অবশেষে জাপানে জনশক্তি রপ্তানি শুরু হচ্ছে by শফিকুল ইসলাম জুয়েল
বহুল প্রতীক্ষিত জাপানের শ্রমবাজারে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি অবশেষে শুরু হচ্ছে। এরই মধ্যে ১২ জন গার্মেন্টকর্মীর জাপানে যাওয়ার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৫ নভেম্বর রাতে জাপানের ফুকুওয়াকা বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হবেন এসব গার্মেন্টকর্মী।প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানসচিব ড. জাফর আহমেদ খান গতকাল বৃহস্পতিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, সরকারি-বেসরকারি প্রচেষ্টায় জাপানের শ্রমবাজার উন্মুক্ত হতে শুরু করেছে। আগামী সপ্তাহেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রেডিয়াস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মাধ্যমে ১২ জন কর্মী কারিগরি প্রশিক্ষণার্থী (টেকনিক্যাল ইন্টার্ন) হিসেবে জাপানে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
সচিব কালের কণ্ঠকে আরো বলেন, 'জাপানের বেশ কিছু চাহিদাপত্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে দেশের বেসরকারি কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। আমরা সেগুলো যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করব।' সচিব বলেন, সরকার নতুন নতুন প্রতিযোগিতামূলক বাজারে জনশক্তি রপ্তানির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে আসছে সফলতাও।
এ প্রসঙ্গে টেলিফোনে জানতে চাইলে দক্ষিণ এশিয়াকেন্দ্রিক জাপানি জনশক্তি নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এলপি ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাপানি ব্যবসায়ী মীর মোহাম্মদ নাঈম খবরটির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি গতকাল এ প্রতিনিধিকে জানান, জাপানের 'নাগাসাকি অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন' বাংলাদেশের রেডিয়াস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মাধ্যমে কর্মী সংগ্রহ শুরু করেছে। রেডিয়াস বাংলাদেশের ১২ জন গার্মেন্টকর্মী ১৫ নভেম্বর জাপানের ফুকুওয়াকা বিমানবন্দরে পাঠাবে। সেখান থেকে নাগাসাকি অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের তত্ত্বাবধানে এসব কর্মী নাগাসাকি শহরে আসবেন। তাঁরা এক মাস ট্রেনিং শেষ করে যোগ দেবেন নাগাসাকি শহরে অবস্থিত সানইয়ো, সানশাইন, মেদ্রার ও সার্গির গার্মেন্টে। জাপানের আইন অনুযায়ী একটি গার্মেন্ট কারখানা তিনজন করে টেকনিক্যাল ইন্টার্ন রাখতে পারবে। প্রশিক্ষণ চলাকালে একজন কর্মী থাকা-খাওয়ার সুযোগের পাশাপাশি ৩০০ ডলার করে পাবেন। এরপর কাজে যোগ দিয়ে প্রতি মাসে বেতন বাবদ পাবেন (চুক্তি অনুযায়ী) বাংলাদেশি মুদ্রায় এক লাখ চার হাজার টাকা। এ ছাড়া ওভারটাইম করলে বেতন আরো বাড়বে। এসব কর্মী চাকরি করা অবস্থায় আবাসস্থলে থাকা ও খাবারের প্রয়োজনীয় চাল বিনা মূল্যে পাবেন। তাঁরা সর্বোচ্চ তিন বছর জাপানে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
যোগাযোগ করা হলে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রমসচিব বেবি রানী কর্মকার গতকাল টেলিফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'জাপান শ্রমবাজার বাংলাদেশের জন্য এখন বড় ধরনের সম্ভাবনার ক্ষেত্র। বিষয়টি তুলে ধরে আমি মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানিয়েছি। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে জাপানে জনশক্তি রপ্তানি অব্যাহত রাখতে পারলে দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি আরো মজবুত করা সম্ভব। এ ছাড়া জাপানে কাজের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনশক্তি দেশে নিতে পারলে তাঁরা নিজেসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের স্বাবলম্বী করে তুলবে।'
