দক্ষ শ্রমিক তৈরি করতে ৪৩ কোটি টাকার প্রকল্প
মধ্যপ্রাচ্যসহ আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারে দক্ষ জনশক্তি রফতানি করতে ১০ বিভাগীয় ও জেলা শহরে অবস্থিত ১১টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আধুনিকায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শ্রমিকদের নিজ নিজ বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দিয়ে কাঙ্ক্ষিত দেশে পাঠানো হবে। এভাবে দেশের শ্রমিকদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে বিদেশে পাঠাতে পারলে আরও অনেক বেশি পরিমাণে রেমিট্যান্স আহরণ করা সম্ভব হবে। এ উদ্দেশ্যকে সফল করতে এরই মধ্যে সরকার প্রায় ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ের একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক) অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগির প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়ে ২০১৪ সালের জুন মাসে শেষ হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে যেসব শ্রমিক পাঠানো হচ্ছে তার ৬০ শতাংশই অদক্ষ। অথচ বিশ্ব শ্রম বাজারে চাহিদা রয়েছে দক্ষ শ্রমিকের। নিয়োগদাতা দেশের চাহিদা অনুযায়ী শ্রমিক পাঠানোর উদ্দেশ্যে সরকারকে বিদেশ যেতে আগ্রহী শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলে তাদের বিদেশে পাঠাতে হবে।
জানা যায়, বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা রাজশাহী, বরিশাল, রাঙামাটি, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, বগুড়া ও ফরিদপুরে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে সংস্কার ও আধুনিকায়ন করে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি জোরদার করা হবে। এ জন্য '১১টি পুরনো কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংস্কার এবং আধুনিকায়ন' শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে প্রত্যেক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় নতুন যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হবে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অফিস, ওয়ার্কশপ ও আবাসিক ভবনের সংস্কার। এর অবকাঠামো উন্নয়ন এবং এসব কেন্দ্রের সব প্রশিক্ষককে আরও উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গৃহীত এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)। প্রকল্পটির জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। বিএমইটির একটি সূত্র জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের বেকার যুবকদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করা সম্ভব হবে। ফলে দেশের অভ্যন্তরে ও বহির্বিশ্বে বিদ্যমান শ্রম বাজারের চাহিদা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। এই প্রশিক্ষণে নারী-পুরুষ সমানভাবে উপকৃত হবে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টদের মতে দেশের বিদেশগামী শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ শ্রমিক হিসেবে পাঠাতে পারলে রেমিট্যান্স আহরণ প্রায় ৫০ শতাংশ হারে বেড়ে যাবে।
একইসঙ্গে দেশে দক্ষ শ্রমিক তৈরি করতে পারলে বিদেশে বাংলাদেশি শ্রমিকদের চাহিদাও বেড়ে যাবে। তখন শ্রমিকদের বেতন ও কদর দুটোই সমান বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন তারা।
জানা যায়, বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা রাজশাহী, বরিশাল, রাঙামাটি, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, বগুড়া ও ফরিদপুরে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে সংস্কার ও আধুনিকায়ন করে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি জোরদার করা হবে। এ জন্য '১১টি পুরনো কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংস্কার এবং আধুনিকায়ন' শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে প্রত্যেক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় নতুন যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হবে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অফিস, ওয়ার্কশপ ও আবাসিক ভবনের সংস্কার। এর অবকাঠামো উন্নয়ন এবং এসব কেন্দ্রের সব প্রশিক্ষককে আরও উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গৃহীত এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)। প্রকল্পটির জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। বিএমইটির একটি সূত্র জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের বেকার যুবকদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করা সম্ভব হবে। ফলে দেশের অভ্যন্তরে ও বহির্বিশ্বে বিদ্যমান শ্রম বাজারের চাহিদা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। এই প্রশিক্ষণে নারী-পুরুষ সমানভাবে উপকৃত হবে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টদের মতে দেশের বিদেশগামী শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ শ্রমিক হিসেবে পাঠাতে পারলে রেমিট্যান্স আহরণ প্রায় ৫০ শতাংশ হারে বেড়ে যাবে।
একইসঙ্গে দেশে দক্ষ শ্রমিক তৈরি করতে পারলে বিদেশে বাংলাদেশি শ্রমিকদের চাহিদাও বেড়ে যাবে। তখন শ্রমিকদের বেতন ও কদর দুটোই সমান বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন তারা।
No comments