেমী স্পনসরের কথা। ঢাকায় আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া প্রীতি ম্যাচের আগে শোনা সংবাদ সম্মেলনেও বেঙ্মিকো কর্তারা বলেছিলেন একাডেমী স্পনসরের কথা। কিন্তু কাল বাফুফে সভাপতির মুখে শোনা গেছে অন্য কথা, 'এই একাডেমী চলাতে গেলে বছরে ১০-১২ কোটি টাকা লাগবে। এখনো কোনো স্পনসর ঠিক হয়নি।' ধারণা করা হচ্ছে, ঢাকায় ওই 'মেসি-ম্যাচ' আয়োজন করে বেঙ্মিকোর কিছু আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, তাই ফুটবলের পার্টনার হতে তাদের এখন অনাগ্রহ।
তাদের জায়গায় স্পনসর হিসেবে শোনা যাচ্ছে 'গ্রামীণফোনের' নাম। এই মোবাইল কম্পানি এখন বাফুফের অফিশিয়াল স্পনসর। তা ছাড়া ক্রিকেট বোর্ডের একাডেমী চলে তাদের অর্থায়নে। সুবাদে দেশের প্রথম ফুটবল একাডেমীর সঙ্গেও তারা যুক্ত হতে পারে। এ ব্যাপারে কাজী সালাউদ্দিন অবশ্য কোনো কমেন্ট করতে রাজি হননি, 'একাডেমীর স্পনসর নিয়ে আমার বিভিন্ন তরফে আলাপ চলছে, দেখা যাক কী হয়।' দেশে প্রথম ফুটবল একাডেমী হবে, তা শুরু করতেই ঘাটে ঘাটে কত বাধা। অথচ প্রতিবেশী ভারতে আগামী মার্চের মধ্যে চালু হবে চারটি নতুন ফুটবল একাডেমী!

No comments

Powered by Blogger.