স্ত্রীর প্রার্থিতা বাতিলের জন্য স্বামী-সন্তানদের দাবি
নির্বাচন
কমিশনে তথ্য গোপন করার অভিযোগ এনে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪, ৫ ও ৬
নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী রাজিয়া সুলতানার
প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার স্বামী শেখ রেজা আহমেদ
ও দুই সন্তান। শনিবার নগরীর চারতদলা মোড়ে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান
তিনি। অন্য দিকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে এ পর্যন্ত আট
প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে
লিখিত বক্তব্যে শেখ রেজা আহমেদ বলেন, আমার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা তাকে
তালাকপ্রাপ্ত দেখিয়ে নির্বাচন কমিশনে ভুয়া তথ্য দিয়ে সংরক্ষিত কাউন্সিলর
পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি বলেন, আমাদের ১২ বছরের সংসার জীবনে দুইটি
যমজ সন্তান আছে। আমাদের সন্তান রুবাইয়া ইসলাম রিনি ও জান্নাতুল ফেরদৌস জিম
চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তিনি অভিযোগ করেন, আমার স্ত্রী নির্বাচন
কমিশনের তথ্যফরম ও হলফনামায় স্বামীর নামের স্থলে তালাকপ্রাপ্তা দেখিয়ে
মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আমার স্ত্রী মাদকব্যবসায়ী ছেয়াদ আলীর নেতৃত্বে
এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছেন। এ কারণে ওই এলাকার ভোটাররা ব্যাপক ভীতির মধ্যে
আছেন।
বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে তিনি তার স্ত্রীর প্রার্থিতা বাতিলের দাবি
জানিয়েছেন। এ দিকে নির্বাচনে এ পর্যন্ত মেয়রসহ আটজন সংরক্ষিত ও সাধারণ
কাউন্সিলর প্রার্থীকে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে কারণ দর্শানো,
অর্থদণ্ডসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা
জিএম শাহাতাব উদ্দিন জানান, ৩৩টি ওয়ার্ডে ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেটের
নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত আটজন প্রার্থীর
বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আট হাজার ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। এ
ছাড়া একাধিক প্রার্থীকে শোকজ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র
সরকার বলেন, আমরা মাঠে তৎপর আছি। কেউ নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করলে তার
বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রসঙ্গত আগামী ২১ ডিসেম্বর নির্বাচন
অনুষ্ঠিত হবে। এখানে মেয়র পদে সাত জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৫ জন এবং
সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
No comments