২০০৫ সালে জাপানে কর্মী গ্রহণকারী বিভিন্ন সমিতির একমাত্র প্রতিনিধি 'জাপান আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা সংস্থা'র (জিটকো) সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী জাপানে জনশক্তি রপ্তানির একক ক্ষমতা সংরক্ষণ করে বিএমইটি। কিন্তু বাজার সমপ্রসারণ ও জনশক্তি গ্রহণকারী সমিতিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বিএমইটির কোনো বরাদ্দ না থাকায় জনশক্তি প্রেরণ চাহিদাপত্র (ডিমান্ড লেটার) সংগ্রহে ব্যর্থ হয় প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া কিছু শর্তের কারণে জটিলতা তৈরি হয়। ফলে গত সাত বছরে জাপানে মাত্র আটজন কর্মী পাঠাতে সক্ষম হয় সংস্থাটি। এরপর এই প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে জাপানে যাচ্ছেন বাংলাদেশি কর্মী।
এ প্রসঙ্গে টেলিফোনে জানতে চাইলে দক্ষিণ এশিয়াকেন্দ্রিক জাপানি জনশক্তি নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এলপি ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাপানি ব্যবসায়ী মীর মোহাম্মদ নাঈম খবরটির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি গতকাল এ প্রতিনিধিকে জানান, জাপানের 'নাগাসাকি অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন' বাংলাদেশের রেডিয়াস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মাধ্যমে কর্মী সংগ্রহ শুরু করেছে। রেডিয়াস বাংলাদেশের ১২ জন গার্মেন্টকর্মী ১৫ নভেম্বর জাপানের ফুকুওয়াকা বিমানবন্দরে পাঠাবে। সেখান থেকে নাগাসাকি অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের তত্ত্বাবধানে এসব কর্মী নাগাসাকি শহরে আসবেন। তাঁরা এক মাস ট্রেনিং শেষ করে যোগ দেবেন নাগাসাকি শহরে অবস্থিত সানইয়ো, সানশাইন, মেদ্রার ও সার্গির গার্মেন্টে। জাপানের আইন অনুযায়ী একটি গার্মেন্ট কারখানা তিনজন করে টেকনিক্যাল ইন্টার্ন রাখতে পারবে। প্রশিক্ষণ চলাকালে একজন কর্মী থাকা-খাওয়ার সুযোগের পাশাপাশি ৩০০ ডলার করে পাবেন। এরপর কাজে যোগ দিয়ে প্রতি মাসে বেতন বাবদ পাবেন (চুক্তি অনুযায়ী) বাংলাদেশি মুদ্রায় এক লাখ চার হাজার টাকা। এ ছাড়া ওভারটাইম করলে বেতন আরো বাড়বে। এসব কর্মী চাকরি করা অবস্থায় আবাসস্থলে থাকা ও খাবারের প্রয়োজনীয় চাল বিনা মূল্যে পাবেন। তাঁরা সর্বোচ্চ তিন বছর জাপানে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
যোগাযোগ করা হলে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রমসচিব বেবি রানী কর্মকার গতকাল টেলিফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'জাপান শ্রমবাজার বাংলাদেশের জন্য এখন বড় ধরনের সম্ভাবনার ক্ষেত্র। বিষয়টি তুলে ধরে আমি মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানিয়েছি। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে জাপানে জনশক্তি রপ্তানি অব্যাহত রাখতে পারলে দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি আরো মজবুত করা সম্ভব। এ ছাড়া জাপানে কাজের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনশক্তি দেশে নিতে পারলে তাঁরা নিজেসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের স্বাবলম্বী করে তুলবে।'
২০০৫ সালে জাপানে কর্মী গ্রহণকারী বিভিন্ন সমিতির একমাত্র প্রতিনিধি 'জাপান আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা সংস্থা'র (জিটকো) সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী জাপানে জনশক্তি রপ্তানির একক ক্ষমতা সংরক্ষণ করে বিএমইটি। কিন্তু বাজার সমপ্রসারণ ও জনশক্তি গ্রহণকারী সমিতিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বিএমইটির কোনো বরাদ্দ না থাকায় জনশক্তি প্রেরণ চাহিদাপত্র (ডিমান্ড লেটার) সংগ্রহে ব্যর্থ হয় প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া কিছু শর্তের কারণে জটিলতা তৈরি হয়। ফলে গত সাত বছরে জাপানে মাত্র আটজন কর্মী পাঠাতে সক্ষম হয় সংস্থাটি। এরপর এই প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে জাপানে যাচ্ছেন বাংলাদেশি কর্মী।
No comments