আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি মাহবুবের
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের পদত্যাগ দাবি করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেছেন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির গণতদন্ত কমিশনের সঙ্গে জড়িত থাকায় নৈতিক কারণে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত। অন্যথায় এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।জাতীয় প্রেসক্লাবে দেশপ্রেমিক যুবশক্তি আয়োজিত 'আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল : তদন্তে নিরপেক্ষতা ও বর্তমান প্রেক্ষিত' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মাহবুব এ কথা বলেন।
এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, নব্বইয়ের ছাত্র ঐক্য পরিষদের নেতা আসাদুর রহমান খান, শাহজাদা মো. ওমর ফারুক প্রমুখ।
খন্দকার মাহবুব বলেন, বিচারপতি নিজামুল হক ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত গণতদন্ত কমিশনের সদস্য ছিলেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে জমা দেওয়া দলিলে এর প্রমাণ রয়েছে। তিনি গণ-আদালতের সঙ্গেও সরাসরি যুক্ত ছিলেন। তাই তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। তিনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে তাঁর কার্যক্রম অব্যাহত রেখে সুস্পষ্টভাবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তাঁর ওপর অনাস্থা জানিয়ে আবেদন করা হয়েছে। ন্যায়বিচারের স্বার্থে তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি।
খন্দকার মাহবুব হোসেন আরো বলেন, বাংলাদেশে গঠিত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল নামটিই আমি স্বীকার করি না। স্বাধীনতাযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণের পর ১৯৫ জন পাকিস্তানি সৈন্যকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পরে তাদের দিলি্ল চুক্তি করে মুক্তি দেওয়া হয়। এ ছাড়া সিমলা চুক্তির আওতায় সাধারণ সৈন্যদের ক্ষমা করে পাকিস্তানে পাঠানো হয়। যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে হলে আগে ওই ১৯৫ জনের বিচার করতে হবে। এরপর যারা তাদের ছেড়ে দিয়েছিল তাদের বিচার হতে হবে। তিনি বলেন, মূল যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দিয়ে সহযোগীদের বিচার হতে পারে না। ।'
খন্দকার মাহবুব বলেন, বিচারপতি নিজামুল হক ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত গণতদন্ত কমিশনের সদস্য ছিলেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে জমা দেওয়া দলিলে এর প্রমাণ রয়েছে। তিনি গণ-আদালতের সঙ্গেও সরাসরি যুক্ত ছিলেন। তাই তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। তিনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে তাঁর কার্যক্রম অব্যাহত রেখে সুস্পষ্টভাবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তাঁর ওপর অনাস্থা জানিয়ে আবেদন করা হয়েছে। ন্যায়বিচারের স্বার্থে তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি।
খন্দকার মাহবুব হোসেন আরো বলেন, বাংলাদেশে গঠিত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল নামটিই আমি স্বীকার করি না। স্বাধীনতাযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণের পর ১৯৫ জন পাকিস্তানি সৈন্যকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পরে তাদের দিলি্ল চুক্তি করে মুক্তি দেওয়া হয়। এ ছাড়া সিমলা চুক্তির আওতায় সাধারণ সৈন্যদের ক্ষমা করে পাকিস্তানে পাঠানো হয়। যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে হলে আগে ওই ১৯৫ জনের বিচার করতে হবে। এরপর যারা তাদের ছেড়ে দিয়েছিল তাদের বিচার হতে হবে। তিনি বলেন, মূল যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দিয়ে সহযোগীদের বিচার হতে পারে না। ।'
No comments