সাতকানিয়ায় শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের হাতে প্রধান শিক্ষক অবরুদ্ধ
এসএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগে এক স্কুলের প্রধান শিক্ষককে রুমে তালাবদ্ধ রেখে প্রায় ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। শনিবার সাতকানিয়া উপজেলার চরতি দুরদুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
পরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা অতিরিক্ত টাকা ফেরত ও সরকার নির্ধারিত ফি‘তে ফরম পূরণ করার আশ্বাস থানা পুলিশ গিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শংকর বসাককে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে।
চরতি এলাকার মো. লোকমান জানান, এসএসসির ফরম পূরণে সরকার নির্ধারিত ফি এর চেয়ে ৩ গুণ বেশি টাকা আদায় করছিল স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এ অভিযোগে স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে কেন অতিরিক্ত ফি নেওয়া হচ্ছে তা জানতে চাওয়া হয়। প্রধান শিক্ষক যথাযথ উত্তর দিতে না পারায় ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। প্রধান শিক্ষক ও স্কুল পরিচালনা কমিটির নানা অনিয়মের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল হোসেন জানান, স্কুলের এক প্রধান শিক্ষককে তালাবদ্ধ করে অবরুদ্ধ রাখার খবরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে শিক্ষার্থী-অভিভাবক, স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক এসএসসির ফরমপূরণে নির্ধারিত ফি’র চেয়ে বেশি নেয়া হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এ প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বুঝিয়ে প্রধান শিক্ষককে স্কুল থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক শংকর বসাক বলেন, ‘স্কুল পরিচালনা কমিটির নির্দেশনায় এসএসসির ফরম পূরণের জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি নেয়া হচ্ছে। যারা এসএসসির নির্বাচনী পরীক্ষায় পাস করেছে, তাদের নিয়ে সমস্যা হয় নি। যারা কয়েক বিষয়ে ফেল করেছে তাদের ফরম পূরণ নিয়ে বিষয়ে একটু সমস্যা হয়েছে। বিষয়টি থানা পুলিশ ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অবহিত রয়েছে।’
তবে, অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে কোন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের লিখিত অভিযোগ পেলে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন
পরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা অতিরিক্ত টাকা ফেরত ও সরকার নির্ধারিত ফি‘তে ফরম পূরণ করার আশ্বাস থানা পুলিশ গিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শংকর বসাককে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে।
চরতি এলাকার মো. লোকমান জানান, এসএসসির ফরম পূরণে সরকার নির্ধারিত ফি এর চেয়ে ৩ গুণ বেশি টাকা আদায় করছিল স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এ অভিযোগে স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে কেন অতিরিক্ত ফি নেওয়া হচ্ছে তা জানতে চাওয়া হয়। প্রধান শিক্ষক যথাযথ উত্তর দিতে না পারায় ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। প্রধান শিক্ষক ও স্কুল পরিচালনা কমিটির নানা অনিয়মের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল হোসেন জানান, স্কুলের এক প্রধান শিক্ষককে তালাবদ্ধ করে অবরুদ্ধ রাখার খবরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে শিক্ষার্থী-অভিভাবক, স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক এসএসসির ফরমপূরণে নির্ধারিত ফি’র চেয়ে বেশি নেয়া হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এ প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বুঝিয়ে প্রধান শিক্ষককে স্কুল থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক শংকর বসাক বলেন, ‘স্কুল পরিচালনা কমিটির নির্দেশনায় এসএসসির ফরম পূরণের জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি নেয়া হচ্ছে। যারা এসএসসির নির্বাচনী পরীক্ষায় পাস করেছে, তাদের নিয়ে সমস্যা হয় নি। যারা কয়েক বিষয়ে ফেল করেছে তাদের ফরম পূরণ নিয়ে বিষয়ে একটু সমস্যা হয়েছে। বিষয়টি থানা পুলিশ ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অবহিত রয়েছে।’
তবে, অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে কোন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের লিখিত অভিযোগ পেলে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসনে আরা।
তিনি বলেন, ‘এসএসসির ফরম পূরণে সরকার নির্ধারিত ফি’র বাইরে কোন প্রতিষ্ঠানকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করতে দেয়া হবে না। যেই প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত ফি নিবে সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘এসএসসির ফরম পূরণে সরকার নির্ধারিত ফি’র বাইরে কোন প্রতিষ্ঠানকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করতে দেয়া হবে না। যেই প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত ফি নিবে সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
No comments