নতুন অধ্যায়ের সূচনা চায় ভারত-পাকিস্তান
সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চায় চিরবৈরী দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তান। এ উপলক্ষে মালদ্বীপে বৈঠক করেছেন দুই প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও ইউসুফ রাজা গিলানি। বৈঠকে পরস্পরের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে সময় নষ্ট না করতে পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। খবর এএফপি, দ্য ডন ও জিনিউজ অনলাইনের।গতকাল বৃহস্পতিবার মালদ্বীপে সার্ক সম্মেলনের সাইডলাইনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন মনমোহন সিং।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মনমোহন বলেন, আমাদের দুই দেশের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় লেখার সময় এসেছে। দু'দেশের মধ্যকার পরবর্তী বৈঠক হওয়া উচিত অনেক বেশি কার্যকর এবং বাস্তবভিত্তিক, যাতে দেশ দুটি আরও কাছাকাছি আসতে পারে। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দু'দেশেরই বোঝা উচিত, তাদের ভাগ্য পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তিনি জানান, দু'দেশের মধ্যে কিছুটা ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে, তবে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে অনেক কিছু করতে হবে।
গিলানি জানান, এক ঘণ্টার এ বৈঠকে বিতর্কিত সব বিষয় নিয়েই তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তিনিও আশা করেন, উভয় দেশের পরবর্তী বৈঠকটি দু'দেশের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। তাদের এ বৈঠকে সীমান্ত বিরোধ, সন্ত্রাস, বাণিজ্য এবং কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। তবে দু'দেশের মধ্যকার পরবর্তী বৈঠকটি কবে হবে তা কোনো প্রধানমন্ত্রীই জানাননি।
বিরোধপূর্ণ এ দুই প্রতিবেশীর মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে সবচেয়ে বড় বাধা সন্ত্রাস ও কাশ্মীর সমস্যা। ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর দ্বিপাক্ষীয় বৈঠক থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল ভারত। পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ওই হামলা চালিয়েছিল। পরে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে দু'দেশের মধ্যে আবারও শান্তি আলোচনা শুরু হয়।
এক সার্ক, এক ভিসা : সার্কভুক্ত দেশগুলোয় ভিসামুক্ত পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব দিয়েছে পাকিস্তান। এ পদ্ধতি চালু হলে তা সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে হৃদ্য বাড়বে বলে বিশ্বাস পাকিস্তানের। পাকিস্তানের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এ প্রস্তাব তুলে ধরেছে। তাদের ভিসামুক্ত পদ্ধতিটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতোই, যেখানে একটি একক ভিসাই ব্যবহার করা হয়। পাকিস্তানের প্রতিনিধি দল এখন ভারতে অবস্থান করছে। তারা সেখানে গেছে মূলত ভারতীয় জলসীমা থেকে আটক হওয়া পাকিস্তানি জেলেদের মুক্তির চেষ্টা চালাতে। এ সফরকালে প্রতিনিধি দলটি ভিসামুক্ত ও একক মুদ্রা ব্যবহারের ওপর জোর দেয়। তাদের মতে, একক ভিসা ও মুদ্রা চালু হলে সার্কভুক্ত দেশগুলো বিশেষ করে ভারত ও পাকিস্তান এতে ব্যাপক উপকৃত হবে। এদিকে মালদ্বীপে সার্ক সম্মেলনে অংশ নেওয়া পাকিস্তানি পররাষ্ট্র সচিব সালমান বশির জানিয়েছেন, সার্কের উচিত আগ্রহী দেশগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্বমূলক সংলাপ চালু করা। তিনি বলেন, সার্কের সক্রিয় অংশীদার হতে চীনের আগ্রহকে স্বাগত জানায় পাকিস্তান।
গিলানি জানান, এক ঘণ্টার এ বৈঠকে বিতর্কিত সব বিষয় নিয়েই তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তিনিও আশা করেন, উভয় দেশের পরবর্তী বৈঠকটি দু'দেশের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। তাদের এ বৈঠকে সীমান্ত বিরোধ, সন্ত্রাস, বাণিজ্য এবং কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। তবে দু'দেশের মধ্যকার পরবর্তী বৈঠকটি কবে হবে তা কোনো প্রধানমন্ত্রীই জানাননি।
বিরোধপূর্ণ এ দুই প্রতিবেশীর মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে সবচেয়ে বড় বাধা সন্ত্রাস ও কাশ্মীর সমস্যা। ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর দ্বিপাক্ষীয় বৈঠক থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল ভারত। পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ওই হামলা চালিয়েছিল। পরে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে দু'দেশের মধ্যে আবারও শান্তি আলোচনা শুরু হয়।
এক সার্ক, এক ভিসা : সার্কভুক্ত দেশগুলোয় ভিসামুক্ত পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব দিয়েছে পাকিস্তান। এ পদ্ধতি চালু হলে তা সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে হৃদ্য বাড়বে বলে বিশ্বাস পাকিস্তানের। পাকিস্তানের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এ প্রস্তাব তুলে ধরেছে। তাদের ভিসামুক্ত পদ্ধতিটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতোই, যেখানে একটি একক ভিসাই ব্যবহার করা হয়। পাকিস্তানের প্রতিনিধি দল এখন ভারতে অবস্থান করছে। তারা সেখানে গেছে মূলত ভারতীয় জলসীমা থেকে আটক হওয়া পাকিস্তানি জেলেদের মুক্তির চেষ্টা চালাতে। এ সফরকালে প্রতিনিধি দলটি ভিসামুক্ত ও একক মুদ্রা ব্যবহারের ওপর জোর দেয়। তাদের মতে, একক ভিসা ও মুদ্রা চালু হলে সার্কভুক্ত দেশগুলো বিশেষ করে ভারত ও পাকিস্তান এতে ব্যাপক উপকৃত হবে। এদিকে মালদ্বীপে সার্ক সম্মেলনে অংশ নেওয়া পাকিস্তানি পররাষ্ট্র সচিব সালমান বশির জানিয়েছেন, সার্কের উচিত আগ্রহী দেশগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্বমূলক সংলাপ চালু করা। তিনি বলেন, সার্কের সক্রিয় অংশীদার হতে চীনের আগ্রহকে স্বাগত জানায় পাকিস্তান।
No comments