রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে নয়, বাড়িতে ফেরাতে হবে
রাখাইনে
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে বাড়িতে রাখার পরিবর্তে নতুন কোনো শিবিরে আশ্রয়
দেয়া হলে তা বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছে ডজনেরও বেশি আন্তর্জাতিক ত্রাণ
সংস্থা। তারা বলেছে, শরণার্থীদের অবশ্যই তাদের আগের বাড়িতে রাখতে হবে।
শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেয় তারা। এই সংস্থাগুলোর মধ্যে সেভ দ্য
চিলড্রেন ও অক্সফামও রয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমার দুই মাসের মধ্যে
বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করবে, এমন ঘোষণায় ত্রাণ
সংস্থাগুলো উদ্বিগ্ন। উল্লেখ্য, রাখাইন সহিংসতায় ৬ লাখ ২০ হাজারের বেশি
রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
তাদের ফিরিয়ে নিতে সম্প্রতি মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষর হয়। জানানো হয়েছে, ফিরে যাওয়া শরণার্থীদের প্রাথমিকভাবে রাখাইনে অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে রাখা হবে। ত্রাণ সংস্থাগুলো আশঙ্কা করছে, মধ্য রাখাইনের ১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা যে পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে, ফিরে যাওয়া শরণার্থীরাও একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে। ২০১২ সালের সহিংসতায় বসতভিটা থেকে উৎখাত হওয়ার পর বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা মধ্য রাখাইনের আশ্রয় শিবিরে শোচনীয় জীবনযাপন করছে। বিবৃতিতে বলা হয়, রাখাইনে কোন অবরুদ্ধ শিবির থাকা উচিত না। যদি এমন শিবির তৈরি করা হয়, আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো সেখানে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে না। রোহিঙ্গাদেরকে স্বেচ্ছায় ফিরিয়ে নিতে হবে। জাতিসংঘ রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানকে জাতি নিধন বলে আখ্যায়িত করেছে। এছাড়া রাখাইন সহিংসতায় গণহত্যার সম্ভাব্য সকল উপাদানই রয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এদিকে, শুক্রবার ইউএনএইচসিআর বলেছে, রোহিঙ্গারা এখনো সীমান্ত পাড়ি দিচ্ছে। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর আগে সেখানকার স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। উল্লেখ্য, বৌদ্ধ-প্রধান মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা ব্যাপক বৈষম্যের শিকার হ। দেশটি রোহিঙ্গাদেরকে সংখ্যালঘু ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। নাগরিকত্বসহ মৌলিক অধিকারগুলো থেকেও বঞ্চিত করা হয় তাদের।
তাদের ফিরিয়ে নিতে সম্প্রতি মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষর হয়। জানানো হয়েছে, ফিরে যাওয়া শরণার্থীদের প্রাথমিকভাবে রাখাইনে অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে রাখা হবে। ত্রাণ সংস্থাগুলো আশঙ্কা করছে, মধ্য রাখাইনের ১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা যে পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে, ফিরে যাওয়া শরণার্থীরাও একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে। ২০১২ সালের সহিংসতায় বসতভিটা থেকে উৎখাত হওয়ার পর বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা মধ্য রাখাইনের আশ্রয় শিবিরে শোচনীয় জীবনযাপন করছে। বিবৃতিতে বলা হয়, রাখাইনে কোন অবরুদ্ধ শিবির থাকা উচিত না। যদি এমন শিবির তৈরি করা হয়, আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো সেখানে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে না। রোহিঙ্গাদেরকে স্বেচ্ছায় ফিরিয়ে নিতে হবে। জাতিসংঘ রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানকে জাতি নিধন বলে আখ্যায়িত করেছে। এছাড়া রাখাইন সহিংসতায় গণহত্যার সম্ভাব্য সকল উপাদানই রয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এদিকে, শুক্রবার ইউএনএইচসিআর বলেছে, রোহিঙ্গারা এখনো সীমান্ত পাড়ি দিচ্ছে। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর আগে সেখানকার স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। উল্লেখ্য, বৌদ্ধ-প্রধান মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা ব্যাপক বৈষম্যের শিকার হ। দেশটি রোহিঙ্গাদেরকে সংখ্যালঘু ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। নাগরিকত্বসহ মৌলিক অধিকারগুলো থেকেও বঞ্চিত করা হয় তাদের।
No comments