ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা-দৌলতদিয়া ঘাটে পার হওয়ার অপেক্ষায় শত শত গাড়ি

দের আগে নাড়ির টানে মানুষ যেমন শহর ছেড়েছে, তেমনি প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে তারা আবার ফিরতে শুরু করেছে কর্মস্থলে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ঢল নামে দৌলতদিয়া ঘাটে। একদিকে লঞ্চ টার্মিনালে হাজার হাজার যাত্রীর উপচে পড়া ভিড়, অন্যদিকে পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়ে বাস, মাইক্রোবাস, ট্রাকসহ শত শত যানবাহন। এতে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে তিন কিলোমিটার রাস্তার একপাশে গাড়ির দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরো কয়েক দিন লাগবে।


বৃহস্পতিবার দুপুরে দৌলতদিয়া ঘাটে গিয়ে সরেজমিন দেখা যায়, দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে আসা বিভিন্ন পরিবহন ও বাসের হাজার হাজার যাত্রী পারাপারের জন্য দৌলতদিয়া ঘাটে এসে ছুটছে লঞ্চঘাট অভিমুখে। নদী পার হতে আসা কর্মস্থলমুখী মানুষের ভিড়ে লঞ্চ টার্মিনালে ছিল উপচে পড়া ভিড়।
লঞ্চঘাটে কর্মরত শ্রমিকনেতা মোহাম্মদ আলী জানান, ঈদ শেষে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে কর্মস্থলমুখী মানুষের ঢল নেমেছে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৩৭টি লঞ্চ সার্বক্ষণিক সচল থাকায় মানুষ নির্বিঘ্ন ও নিরাপদে নদী পার হতে পারছে। দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট ব্যবস্থাপক নুরুল আনোয়ার মিলন জানান, কোনো যাত্রীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে না। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে লঞ্চভাড়া আগে ছিল ১০ টাকা। বিআইডাবি্লউটিএর অনুমোদনক্রমে ১ নভেম্বর থেকে তা ১৫ টাকা করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল বিকেল থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে নদী পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়ে বাস, মাইক্রোবাস, ট্রাকসহ কয়েক শ যানবাহন। এতে যানজটের সৃষ্টি না হলেও ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের ক্যানেলঘাট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়কের এক পাশে গাড়ির লম্বা সারির সৃষ্টি হয়।
দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোশারফ হোসেন জানান, জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে মহাসড়কের সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে পিলার ও বাঁশ দিয়ে ডিভাইডার তৈরির পাশাপাশি ফেরিঘাটমুখী সব গাড়ি এক পাশে দাঁড় করানোর ফলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে না। যানজট নিরসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিআইডাবি্লউটিসির দৌলতদিয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, চলাচলকারী ১১টি ফেরির মধ্যে বর্তমানে এই রুটে ৯টি রো রো (বড়) ও একটি কে-টাইপ ফেরি সচল রয়েছে। অন্য একটি রো রো ফেরি শাহ্ মখদুম যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হয়ে পড়ায় তা মেরামতের জন্য পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানা মধুমতিতে রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.