চীনে কয়লাখনিতে দুর্ঘটনা, নিহত ২০
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশে একটি কয়লাখনিতে দুর্ঘটনায় ২০ শ্রমিক নিহত হয়েছে। তবে এ ঘটনায় খনির ভেতরে আটকে পড়া ২৩ জনকে শেষ পর্যন্ত জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া গতকাল বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছে।গত এক সপ্তাহের মধ্যে চীনের এটি দ্বিতীয় খনি দুর্ঘটনা। এর আগের দুর্ঘটনায় ১০ শ্রমিক প্রাণ হারায়।
সিনহুয়া জানিয়েছে, গতকাল স্থানীয় সময় ভোরে প্রদেশের শিজং কাউন্টির শিঝুয়াং কয়লাখনিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ব্যক্তি মালিকানাধীন এ খনিটিতে দুর্ঘটনার সময় ঠিক কতজন শ্রমিক কাজ করছিল, তা জানা যায়নি। ছিদ্রপথে গ্যাস নিঃসরণের ফলে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে বার্তা সংস্থাটি জানায়। দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে স্থানীয় খনি নিরাপত্তাবিষয়ক এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, 'কয়লা ও গ্যাসের বিস্ফোরণে' এ ঘটনা ঘটেছে। তবে দুর্ঘটনায় ঠিক কতজন খনির নিচে আটকা পড়েছিল, সে ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার পর পরই উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে। ১০০ জন উদ্ধারকর্মীর সঙ্গে ৩০০ স্বাস্থ্যকর্মী ও দমকলকর্মী এতে অংশ নিয়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে।
চীনে প্রতিবছর কয়লাখনি দুর্ঘটনায় অসংখ্য শ্রমিক মারা যায়। যথাযথ নিরাপত্তার মান বজায় রাখতে না পারায় দেশটির কয়লাখনি শিল্প বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ বলে ইতিমধ্যে পরিচিত পেয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে চীনা সরকার বারবারই অবৈধ খনি মালিকদের দোষারোপ করে। খনি শ্রমিকদের নিরাপত্তার ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালাও নেই সেখানে।
সরকারি হিসাবে, গত বছর দুই হাজার ৪৩৩ জন শ্রমিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায়, যা প্রতিদিন গড়ে প্রায় ছয়জন। তবে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে আন্দোলনরত কর্মীদের দাবি, মৃতের সংখ্যা আরো বেশি হবে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার পর পরই উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে। ১০০ জন উদ্ধারকর্মীর সঙ্গে ৩০০ স্বাস্থ্যকর্মী ও দমকলকর্মী এতে অংশ নিয়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে।
চীনে প্রতিবছর কয়লাখনি দুর্ঘটনায় অসংখ্য শ্রমিক মারা যায়। যথাযথ নিরাপত্তার মান বজায় রাখতে না পারায় দেশটির কয়লাখনি শিল্প বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ বলে ইতিমধ্যে পরিচিত পেয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে চীনা সরকার বারবারই অবৈধ খনি মালিকদের দোষারোপ করে। খনি শ্রমিকদের নিরাপত্তার ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালাও নেই সেখানে।
সরকারি হিসাবে, গত বছর দুই হাজার ৪৩৩ জন শ্রমিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায়, যা প্রতিদিন গড়ে প্রায় ছয়জন। তবে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে আন্দোলনরত কর্মীদের দাবি, মৃতের সংখ্যা আরো বেশি হবে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments