মালদ্বীপে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক-নতুন অধ্যায় শুরুর অঙ্গীকার মনমোহন-গিলানির
ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কের ক্ষেত্রে 'নতুন অধ্যায়' শুরুর অঙ্গীকার করেছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। মালদ্বীপে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে গিলানি বলেন, তাঁর বিশ্বাস পরবর্তী আলোচনা 'আরো গঠনমূলক' হবে। মনমোহনও বৈঠকের 'গঠনমূলক অগ্রগতিকে' স্বাগত জানান। তবে পরবর্তী বৈঠকের নির্দিষ্ট কোনো তারিখ জানাননি তাঁরা।
গত বুধবার পরমাণু শক্তিধর এ দুই প্রতিবেশী দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও দুই দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেন। মালদ্বীপে বৈঠক শেষে তাঁরা জানান, দুই দেশের মধ্যে আস্থার সংকট কমছে। তবে এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।
মনমোহন ও গিলানি গতকাল সকালে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে মনমোহন বলেন, বিবাদে না গিয়ে 'সম্পর্কের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনার সময় এটা।' তিনি গিলানিকে 'শান্তি-প্রত্যাশী মানুষ' হিসেবে অভিহিত করে বলেন, 'দুই প্রতিবেশীকে বুঝতে হবে তাদের ভাগ্য একই সূত্রে গাঁথা। আজ (গতকাল) আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। আমরা একে স্বাগত জানাই। তবে এখনো অনেক কাজ বাকি। দুই দেশকে নিকটবর্তী করতে পরবর্তী আলোচনাকে আরো ফলপ্রসূ হতে হবে।' গিলানি বলেন, পরবর্তী আলোচনা আরো ফলপ্রসূ ও গঠনমূলক হবে, দুই দেশের সম্পর্কে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
গিলানি জানান, বৈঠকে তাঁরা সীমান্ত নিয়ে বিরোধ, সন্ত্রাস, বাণিজ্য ও কাশ্মীর সংকট নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীদের আলোচনাকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে সর্বশেষ সাক্ষাৎ হয় গত মার্চে। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনাল খেলা দেখার জন্য গিলানিকে আমন্ত্রণ জানান মনমোহন। এর আগে তাঁরা বসেন গত বছর। ভুটানে সার্ক সম্মেলনের ফাঁকে তাঁদের ওই বৈঠক হয়।
২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আনুষ্ঠানিক শান্তি আলোচনা বন্ধ রয়েছে। ভারত ওই হামলার জন্য বরাবরই পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বাকে দায়ী করে। হামলায় জড়িত ও আটক লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য মোহাম্মদ আজমল আমির কাসাবকে ভারতের আদালত মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক গত বুধবার বলেন, 'কাসাবের ফাঁসি হওয়া উচিত। সে সন্ত্রাসী। তার কোনো দেশ নেই।' সূত্র : বিবিসি, এএফপি, ডন।
মনমোহন ও গিলানি গতকাল সকালে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে মনমোহন বলেন, বিবাদে না গিয়ে 'সম্পর্কের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনার সময় এটা।' তিনি গিলানিকে 'শান্তি-প্রত্যাশী মানুষ' হিসেবে অভিহিত করে বলেন, 'দুই প্রতিবেশীকে বুঝতে হবে তাদের ভাগ্য একই সূত্রে গাঁথা। আজ (গতকাল) আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। আমরা একে স্বাগত জানাই। তবে এখনো অনেক কাজ বাকি। দুই দেশকে নিকটবর্তী করতে পরবর্তী আলোচনাকে আরো ফলপ্রসূ হতে হবে।' গিলানি বলেন, পরবর্তী আলোচনা আরো ফলপ্রসূ ও গঠনমূলক হবে, দুই দেশের সম্পর্কে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
গিলানি জানান, বৈঠকে তাঁরা সীমান্ত নিয়ে বিরোধ, সন্ত্রাস, বাণিজ্য ও কাশ্মীর সংকট নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীদের আলোচনাকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে সর্বশেষ সাক্ষাৎ হয় গত মার্চে। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনাল খেলা দেখার জন্য গিলানিকে আমন্ত্রণ জানান মনমোহন। এর আগে তাঁরা বসেন গত বছর। ভুটানে সার্ক সম্মেলনের ফাঁকে তাঁদের ওই বৈঠক হয়।
২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আনুষ্ঠানিক শান্তি আলোচনা বন্ধ রয়েছে। ভারত ওই হামলার জন্য বরাবরই পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বাকে দায়ী করে। হামলায় জড়িত ও আটক লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য মোহাম্মদ আজমল আমির কাসাবকে ভারতের আদালত মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক গত বুধবার বলেন, 'কাসাবের ফাঁসি হওয়া উচিত। সে সন্ত্রাসী। তার কোনো দেশ নেই।' সূত্র : বিবিসি, এএফপি, ডন।
No comments