ইসলামি
সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে রাষ্ট্রপতি আব্দুল
হামিদ আগামী বুধবার তুরষ্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল যাচ্ছেন। এতে যুক্তরাষ্ট্র
কর্তৃক জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভুত
পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ
আলী আজ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ৬ ডিসেম্বর
যুক্তরাষ্ট্র সরকার আল-কুদ্্স আস্-শরীফকে (যা অন্যায়ভাবে ১৯৬৭ সাল হতে
ইসরাইলের দখলাধীন) ইসরাইলের কথিত রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতির পক্ষে মত দেয়
এবং তেল আবিবে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জেরুসালেমে স্থানান্তরের
অভিপ্রায় ব্যক্ত করে। এতে আল-কুদ্স আস্-শরীফ তথা ফিলিস্তিন-ইসরাইল শান্তি
প্রক্রিয়া এক অপ্রত্যাশিত হুমকির মধ্যে পড়েছে এবং আরব-ইসরাইল দ্বন্দ্বে
নতুনভাবে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারনে
ওআইসি’র বর্তমান সভাপতি তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইপ এরদোগান সদস্য
দেশগুলোর রাষ্ট্র/সরকার প্রধানদের এক জরুরি বিশেষ শীর্ষ সম্মেলন আহ্বান
করেছেন। শীর্ষ সম্মেলনের আগে মঙ্গলবার ওআইসি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এবং
পরদিন সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। পররাষ্ট্র
প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম দ্বিতীয় বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব
দেবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওআইসি আল-কুদ্্স কমিটির সক্রিয় সদস্য হিসেবে
বাংলাদেশ বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে আসছে। এছাড়া ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম
সম্মেলন (সিএফএম) আগামী বছর ঢাকায় আয়োজন করা হবে। বাংলাদেশ বর্তমানে
সংস্থাটির নির্বাহী কমিটির সদস্য। ঢাকায় ওআইসি’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের
সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সিএফএমের সভাপতিত্ব লাভ করবে। ইস্তাম্বুল শীর্ষ
সম্মেলনের এক সপ্তাহের মধ্যে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসবেন।
তাই আন্তর্জাতিক এবং দ্বিপাক্ষিক - উভয় প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ওআইসি শীর্ষ
সম্মেলনটিতে রাষ্ট্রপতির অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।
No comments