পরিবেশ-বান্ধব ব্যাগের আইডিয়া দিয়ে পুরস্কার চট্টগ্রামের ৩ শিক্ষার্থীর
বাড়ির ব্যবহৃত ছাতাটি পুরনো হয়ে গেলে
আপনি কি করেন। নিশ্চয় ফেলে দেন। কিন্তু অনেকে হয়তো জানেন না এই ছাতার
গুরুত্বপূর্ণ কাপড়টুকু দিয়ে তৈরি হতে পারে চমৎকার ব্যাগ। সেই ব্যাগ দেশের
চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হতে পারে বিদেশের গণ্ডিতেও। অনেক ক্ষেত্রে পলিথিনের
বিকল্প হওয়ায় পরিবেশ-বান্ধব এই সামগ্রীটি সহজেই নজর কাড়তে পারে সাধারণ
মানুষের। চট্টগ্রামের ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউর) ৩ ছাত্রী এমন
আইডিয়া দিয়ে জিতে নিলো সোশ্যাল বিজনেস কমপিটিশনের পুরস্কার। প্রতিযোগিতায়
সারা দেশের ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রানারআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন
তারা। সোশ্যাল বিজনেস ইয়ুথ অ্যালায়েন্স (গ্লোবাল) নামের একটি সংগঠন এই
প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করে। সম্প্রতি ঢাকার চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে
তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস। এই সময় তিনি বিজয়ীদের
প্রশংসা করে ছেলে-মেয়েদের এমন পরিকল্পনা দেশের মানুষের কর্মক্ষেত্র সৃষ্টির
পাশাপাশি ভাগ্যোন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন। পুরস্কার বিজয়ী ৩
শিক্ষার্থী হলেন- সামিনা আরেফীন, অনিন্দিতা দাশ ও ফারজানা রহমান। তারা
সবাই পড়ছেন ইডিইউর স্কুল অব বিজনেসে (বিবিএ)। প্রতিযোগিতায় তাদের
পরিকল্পনাটির শিরোনাম ছিলো ‘ইকো শপিং ব্যাগস বা পরিবেশ-বান্ধব ব্যাগ’।
বিজয়ীরা জানান, প্রথমে বাড়ির পুরনো ব্যবহৃত ছাতাগুলো থেকে কাপড় খুলে তা
সংগ্রহ করতে হবে। এরপর প্রক্রিয়াজাত করার জন্য সেগুলো নিতে হবে কারখানায়।
সেখানে ধুয়ে দর্জি বা পারদর্শীরা ডিজাইন করে কাপড়গুলোকে কাটবেন। এরপর
সেগুলো মাপ অনুসারে সেলাইয়ের মাধ্যমে তৈরি করা হবে সুন্দর ব্যাগ। বিজয়ী
দলের সদস্য সামিনা আরেফীন বলেন, বাজারের পলিথিনের ব্যাগ পচে গিয়ে পরিবেশের
ক্ষতি করে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে ছাতার কাপড় দিয়ে তৈরি ব্যাগগুলো সেই আশঙ্কার
বাইরে হওয়ায় সহজেই তা ব্যবহার করা যাবে।
দলের অপর সদস্য ফারজানা রহমান বলেন, ব্যাগ তৈরির কার্যক্রম শুরু হলে কিছু মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমেও আর্থিকভাবে লাভবান হবে সরকার। দেশের চাহিদাও মেটানো যাবে। একই রকম অভিমত অনিন্দিতা দাশেরও।
শিক্ষার্থীদের এমন সাফল্যে গর্বিত গোটা ইডিইউ পরিবার। প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমানের সঙ্গে গত ২৪শে জুন সাক্ষাৎ করেন বিজয়ীরা। এই সময় তিনি বলেন, চলতি বছর অনুষ্ঠিত দেশ সেরা বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতায় ভাল করেছে আমাদের ছেলে মেয়েরা। চট্টগ্রাম থেকে একটি বিদ্যাপীঠ ঢাকায় গিয়ে পুরস্কার নিয়ে আসায় এই অঞ্চলের মেধাবীরা অনেক বেশি উৎসাহিত হবে। প্রেরণা পাবে সামনে নিজেকে এগিয়ে যাওয়ার।
দলের অপর সদস্য ফারজানা রহমান বলেন, ব্যাগ তৈরির কার্যক্রম শুরু হলে কিছু মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমেও আর্থিকভাবে লাভবান হবে সরকার। দেশের চাহিদাও মেটানো যাবে। একই রকম অভিমত অনিন্দিতা দাশেরও।
শিক্ষার্থীদের এমন সাফল্যে গর্বিত গোটা ইডিইউ পরিবার। প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমানের সঙ্গে গত ২৪শে জুন সাক্ষাৎ করেন বিজয়ীরা। এই সময় তিনি বলেন, চলতি বছর অনুষ্ঠিত দেশ সেরা বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতায় ভাল করেছে আমাদের ছেলে মেয়েরা। চট্টগ্রাম থেকে একটি বিদ্যাপীঠ ঢাকায় গিয়ে পুরস্কার নিয়ে আসায় এই অঞ্চলের মেধাবীরা অনেক বেশি উৎসাহিত হবে। প্রেরণা পাবে সামনে নিজেকে এগিয়ে যাওয়ার।
No comments