আদ্দুতে গিলানি-মনমোহন বৈঠক : সম্পর্কে নয়া অধ্যায় সূচনার আহ্বান
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মালদ্বীপের আদ্দুতে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে নতুন অধ্যায় সূচনার আহ্বান জানিয়েছেন।ঐ বৈঠকে মনমোহন সিং বাণিজ্যে বাধা অপসারণের জন্য সময় নষ্ট না করার জন্যও আহ্বান জানান। দুই পরমাণু ক্ষমতাধর জাতির মধ্যে উষ্ণ সম্পর্কের সূচনা লগ্নে মনমোহন এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দু’দেশের সম্পর্কোন্নয়নের জন্য সব বাধা অপসারণ করতে হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর বলেন, পরবর্তী পূর্ণাঙ্গ বৈঠকে আলোচনা হবে আরো গঠনমূলক।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার পর দু’দেশের মধ্যে শান্তি আলোচনা বন্ধ হয়ে পড়ে। ভারত ঐ হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসীদের দায়ী করে আসছে। তবে এ বছরের গোড়ার দিকে উভয় দেশের নেতারা পুনরায় আলোচনা শুরুর অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তাদের চেষ্টা ছিল বিশ্বাস অর্জন এবং শান্তি স্থাপন করা। গত মাসে পাকিস্তানের উত্তেজনাপূর্ণ সীমান্ত অতিক্রম করা ভারতীয় হেলিকপ্টার ফেরত দেয় পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ। এরপর ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখার ঘোষণা দেয় পাকিস্তান। মনমোহন সিং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী গিলানির প্রশংসা করে তাকে শান্তি মানব হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দুই দেশকে অনুধাবন করতে হবে যে, তাদের গন্তব্য পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কিত। দু’দেশের সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করার সময় এসেছে বলে উল্লেখ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। মালদ্বীপে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন শুরুর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
মালদ্বীপের আদ্দু শহরে গতকাল সকালে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন গিলানি-মনমোহন। ভবিষ্যতে পাক-ভারত আনুষ্ঠানিক বৈঠকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে এবং দু’দেশের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে বলে দুই নেতা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অবশ্য দু’দেশের ভবিষ্যত্ বৈঠকের তারিখ সম্পর্কে কিছু বলেননি দু’দেশের নেতারা। ঐ বৈঠকে কাশ্মীর ইস্যুও আলোচিত হয়েছে বলে জানান গিলানি। তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী খোলামেলাভাবে আলোচনা করেন।
গত জুলাই মাসে দিল্লিতে পাকিস্তান ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দু’দেশই আলোচনার জন্য সঠিক পথে এগিয়ে চলেছে বলে সে সময় উভয়পক্ষ মন্তব্য করে।
মালদ্বীপের অনলাইন সংবাদ মাধ্যম হাভেরু অনলাইন জানায়, আদ্দু সিটির সাংরিলা রিসোর্টে গতকাল সকালে স্বল্প সময়ের ওই বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সামনে হাত মেলান ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, সার্কের সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে এ দুই দেশের ‘বিশ্বাসের ঘাটতি’ দিনে দিনে কমে আসবে বলেই বিশ্বাস করে তার দেশ। তিনি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে বহু বছর ধরে যে বিশ্বাসের ঘাটতি রয়েছে তা অনেকখানি কমেছে।’ তবে আমাদের আরও অনেক পথ এগোতে হবে—মনে করিয়ে দেন হিনা।
‘বিশ্বাসের ঘাটতি’ যে কমছে, তা স্বীকার করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণাও। দুই দেশের মধ্যে ‘খুবই ইতিবাচক পরিবেশ’ বিরাজ করছে উল্লেখ করে বুধবার তিনি বলেন, এ অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়তে পাকিস্তান ও ভারতের একটি যৌথ কৌশল প্রণয়ন করা প্রয়োজন। ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার পর পরমাণু শক্তিধর এ দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে ঠেকে। পাকিস্তানভিত্তিক চরমপন্থি দল লস্কর-ই-তৈয়বার চালানো ওই হামলায় ১৬৬ জন নিহত হয়। লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর যোগাযোগ থাকার অভিযোগে ভারত দুই দেশের শান্তি আলোচনা ভেঙে দেয়। তবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বেশ কয়েকটি সম্মেলন ও আলোচনার মাধ্যমে দুই পক্ষ আবার কিছুটা কাছকাছি এসেছে। সার্কের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, আদ্দু দ্বীপের ইকুইটোরিয়াল কনভেনশন সেন্টারে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুরে শুরু হয় সপ্তদশ সার্ক শীর্ষ সম্মেলন। এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘সেতুবন্ধ রচনা’।
মালদ্বীপের আদ্দু শহরে গতকাল সকালে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন গিলানি-মনমোহন। ভবিষ্যতে পাক-ভারত আনুষ্ঠানিক বৈঠকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে এবং দু’দেশের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে বলে দুই নেতা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অবশ্য দু’দেশের ভবিষ্যত্ বৈঠকের তারিখ সম্পর্কে কিছু বলেননি দু’দেশের নেতারা। ঐ বৈঠকে কাশ্মীর ইস্যুও আলোচিত হয়েছে বলে জানান গিলানি। তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী খোলামেলাভাবে আলোচনা করেন।
গত জুলাই মাসে দিল্লিতে পাকিস্তান ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দু’দেশই আলোচনার জন্য সঠিক পথে এগিয়ে চলেছে বলে সে সময় উভয়পক্ষ মন্তব্য করে।
মালদ্বীপের অনলাইন সংবাদ মাধ্যম হাভেরু অনলাইন জানায়, আদ্দু সিটির সাংরিলা রিসোর্টে গতকাল সকালে স্বল্প সময়ের ওই বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সামনে হাত মেলান ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, সার্কের সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে এ দুই দেশের ‘বিশ্বাসের ঘাটতি’ দিনে দিনে কমে আসবে বলেই বিশ্বাস করে তার দেশ। তিনি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে বহু বছর ধরে যে বিশ্বাসের ঘাটতি রয়েছে তা অনেকখানি কমেছে।’ তবে আমাদের আরও অনেক পথ এগোতে হবে—মনে করিয়ে দেন হিনা।
‘বিশ্বাসের ঘাটতি’ যে কমছে, তা স্বীকার করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণাও। দুই দেশের মধ্যে ‘খুবই ইতিবাচক পরিবেশ’ বিরাজ করছে উল্লেখ করে বুধবার তিনি বলেন, এ অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়তে পাকিস্তান ও ভারতের একটি যৌথ কৌশল প্রণয়ন করা প্রয়োজন। ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার পর পরমাণু শক্তিধর এ দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে ঠেকে। পাকিস্তানভিত্তিক চরমপন্থি দল লস্কর-ই-তৈয়বার চালানো ওই হামলায় ১৬৬ জন নিহত হয়। লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর যোগাযোগ থাকার অভিযোগে ভারত দুই দেশের শান্তি আলোচনা ভেঙে দেয়। তবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বেশ কয়েকটি সম্মেলন ও আলোচনার মাধ্যমে দুই পক্ষ আবার কিছুটা কাছকাছি এসেছে। সার্কের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, আদ্দু দ্বীপের ইকুইটোরিয়াল কনভেনশন সেন্টারে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুরে শুরু হয় সপ্তদশ সার্ক শীর্ষ সম্মেলন। এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘সেতুবন্ধ রচনা’।
No comments