ড. ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় সরকার হতে পারে: কাজী জাফর by ছলিম উল্লাহ মেজবাহ
জাতীয়
পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান প্রবীণ রাজনীতিবিদ কাজী জাফর আহমদ বলেছেন,
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় সরকার হতে পারে। আর সে
সরকারের অধীনেই দেশে সবার অংশগ্রহণে একটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের
সম্ভাবনাই বেশি। মানবকণ্ঠের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এককালের চীনাপন্থি
বাম রাজনীতিবিদ ও এরশাদ সরকারের প্রধানমন্ত্রী কাজ জাফর আহমদ একথা বলেন।
শরীর বেঁকে বসলেই অস্ট্রেলিয়া চলে যান, সুস্থ হলেই দেশে ফিরে রাজনীতিতে ঢেউ
তুলতে চান। এক সময়ে তিনি ছিলেন চারদলীয় জোটের নেপথ্য রূপকার। এখন
সম্প্রসারিত ২০ দলীয় জোটে আছেন। ইফতার রাজনীতিতে খুব সক্রিয়। খালেদা জিয়ার
ডানপাশ দখল করে বসেছেন গত ক’দিনের ইফতারে এককালের এই বাম নেতা। তিনি বলেন,
সরকার এ বছরের শেষ বা আগামী বছরের শুরুতে নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় আসতে
চাইবে। কিন্তু শেষরক্ষা হবে না। সব কিছু মিলিয়ে দেশ গণঅভ্যুত্থানের দিকে
অগ্রসর হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ২০ দলীয় জোটে জামায়াতে ইসলামী আছে এবং থাকবে মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমদ বলেছেন, ঈদের পরে ২০ দল ঘুরে দাঁড়াবে। আগের চেয়ে এ জোট আরো শক্তিশালী হবে। তিনি বলেন, বেগম জিয়ার আবেদনে সাড়া দিয়ে ২০ দল আরো সম্প্রসারিত হবে।
রাজধানীর গুলশানের নিজ বাসভবনে সম্প্রতি মানবকণ্ঠের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে কাজী জাফর আহমদ এসব কথা বলেন।
জামায়াতের সঙ্গে কিছু রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে মন্তব্য করে কাজী জাফর আহমদ বলেন, বিএনপি বা ২০ দলের মধ্যে কোনো ভাঙন সৃষ্টি হবে না। বরং ২০ দলের এবং বিএনপির মধ্যে ঐক্য আরো সম্প্রসারিত হবে। মোট কথা বর্তমান অনির্বাচিত সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে উঠছে। তাদের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের কিছু মতপার্থক্য থাকতে পারে। সুতরাং বিএনপির মধ্যেও মতপার্থক্য থাকা অসম্ভব নয়। কিন্তু আমার ৬০ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি এই মতপার্থক্য কোনো ভাঙনের দিকে যাবে না। বরং সম্প্রতি খালেদা জিয়া ইফতার পার্টিতে ২০ দলের বাইরে কয়েক শীর্ষ নেতাকে উদ্দেশ করে বলেছেন আসুন আমরা আলোচনা করি। কীভাবে দেশকে বাঁচাব, আমাদের মধ্যে কে বড়, কে ছোট সেই প্রশ্ন বড় কথা নয়। বড় কথা হচ্ছে কীভাবে এই জালিম সরকারকে পরিবর্তন করতে পারি। তিনি বলেন, সেই সময় আমি লক্ষ্য করেছি বেগম জিয়ার এই আহ্বানে ২০ দলের ভেতরে এবং বাইরে শীর্ষ নেতাদের একটি নীরব আন্তরিক সমর্থন ছিল। আমার মনে হয় কিছু রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও ২০ দলের মধ্যে কোনো প্রকার ভাঙন সৃষ্টি করবে না।
আরেক প্রশ্নের জবাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কঠোর সমালোচনা করে কাজী জাফর আহমদ বলেন, দেশ তো একটা পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। নির্যাতন, নিপীড়ন চালিয়ে সরকার ক্ষমতায় থাকতে চায়। যতই স্টিমরোলার ও নির্যাতন চালাক বিএনপিসহ ২০ দলকে নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না সরকার। ইতিহাস বলে এটা কখনো সম্ভব হবে না। এমন এক পরিস্থিতিতে দেশে ক্ষমতা পরিবর্তনের একটা সুস্পষ্ট আলামত দেখা যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকার যতই চেষ্টা করুক নির্যাতন চালিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হবে।
নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি জাতীয় সরকার কায়েম হতে পারে জানিয়ে কাজী জাফর আহমদ বলেন, কেউ কেউ মনে করেন ড. ইউনূস আওয়ামী লীগের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। কিন্তু আমি বলতে চাই শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা পৃথিবীতে ড. ইউনূসের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি একজন ঝানু রাজনীতিবিদ। যেভাবেই হোক মোদি ভারতের স্বার্থ দেখবেন।
