জয়িতা পুরস্কার পেলেন রিজিয়া রেজা চৌধুরী
নিজস্ব প্রতিবেদন: নারী জাগরণে অসামাণ্য অবদান রাখায় বেগম রোকেয়া দিবসের জয়িতা পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রিজিয়া রেজা চৌধুরী ।
শনিবার মুসলিম নারী জাগরনের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামে সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক উপজেলা মিলনায়তনে এই জয়িতা পূরস্কার প্রদান করা হয়। সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবারক হোসেন রিজিয়া রেজা চৌধুরীর হাতে এই পুরস্কার প্রদান করেন।
পুরস্কার পাওয়ার পর রিজিয়া রেজা চৌধুরী বলেন, আমার জীবনের একটি অনুপ্রেরনাময় পুরস্কার,নাম তার জয়িতা। আমি সত্যিকারের জয়িতাই বটে। জীবনের প্রতিটি শাখায়, প্রশাখায় শারীরিক,মানসিক যুদ্ব করেই আজকের অবস্থান তৈরী করতে হয়েছে। এই জীবন যুদ্ধে যাদের ভালবাসা, স্নেহ, অনুপ্রেরনা আমাকে একটি অনন্য জীবন দান করেছে। যাদের সংগ্রামী জীবনের প্রতিটি অধ্যায় আমাকে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখায়। তাদের জন্য আমার এই সামান্য অর্জনটুকু উৎসর্গ করলাম ।
‘অর্জন সামান্য হলে ও তবে হৃদয়ের ভালবাসার বিশালতার কাছে তা হার মানতে বাধ্য। আমার রাজনৈতিক আইডল আমার প্রাণপ্রিয় মমতাময়ি নেত্রী, প্রিয় শ্রদ্ধেয় মামা মিয়া মুহাম্মদ জয়নুল আবেদিন,ভালবাসার মানুষ প্রিয় নদভী,আমার রাজনৈতিক গুরু মহিলা আওয়ামী লীগের দুই কান্ডারির প্রতি আমার অন্তরের অন্তস্তল থেকে বিনম্র শ্রদ্বা, ভালবাসা ও অফুরন্ত দোয়া রইল। ’
কৃতিত্ব ও পরিচয়:
মিসেস রিজিয়া রেজা চৌধুরী চট্টগ্রামের সাতকানিয়া চরতি ইউনিয়নে ১৯৮০ সনে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম ও আলেম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন, পিতা মাতার সান্নিধ্য থেকে প্রাথমিক শিক্ষা পুকুরিয়া আন্সারুল উলুম মাদ্রাসা হতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে সম্পন্ন করেন, এরপর চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সলিমা সিরাজ মহিলা ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা থেকে ১৯৯৪ সালে স্টার মার্ক পেয়ে দাখিল, ১৯৯৬ সালে আলিম কৃতিত্বের সাথে পাশ করেন,এরপর চট্টগ্রামের প্রবীণ দ্বীনি প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসা থেকে ১৯৯৮ সালে ফাজিল (ডিগ্রি) ২০০০ সালে কামিল (মাস্টার্স) ফার্স্ট ক্লাস পান।
তিনি চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি ভাষা ও সাহিত্যে ডিপ্লোমা কোর্স সমপন্ন করেন।
সফল কর্মবীর নারী রিজিয়া রেজা:
নারী হিসেবে তিনি একজন সফল কর্মবীর,সহজ সরল সাদা সিদে জীবনের অধিকারী। নেই কোনো বিলাসিতা ও অহংকার, আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্কলার,বিশিষ্ট আরবি,উর্দু,ফার্সি তুর্কি,ইংরেজি ভাষাবিদ চট্টগ্রাম ১৫ আসন সাতকানিয়া -লোহাগাড়ার মাননীয় সাংসদ প্রফেসর ড.আবু রেজা নেজামুদ্দীন নদভীর সুযোগ্য সহধর্মিণী, তিন সন্তানের জননী, বড় মেয়ে মুসলিম বিশ্বের ৫৭ টি দেশের সংস্থা ওআইসি পরিচালিত স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ নিয়ে ম্যাকানিক্যাল এন্ড ক্যামিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ অধ্যয়নরত, মেঝ ছেলে ও লেভেল পরীক্ষার্থী, ছোট মেয়ে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ক্লাস থ্রীতে অধ্যয়নরত।
সাংসারিক কাজের পাশাপাশি নারী জাগরণে বিভিন্ন সেক্টরে সফলতার সাথে অবদান রাখেন। ইতোমধ্যে তিনি আর্থসামাজিক বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে হাজার হাজার নারীদের প্রিয় নারী হিসেবে মন জয় করেন। তিনি যেসব সামাজিক সৃজনশীল কাজে সফলতার সাথে দায়িত্ত পালন করেছেন সেগুলোর
