কুড়িগ্রামে মাছ চাষে শতাধিক চাষির ভাগ্য বদল by মিজানুর রহমান মিন্টু
কুড়িগ্রামে
পতিত জলাশয়ে মাছচাষ করে ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছে শতাধিক মৎস্যচাষী।
দেশী প্রজাতির মাছ রক্ষা করে কর্মসংস্থান সুযোগ তৈরির পাশাপাশি দূর করছে
সংসারের অভাব-অনটন। আর্থিক সুবিধা পেলে দেশের অর্থনীতিতে অগ্রণী ভূমিকা
রাখতে সক্ষম জেলার এ মৎস্যচাষীরা।
জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কালিগঞ্জ ইউনিয়নের জফরীপাড়ার একটি পতিত উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ চাষ করছে প্রায় শতাধিক মৎস্যচাষি। প্রতি বছর বর্ষা এলে কাজ থাকে না এখানকার কয়েক শ’ সাধারণ চাষিদের। তাই বছরের অর্ধেকটা সময় অভাবের তাড়নায় ভুগতে হয় এই চাষিদের। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকের সহযোগিতায় ১৪ একর পতিত উন্মুক্ত জলাশয়ে ৭৭ জন বেকার চাষিকে নিয়ে মাছ চাষের এই উদ্যোগ নেয়া হয়। কুড়িগ্রাম, রংপুর, লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলায় ৭টি স্থানে ১০১ একর জলাশয়ে ১১ লাখ টাকার ১৬০ মণ রুই, কাতলা, মৃগেল, শিং, কই, মাগুর ইত্যাদি দেশী প্রজাতি মাছের পোনা ছেড়ে দেয়া হয়। বর্ষা মওসুমে মাছচাষই তাদের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।
এলাকার সাধারণ চাষি কফিল উদ্দিন, মজিবর রহমান জানান, প্রতি বোরো মওসুম শেষে বর্ষার পানি জমে যাওয়ায় ৬ মাস পর্যন্ত বসে থেকে কোন রকমে দিন কাটিয়ে দিতে হয় এখানকার চাষিদের। কাজের খোঁজে বেরিয়ে যেতে হয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকের সার্বিক সহযোগিতায় এখন তারা ভাগ্যোন্নয়নে দেখছে নতুন সম্ভাবনা। ছমির উদ্দিন ও সালমা বেগম বলেন, ‘বাহে হামরা তো কোন রকমে দিন আনি দিন খাই আর অভাবের সংসারত পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা তো স্বপ্নের মতো।’ জলাশয়ে মাছ চাষের ফলে পরিবারে আমিষের অভাব দূর করার পাশাপাশি সংসারের স্বচ্ছলতা ফেরার আশা জেগেছে সবার মাঝে। এছাড়া কাজের সুযোগ তৈরিতে কমছে বেকারত্ব।
কালিগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, দুধকুমার নদের তীরবর্তী ঘেঁষে গড়ে ওঠা কালিগঞ্জ ইউনিয়ন। নদ-নদীর ভাঙনের ফলে অভাব এই এলাকার পিছু ছাড়ে না। আর্থিক সংকটের কারণে এখানে অনেক জলাশয় পতিত রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা পেলে এলাকার দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব। ব্র্যাকের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচির ঊর্ধ্বতন আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক বাবুল নন্দন প্রামাণিক বলেন, দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করতে ৩ জেলার ৭টি স্থানে ৩২৫ জন বেকার চাষিদের নিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ব্র্যাক। প্রতিটি জলাশয়ে ১২ থেকে ১৫ মণ পর্যন্ত দেশী প্রজাতির মাছের পোনা ছেড়ে দেয়া হয়েছে। দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষা করা এবং অভাবী মানুষের আমিষের পাশাপাশি অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি করাই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। নাগেশ্বরী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরাফাত সিদ্দিক জানান, বর্তমান সরকার দেশকে মধ্যম আয়ে পরিণত করতে ২০২১ সালে ৪২ লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের টার্গেট নিয়ে কাজ করেছে। কুড়িগ্রাম জেলা মাটির উর্বরতা বেশি, পানি বিভিন্ন জৈব রাসায়নিক পদার্থে পরিমাণ উপযোগী পর্যায়ে রয়েছে। সেদিক থেকে জলাশয়গুলোর সঠিক পরিচর্যা আর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাছ চাষ করে লাভবান হওয়া সম্ভব।
নাগেশ্বরীর কালিগঞ্জ ইউনিয়নের জফরীপাড়ায় মঙ্গলবার দেশী প্রজাতির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে আমিষের চাহিদা পূরণের জন্য উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা অবমুক্ত করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাগেশ্বরী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম সরকার। কালিগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন নাগেশ্বরী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরাফাত সিদ্দিক, ব্র্যাকের কৃষি ও খাদ্যনিরাপত্তা কর্মসূচির ঊর্ধ্বতন আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক বাবুল নন্দন প্রামাণিক, লালমনিরহাট ব্র্যাকের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচির আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক বিপ্লব কুমার নাগ, সিনিয়র ম্যানেজার মোকাররম হোসেন, গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কালিগঞ্জ ইউনিয়নের জফরীপাড়ার একটি পতিত উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ চাষ করছে প্রায় শতাধিক মৎস্যচাষি। প্রতি বছর বর্ষা এলে কাজ থাকে না এখানকার কয়েক শ’ সাধারণ চাষিদের। তাই বছরের অর্ধেকটা সময় অভাবের তাড়নায় ভুগতে হয় এই চাষিদের। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকের সহযোগিতায় ১৪ একর পতিত উন্মুক্ত জলাশয়ে ৭৭ জন বেকার চাষিকে নিয়ে মাছ চাষের এই উদ্যোগ নেয়া হয়। কুড়িগ্রাম, রংপুর, লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলায় ৭টি স্থানে ১০১ একর জলাশয়ে ১১ লাখ টাকার ১৬০ মণ রুই, কাতলা, মৃগেল, শিং, কই, মাগুর ইত্যাদি দেশী প্রজাতি মাছের পোনা ছেড়ে দেয়া হয়। বর্ষা মওসুমে মাছচাষই তাদের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।
এলাকার সাধারণ চাষি কফিল উদ্দিন, মজিবর রহমান জানান, প্রতি বোরো মওসুম শেষে বর্ষার পানি জমে যাওয়ায় ৬ মাস পর্যন্ত বসে থেকে কোন রকমে দিন কাটিয়ে দিতে হয় এখানকার চাষিদের। কাজের খোঁজে বেরিয়ে যেতে হয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকের সার্বিক সহযোগিতায় এখন তারা ভাগ্যোন্নয়নে দেখছে নতুন সম্ভাবনা। ছমির উদ্দিন ও সালমা বেগম বলেন, ‘বাহে হামরা তো কোন রকমে দিন আনি দিন খাই আর অভাবের সংসারত পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা তো স্বপ্নের মতো।’ জলাশয়ে মাছ চাষের ফলে পরিবারে আমিষের অভাব দূর করার পাশাপাশি সংসারের স্বচ্ছলতা ফেরার আশা জেগেছে সবার মাঝে। এছাড়া কাজের সুযোগ তৈরিতে কমছে বেকারত্ব।
কালিগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, দুধকুমার নদের তীরবর্তী ঘেঁষে গড়ে ওঠা কালিগঞ্জ ইউনিয়ন। নদ-নদীর ভাঙনের ফলে অভাব এই এলাকার পিছু ছাড়ে না। আর্থিক সংকটের কারণে এখানে অনেক জলাশয় পতিত রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা পেলে এলাকার দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব। ব্র্যাকের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচির ঊর্ধ্বতন আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক বাবুল নন্দন প্রামাণিক বলেন, দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করতে ৩ জেলার ৭টি স্থানে ৩২৫ জন বেকার চাষিদের নিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ব্র্যাক। প্রতিটি জলাশয়ে ১২ থেকে ১৫ মণ পর্যন্ত দেশী প্রজাতির মাছের পোনা ছেড়ে দেয়া হয়েছে। দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষা করা এবং অভাবী মানুষের আমিষের পাশাপাশি অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি করাই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। নাগেশ্বরী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরাফাত সিদ্দিক জানান, বর্তমান সরকার দেশকে মধ্যম আয়ে পরিণত করতে ২০২১ সালে ৪২ লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের টার্গেট নিয়ে কাজ করেছে। কুড়িগ্রাম জেলা মাটির উর্বরতা বেশি, পানি বিভিন্ন জৈব রাসায়নিক পদার্থে পরিমাণ উপযোগী পর্যায়ে রয়েছে। সেদিক থেকে জলাশয়গুলোর সঠিক পরিচর্যা আর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাছ চাষ করে লাভবান হওয়া সম্ভব।
নাগেশ্বরীর কালিগঞ্জ ইউনিয়নের জফরীপাড়ায় মঙ্গলবার দেশী প্রজাতির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে আমিষের চাহিদা পূরণের জন্য উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা অবমুক্ত করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাগেশ্বরী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম সরকার। কালিগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন নাগেশ্বরী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরাফাত সিদ্দিক, ব্র্যাকের কৃষি ও খাদ্যনিরাপত্তা কর্মসূচির ঊর্ধ্বতন আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক বাবুল নন্দন প্রামাণিক, লালমনিরহাট ব্র্যাকের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচির আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক বিপ্লব কুমার নাগ, সিনিয়র ম্যানেজার মোকাররম হোসেন, গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
No comments