চীন-নেপাল রেলপথ : উদ্বিগ্ন ভারত
চীনের
জাতীয় রেলওয়ে প্রশাসনের উপপরিচালক জেং জিয়ানের নেতৃত্বে ২৩ সদস্যের দলটি
মাঠপর্যায়ে গিরং, পোখারা ও লুম্বিনি সফর করে ১০ নভেম্বর নেপালের ভৌত
অবকাঠামো ও পরিবহনমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেছে। কাঠমান্ডু পোস্টের খবর
অনুযায়ী নেপালি রেলওয়ে মুখপাত্র প্রকাশ ভক্ত উপাধ্যায় বলেছেন, চীনা দলটি
ভৌগোলিক বিষয়সহ অনেক কারিগরি সমস্যার সমাধান দিয়েছে। বিশেষ করে ২০১৫ সালের
মতো ভূমিকম্প যদি আবার হয়, কিংবা নেপাল ও তিব্বতের ভূমিগত বৈসাদৃশ্যের মতো
অনেক বিষয়ে নেপালে সংশয় ছিল। চীনারা বলেছেন, এসব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
সিংগুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ সান লিৎঝু বলেন,
এসব প্রকল্প সম্পন্ন করতে অবশ্য বেশ সময় লাগবে। ভূ-রাজনৈতিক কারণেও সময়
লাগবে। কয়েক বছরে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক পর্যায়ে চীন ও নেপালের মধ্যে
কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। তারা বিশেষ করে বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের আওতায়
আন্তঃসীমান্ত রেলযোগাযোগ প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেছেন। ২০১৬
সালের মার্চে নেপালি প্রধানমন্ত্রী শর্মা অলি বোয়াও ফোরার সম্মেলনের ফাঁকে
চীনের সাথে ১০টি চুক্তি সই করেন। চীনা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, এই রেললাইন
স্থাপন তাদের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়। চীন এখন তিব্বতের জিগেজ থেকে নেপাল
সীমান্ত পর্যন্ত তাদের অংশের রেললাইন নির্মাণকাজ শুরু করে দিয়েছে। ২০২০ সাল
নাগাদ তা শেষ হবে বলে আশা করা যায়। চীনের বৃহত্তর লক্ষ্য হলো প্রতিবেশী সব
দেশের সাথে নানা দিক দিয়ে রেল সংযোগ প্রতিষ্ঠা করা। বিদেশী
সংবাদমাধ্যমগুলো একে ‘রেলওয়ে কূটনীতি’ হিসেবে অভিহিত করেছে। গৃহকর্মী ধর্ষণ
ও হত্যার দায়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যুদণ্ড এএফপি
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির উপশহর নোইদায় ২৫ বছর বয়সী এক গৃহকর্মীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে এক ব্যবসায়ী ও তার অপর এক গৃহকর্মীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে একটি বিশেষ আদালত। ২০০৬ সালে এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা হয়। শুক্রবার ইন্ডিয়ান সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (সিবিআই) আদালত এ রায় দেয়। ব্যবসায়ী মনিন্দ্র সিংহ পানধার ও তার পুরুষ গৃহকর্মী সুরিন্দ্র কোলির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার এক দিন পর এ রায় দেয়া হলো। নোইদার নিথারি গ্রামে ওই ব্যবসায়ীর নিজ বাড়িতে এ অপরাধ সংঘটিত হয়। কোলির বিরুদ্ধে এ অপরাধ ছাড়াও আগে আরো আটটি অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। পানধারের বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় অভিযোগ করা হয়। এর দু’টি প্রমাণিত হওয়ায় তাকেও মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। মৃত্যুদণ্ড দেয়ার সময় বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক পি কে তিওয়ারি বলেন, কোলি ও পানধার দু’জনই ২০০৬ সালে গৃহকর্মী অঞ্জলীকে ধর্ষণ ও হত্যার সাথে জড়িত। তারা কঠোর শাস্তি পাওয়ার উপযুক্ত। আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘কোলি ওই গৃহকর্মীকে টেনে-হেঁচড়ে বাড়িতে নিয়ে আসে ও তাকে অচেতন করে ধর্ষণ করে এবং তার পর মেয়েটির মাংস খায়। তাই তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া ছাড়া আইনের কাছে আর কোনো বিকল্প নেই। মহিন্দ্র সিংহও একই অপরাধে জড়িত। তাদের দু’জনকেই ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।’ অঞ্জলী নোইদায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। ২০০৬ সালের অক্টোবরে তিনি নিখোঁজ হন বলে জানানো হয়। ডিসেম্বরে কোলিকে গ্রেফতার করার পর তার হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে পুলিশ জানতে পারে। ওই বছরই পুলিশ পানধারের বাড়ির কাছ থেকে ১৬ জনের খুলি ও হাড় উদ্ধার করে। এদের বেশির ভাগই শিশু।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির উপশহর নোইদায় ২৫ বছর বয়সী এক গৃহকর্মীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে এক ব্যবসায়ী ও তার অপর এক গৃহকর্মীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে একটি বিশেষ আদালত। ২০০৬ সালে এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা হয়। শুক্রবার ইন্ডিয়ান সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (সিবিআই) আদালত এ রায় দেয়। ব্যবসায়ী মনিন্দ্র সিংহ পানধার ও তার পুরুষ গৃহকর্মী সুরিন্দ্র কোলির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার এক দিন পর এ রায় দেয়া হলো। নোইদার নিথারি গ্রামে ওই ব্যবসায়ীর নিজ বাড়িতে এ অপরাধ সংঘটিত হয়। কোলির বিরুদ্ধে এ অপরাধ ছাড়াও আগে আরো আটটি অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। পানধারের বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় অভিযোগ করা হয়। এর দু’টি প্রমাণিত হওয়ায় তাকেও মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। মৃত্যুদণ্ড দেয়ার সময় বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক পি কে তিওয়ারি বলেন, কোলি ও পানধার দু’জনই ২০০৬ সালে গৃহকর্মী অঞ্জলীকে ধর্ষণ ও হত্যার সাথে জড়িত। তারা কঠোর শাস্তি পাওয়ার উপযুক্ত। আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘কোলি ওই গৃহকর্মীকে টেনে-হেঁচড়ে বাড়িতে নিয়ে আসে ও তাকে অচেতন করে ধর্ষণ করে এবং তার পর মেয়েটির মাংস খায়। তাই তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া ছাড়া আইনের কাছে আর কোনো বিকল্প নেই। মহিন্দ্র সিংহও একই অপরাধে জড়িত। তাদের দু’জনকেই ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।’ অঞ্জলী নোইদায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। ২০০৬ সালের অক্টোবরে তিনি নিখোঁজ হন বলে জানানো হয়। ডিসেম্বরে কোলিকে গ্রেফতার করার পর তার হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে পুলিশ জানতে পারে। ওই বছরই পুলিশ পানধারের বাড়ির কাছ থেকে ১৬ জনের খুলি ও হাড় উদ্ধার করে। এদের বেশির ভাগই শিশু।
No comments