ক্ষমতা ছাড়লে আসাদকে আশ্রয় দিতে চান আরব নেতারা
ক্ষমতা ছাড়ার পর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে নিরাপদ আশ্রয় দিতে আগ্রহী অনেক আরব দেশ। এসব দেশের নেতৃত্ব ব্যক্তিগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে তাঁদের এ মনোভাবের কথা জানিয়েছেন। তাঁরা মনে করেন, আসাদের শাসনামল সমাপ্তির দ্বারপ্রান্তে পেঁৗছে গেছে। তাঁর পতন 'অনিবার্য'। মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেফরি ফেল্টম্যান গত বুধবার এ কথা জানিয়েছেন।মার্কিন পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের একটি প্যানেলকে ফেল্টম্যান বলেন, 'শান্তিপূর্ণভাবে দ্রুততার সঙ্গে ক্ষমতা ছাড়ার ব্যাপারে আসাদকে অনুপ্রাণিত করতে কিছু আরব নেতা ইতিমধ্যে তাঁকে নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন।
' নিকট প্রাচ্যবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফেল্টম্যান বলেন, 'আসাদের শাসনামল সমাপ্তির দ্বারপ্রান্তে পেঁৗছে গেছে_প্রায় সব আরব নেতাই এ কথা বলেছেন। তাঁর পতন অনিবার্য হয়ে উঠেছে।' ফেল্টম্যান আশা করেন, আসাদ ও তাঁর সরকারের কর্তাব্যক্তিরা 'স্বেচ্ছায় ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াবেন'। এ সময় আইন প্রণেতাদের কেউ কেউ দামেস্কে 'প্রাসাদ অভ্যুত্থানের' প্রসঙ্গ তুললে ফেল্টম্যান বলেন, 'আমি মনে করি, সে রকম কিছু ঘটার সম্ভাবনা খুবই কম।'
গত মার্চের মাঝামাঝি আসাদবিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত দেশটিতে জাতিসংঘের হিসাবে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারী সরকারি বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে। বিরোধীদের দাবি অনুযায়ী, এ সংখ্যা চার হাজার ২০০। এ চলমান রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে গত সপ্তাহেই আরব লীগ প্রণীত একটি শান্তি পরিকল্পনায় স্বাক্ষর করে সিরিয়া সরকার। তবে এর পরও গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ৬০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। মানবাধিকারকর্মীরা দাবি করেছেন, গত বুধবারও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ১২ বেসামরিক নাগরিক। আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরুর পর রাজধানী দামেস্কে ঘটা এ হতাহতের ঘটনা এখন পর্যন্ত অন্যতম রক্তক্ষয়ী বলে বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন।
আরব লীগ প্রণীত শান্তি পরিকল্পনা অনুযায়ী, সিরিয়ার বিভিন্ন শহরে মোতায়েন করা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের তুলে নেবে সরকার। পাশাপাশি বিক্ষোভ চলাকালে আটক সব বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা।
ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো ক্ষমতা ছেড়ে দিতে আসাদের প্রতি একাধিকবার আহ্বান জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র দেশটির ওপর অর্থনৈতিক অবরোধও আরোপ করেছে। তবে সিরিয়ায় কোনো ধরনের সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা নেই বলে জানান ফেল্টম্যান। তিনি বলেন, 'সিরিয়া লিবিয়া নয়।' সূত্র : টেলিগ্রাফ, এএফপি, রয়টার্স।
গত মার্চের মাঝামাঝি আসাদবিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত দেশটিতে জাতিসংঘের হিসাবে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারী সরকারি বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে। বিরোধীদের দাবি অনুযায়ী, এ সংখ্যা চার হাজার ২০০। এ চলমান রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে গত সপ্তাহেই আরব লীগ প্রণীত একটি শান্তি পরিকল্পনায় স্বাক্ষর করে সিরিয়া সরকার। তবে এর পরও গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ৬০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। মানবাধিকারকর্মীরা দাবি করেছেন, গত বুধবারও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ১২ বেসামরিক নাগরিক। আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরুর পর রাজধানী দামেস্কে ঘটা এ হতাহতের ঘটনা এখন পর্যন্ত অন্যতম রক্তক্ষয়ী বলে বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন।
আরব লীগ প্রণীত শান্তি পরিকল্পনা অনুযায়ী, সিরিয়ার বিভিন্ন শহরে মোতায়েন করা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের তুলে নেবে সরকার। পাশাপাশি বিক্ষোভ চলাকালে আটক সব বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা।
ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো ক্ষমতা ছেড়ে দিতে আসাদের প্রতি একাধিকবার আহ্বান জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র দেশটির ওপর অর্থনৈতিক অবরোধও আরোপ করেছে। তবে সিরিয়ায় কোনো ধরনের সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা নেই বলে জানান ফেল্টম্যান। তিনি বলেন, 'সিরিয়া লিবিয়া নয়।' সূত্র : টেলিগ্রাফ, এএফপি, রয়টার্স।
No comments