সংক্ষিপ্ত বিবরণ :
* তিনি দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক মুসলিম এনজিও সংস্থা আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন এর নারী ও শিশু বিভাগে দায়িত্ত্ব পালন করেন। নারী ও শিশুদের কে গ্রামীণ ফ্যাশন প্রজেক্ট এর মাধ্যমে নারী সচেতনতা ও জাগ্রণে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন যা গ্রামীণ অশিক্ষিত অবহেলিত নারীদের মধ্যে বেশ প্রশংসা ও সফলতা লাভ করেন।
* তিনি ঐতিহ্যবাহী নারী সংগঠন বাংলাদেশ মহিলা সমিতি (বাওয়া) ও লেডিস ক্লাবে নারী জাগরণে সফলতার সাথে দায়িত্ত পালন করেন।
* তিনি নারী জাগরণ ও সচেতনতার জন্য সাতকানিয়া লোহাগাড়ায় প্রতিষ্ঠা করেন সাতকানিয়া লোহাগাড়া মহিলা উন্নয়ন ফোরাম।
* তিনি সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার শিক্ষিত ও সুশীল সমাজদের নিয়ে গঠন করেন সাতকানিয়া -লোহাগাড়া সামাজিক ব্যাধি প্রতিরোধ ফোরাম,যা নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন, বাল্য বিবাহ,মাদক,জঙ্গীবাদ, ইভটিজিং প্রতিরোধে একান্ত ভুমিকা রাখছে ফোরামটি।
* তিনি আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন এর প্রধান নির্বাহী পরিচালক হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ত্ব পালন করে আসছেন, এবং উনার নেতৃত্বে ফাউন্ডেশন এর অধীনে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কুয়েত পল্লি, আমিরাত পল্লি, নদভী পল্লি, বিভিন্ন নামের পল্লী নির্মাণের মাধ্যমে গৃহহারা মানুষদের পূনর্বাসন করেন এবং সেখানে নারীদেরকে আর্থিকভাবে সচল করার জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন, যেমন কুটির শিল্প , সেলাই প্রশিক্ষণ সহ কর্মমূখী প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা প্রদান করেন।
* তিনি আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন এর প্রধান নির্বাহী পরিচালক হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ত্ব পালন করে আসছেন, এবং উনার নেতৃত্বে ফাউন্ডেশন এর অধীনে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কুয়েত পল্লি, আমিরাত পল্লি, নদভী পল্লি, বিভিন্ন নামের পল্লী নির্মাণের মাধ্যমে গৃহহারা মানুষদের পূনর্বাসন করেন এবং সেখানে নারীদেরকে আর্থিকভাবে সচল করার জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন, যেমন কুটির শিল্প , সেলাই প্রশিক্ষণ সহ কর্মমূখী প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা প্রদান করেন।
* তিনি লোহাগাড়ায় নারী পূনর্বাসন জনকল্যাণ শিক্ষা কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করেন যা নারী ও শিশুদের শিক্ষা ও পূনর্বাসন এ গুরুত্তপূর্ন ভূমিকা রাখছে।
* তিনি দুই মেয়াদে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া আল হেলাল ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতির দায়িত্ত্ব পালনে করে আসছেন উনার সুষ্ঠু পরিচালনায় ২০১৭ সালে আল হেলাল কলেজ উপজেলায় শ্রেষ্ঠ কলেজ হিসেবে নির্বাচিত হয়।
* তিনি দুই মেয়াদে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া আল হেলাল ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতির দায়িত্ত্ব পালনে করে আসছেন উনার সুষ্ঠু পরিচালনায় ২০১৭ সালে আল হেলাল কলেজ উপজেলায় শ্রেষ্ঠ কলেজ হিসেবে নির্বাচিত হয়।
* তিনি গত দুই বছর ধরে লোহাগাড়া পুটিবিলা উচ্চ বিদ্যালয় এর গভর্নিং বডির দায়িত্ত পালন করেন উনার দক্ষ নেতৃত্বে স্কুলের পরিচালনা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আনেন এবং বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হই।
গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত লোহাগাড়া গোড় স্থান উচ্চ বিদ্যালয় এর মনোরম পরিবেশ ফিরিয়ে আনেন। তাঁর নেতৃত্বে পুটিবিলা স্কুলের শিক্ষার্থীদের দ্বারা ২০ হাজার বৃক্ষ রোপন করা হই যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জাতীয় পূরস্কারে ভুষিত হই।
গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত লোহাগাড়া গোড় স্থান উচ্চ বিদ্যালয় এর মনোরম পরিবেশ ফিরিয়ে আনেন। তাঁর নেতৃত্বে পুটিবিলা স্কুলের শিক্ষার্থীদের দ্বারা ২০ হাজার বৃক্ষ রোপন করা হই যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জাতীয় পূরস্কারে ভুষিত হই।
* তিনি রহিমা খাতুন ছিন্নমূল শিশু শিখন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন এখানে ৮৫ টি স্কুলের ৩০০০ শিক্ষার্থী ও ১০০ শিক্ষিকার পূনর্বাসন করা হই।
* সম্প্রতি মায়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা নির্যাতিত রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের পূনর্বাসন করা হই যেখানে প্রায় ২০০ কোটি অর্থব্যয় করা হয়।
* তিনি রাজনীতি থেকে ও পিছিয়ে নেই গত কয়েক বছর ধরে সক্রিয়ভাবে সফলতার সাথে মহিলা আওয়ামীলীগ এর
কাজ করে যাচ্ছেন এবং নারী সমাজকে সংগঠিত করেন, যার পূরস্কার স্বরুপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উনাকে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগ এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে মনোনীত করেন। গত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করার জন্য আন্তরিক ভূমিকা রাখেন, গত ইউপি নির্বাচনে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পক্ষে ব্যাপক নির্বাচনী কাজ করেন,
এ ছাড়া নিজ স্বামী চট্টগ্রাম ১৫ আসনের মাননীয় সাংসদ প্রফেসর ড.আবু রেজা নেজামুদ্দীন নদভী এমপি’র সাথে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে প্রতিনিয়ত শামিল রাখছেন এবং এলাকার উন্নয়নে আন্তরিক সহযোগীতা করে যাচ্ছেন।
তাছাড়া সাতকানিয়া লোহাগাড়ার আইনশৃংখলা উন্নয়নে সর্বস্তরের জনসাধারণ ও প্রশাসন কে আন্তরিক সহযোগীতা করে যাচ্ছেন।
ইতোমধ্যে তিনি সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ইত্যাদি ক্ষেত্রে সাতকানিয়া লোহাগাড়ায় ব্যাপক পরিবর্তন আনেন। গ্রামের অসহায় দুঃস্থ মহিলা, স্বামীহারা নারী, নির্যাতিত নিপড়ীত নারীদেরকে সাধ্যমত সহযোগীতা ও পূনর্বাসন করে যাচ্ছেন।
কাজ করে যাচ্ছেন এবং নারী সমাজকে সংগঠিত করেন, যার পূরস্কার স্বরুপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উনাকে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগ এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে মনোনীত করেন। গত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করার জন্য আন্তরিক ভূমিকা রাখেন, গত ইউপি নির্বাচনে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পক্ষে ব্যাপক নির্বাচনী কাজ করেন,
এ ছাড়া নিজ স্বামী চট্টগ্রাম ১৫ আসনের মাননীয় সাংসদ প্রফেসর ড.আবু রেজা নেজামুদ্দীন নদভী এমপি’র সাথে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে প্রতিনিয়ত শামিল রাখছেন এবং এলাকার উন্নয়নে আন্তরিক সহযোগীতা করে যাচ্ছেন।
তাছাড়া সাতকানিয়া লোহাগাড়ার আইনশৃংখলা উন্নয়নে সর্বস্তরের জনসাধারণ ও প্রশাসন কে আন্তরিক সহযোগীতা করে যাচ্ছেন।
ইতোমধ্যে তিনি সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ইত্যাদি ক্ষেত্রে সাতকানিয়া লোহাগাড়ায় ব্যাপক পরিবর্তন আনেন। গ্রামের অসহায় দুঃস্থ মহিলা, স্বামীহারা নারী, নির্যাতিত নিপড়ীত নারীদেরকে সাধ্যমত সহযোগীতা ও পূনর্বাসন করে যাচ্ছেন।
No comments