ভারতের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের প্রতি যে সম্মান জুগিয়েছে, তেমনি এখনো আমাদের প্রতি তাদের সেই সমর্থন অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা অন্ধ ভারতবিরোধী বা অন্ধ ভারত সমর্থক নই। আমরা ভারতের রাষ্ট্রীয় আগ্রাসী নীতির সমালোচনা করি। এটা সত্য নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরের সময় বাংলাদেশের কাছ থেকে যা নেয়ার সবই নিয়েছেন। কিন্তু প্রত্যাশার চেয়ে প্রাপ্তির ব্যবধান এত বেশি, বিশেষ করে তিস্তার চুক্তি না হওয়া। তিনি বলেন, যদিও আমাদের ব্যর্থতার জন্য বাংলাদেশে বর্তমান ক্ষমতাসীন শাসক চক্রের অবদান বেশি। একটা অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থাকায় বাংলাদেশের জন্য মোদির সফরে প্রত্যাশিত সুফল পায়নি বলেও দাবি তার।
তিনি আরো বলেন, ২০ দলীয় জোটে জামায়াতে ইসলামী আছে এবং থাকবে মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমদ বলেছেন, ঈদের পরে ২০ দল ঘুরে দাঁড়াবে। আগের চেয়ে এ জোট আরো শক্তিশালী হবে। তিনি বলেন, বেগম জিয়ার আবেদনে সাড়া দিয়ে ২০ দল আরো সম্প্রসারিত হবে।
রাজধানীর গুলশানের নিজ বাসভবনে সম্প্রতি মানবকণ্ঠের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে কাজী জাফর আহমদ এসব কথা বলেন।
জামায়াতের সঙ্গে কিছু রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে মন্তব্য করে কাজী জাফর আহমদ বলেন, বিএনপি বা ২০ দলের মধ্যে কোনো ভাঙন সৃষ্টি হবে না। বরং ২০ দলের এবং বিএনপির মধ্যে ঐক্য আরো সম্প্রসারিত হবে। মোট কথা বর্তমান অনির্বাচিত সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে উঠছে। তাদের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের কিছু মতপার্থক্য থাকতে পারে। সুতরাং বিএনপির মধ্যেও মতপার্থক্য থাকা অসম্ভব নয়। কিন্তু আমার ৬০ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি এই মতপার্থক্য কোনো ভাঙনের দিকে যাবে না। বরং সম্প্রতি খালেদা জিয়া ইফতার পার্টিতে ২০ দলের বাইরে কয়েক শীর্ষ নেতাকে উদ্দেশ করে বলেছেন আসুন আমরা আলোচনা করি। কীভাবে দেশকে বাঁচাব, আমাদের মধ্যে কে বড়, কে ছোট সেই প্রশ্ন বড় কথা নয়। বড় কথা হচ্ছে কীভাবে এই জালিম সরকারকে পরিবর্তন করতে পারি। তিনি বলেন, সেই সময় আমি লক্ষ্য করেছি বেগম জিয়ার এই আহ্বানে ২০ দলের ভেতরে এবং বাইরে শীর্ষ নেতাদের একটি নীরব আন্তরিক সমর্থন ছিল। আমার মনে হয় কিছু রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও ২০ দলের মধ্যে কোনো প্রকার ভাঙন সৃষ্টি করবে না।
আরেক প্রশ্নের জবাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কঠোর সমালোচনা করে কাজী জাফর আহমদ বলেন, দেশ তো একটা পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। নির্যাতন, নিপীড়ন চালিয়ে সরকার ক্ষমতায় থাকতে চায়। যতই স্টিমরোলার ও নির্যাতন চালাক বিএনপিসহ ২০ দলকে নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না সরকার। ইতিহাস বলে এটা কখনো সম্ভব হবে না। এমন এক পরিস্থিতিতে দেশে ক্ষমতা পরিবর্তনের একটা সুস্পষ্ট আলামত দেখা যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকার যতই চেষ্টা করুক নির্যাতন চালিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হবে।
নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি জাতীয় সরকার কায়েম হতে পারে জানিয়ে কাজী জাফর আহমদ বলেন, কেউ কেউ মনে করেন ড. ইউনূস আওয়ামী লীগের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। কিন্তু আমি বলতে চাই শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা পৃথিবীতে ড. ইউনূসের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি একজন ঝানু রাজনীতিবিদ। যেভাবেই হোক মোদি ভারতের স্বার্থ দেখবেন।
ভারতের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের প্রতি যে সম্মান জুগিয়েছে, তেমনি এখনো আমাদের প্রতি তাদের সেই সমর্থন অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা অন্ধ ভারতবিরোধী বা অন্ধ ভারত সমর্থক নই। আমরা ভারতের রাষ্ট্রীয় আগ্রাসী নীতির সমালোচনা করি। এটা সত্য নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরের সময় বাংলাদেশের কাছ থেকে যা নেয়ার সবই নিয়েছেন। কিন্তু প্রত্যাশার চেয়ে প্রাপ্তির ব্যবধান এত বেশি, বিশেষ করে তিস্তার চুক্তি না হওয়া। তিনি বলেন, যদিও আমাদের ব্যর্থতার জন্য বাংলাদেশে বর্তমান ক্ষমতাসীন শাসক চক্রের অবদান বেশি। একটা অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থাকায় বাংলাদেশের জন্য মোদির সফরে প্রত্যাশিত সুফল পায়নি বলেও দাবি তার।
No comments