কেইপিজেডের সমস্যা- জমি ফেরত নেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন
বাংলাদেশের একমাত্র বিদেশি মালিকানাধীন রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কেইপিজেডকে দেওয়া আড়াই হাজার একর জমি থেকে দুই হাজার একর ফেরত নেওয়া হলে তা থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নেতিবাচক বার্তা পাবেন।
চট্টগ্রামে অবস্থিত কোরীয় রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (কেইপিজেড) পরিচালনকারী কোরীয় প্রতিষ্ঠান ইয়াংওয়ান করপোরেশন বাংলাদেশ সরকারকে আড়াই হাজার একর জমির মূল্য বাবদ ৬৫ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে অনেক আগেই। সেখানে তারা ইতিমধ্যে দেড় হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে, যার ফলে ১১ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে আরও ৪৩ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি আগামী আট বছরে আরও আট হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আকর্ষণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে কেইপিজেডের কাছ থেকে জমি ফেরত নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে ভূমি প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, কেইপিজেড নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগ আনতে পারেনি বলে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কিন্তু সিদ্ধান্তটি সুবিবেচনাপ্রসূত নয়। কেইপিজেডে আরও বেশি বিনিয়োগ আসেনি প্রধানত ভূমি হস্তান্তরের দলিল ওই প্রতিষ্ঠানকে না দেওয়ার ফলে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সেখানে বিনিয়োগ করতে এসে যখন ভূমি হস্তান্তরের দলিল পান না, তখন বিনিয়োগে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। স্যামসাং, এলজিসহ অনেক বিদেশি কোম্পানি এই কারণে বিনিয়োগের ব্যাপারে দ্বিধা প্রকাশ করেছে। উপরন্তু, এখন সরকার কেইপিজেডের কাছ থেকে সিংহভাগ জমি ফেরত নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করলে তারাসহ সম্ভাব্য অন্য বিনিয়োগকারীরাও নিরুৎসাহিত হবেন। ফলে এ দেশে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পনেরো বছর ধরে কেইপিজেডের গড়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় আমাদের সরকারের ভূমিকা আরও বেশি সহযোগিতামূলক হওয়া উচিত ছিল। জমি ফেরত নেওয়ার সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করা হোক।
জরুরি ভিত্তিতে জমি হস্তান্তরের দালিলিক প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করাসহ পর্যাপ্ত গ্যাস-বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া এবং স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের জবরদস্তিমূলক আচরণ ও মামলা-মোকদ্দমা থেকে কেইপিজেডকে সুরক্ষা দেওয়া উচিত। বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের এই সম্ভাবনা অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে।
চট্টগ্রামে অবস্থিত কোরীয় রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (কেইপিজেড) পরিচালনকারী কোরীয় প্রতিষ্ঠান ইয়াংওয়ান করপোরেশন বাংলাদেশ সরকারকে আড়াই হাজার একর জমির মূল্য বাবদ ৬৫ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে অনেক আগেই। সেখানে তারা ইতিমধ্যে দেড় হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে, যার ফলে ১১ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে আরও ৪৩ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি আগামী আট বছরে আরও আট হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আকর্ষণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে কেইপিজেডের কাছ থেকে জমি ফেরত নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে ভূমি প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, কেইপিজেড নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগ আনতে পারেনি বলে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কিন্তু সিদ্ধান্তটি সুবিবেচনাপ্রসূত নয়। কেইপিজেডে আরও বেশি বিনিয়োগ আসেনি প্রধানত ভূমি হস্তান্তরের দলিল ওই প্রতিষ্ঠানকে না দেওয়ার ফলে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সেখানে বিনিয়োগ করতে এসে যখন ভূমি হস্তান্তরের দলিল পান না, তখন বিনিয়োগে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। স্যামসাং, এলজিসহ অনেক বিদেশি কোম্পানি এই কারণে বিনিয়োগের ব্যাপারে দ্বিধা প্রকাশ করেছে। উপরন্তু, এখন সরকার কেইপিজেডের কাছ থেকে সিংহভাগ জমি ফেরত নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করলে তারাসহ সম্ভাব্য অন্য বিনিয়োগকারীরাও নিরুৎসাহিত হবেন। ফলে এ দেশে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পনেরো বছর ধরে কেইপিজেডের গড়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় আমাদের সরকারের ভূমিকা আরও বেশি সহযোগিতামূলক হওয়া উচিত ছিল। জমি ফেরত নেওয়ার সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করা হোক।
জরুরি ভিত্তিতে জমি হস্তান্তরের দালিলিক প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করাসহ পর্যাপ্ত গ্যাস-বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া এবং স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের জবরদস্তিমূলক আচরণ ও মামলা-মোকদ্দমা থেকে কেইপিজেডকে সুরক্ষা দেওয়া উচিত। বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের এই সম্ভাবনা অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে।
No comments