দুই উপাচার্যের কক্ষে তালা -পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশৃঙ্খল অবস্থা চলতেই থাকবে?
দেশে আপাতত রাজনৈতিক অস্থিরতা নেই, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ছাড়া অন্য ছাত্রসংগঠনগুলোর তৎপরতা নেই। আন্দোলন নেই। তারপরও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অনিয়ম, অস্থিরতা যেন লেগেই আছে। কোথাও শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কোথাও শিক্ষক-উপাচার্যের দ্বন্দ্ব এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম।
তত্ত্বাবধায়কোত্তর আমলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য শরিফ এনামুল কবিরের পদত্যাগের দাবিতে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, পরবর্তীকালে সেটি সংক্রামক ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও একই ঘটনা ঘটতে থাকে। কোথাও উপাচার্য, কোথাও সহ-উপাচার্য বিদায় নিলেও পরিস্থিতির যে সামান্য উন্নতি হয়নি, বর্তমান সিলেটে শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ই তার প্রমাণ।
প্রথমটিতে শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে উপাচার্য দুই মাসের ছুটি নিয়েও নিস্তার পাননি। গত রোববার তিনি কর্মস্থলে ফিরে এলে শিক্ষকদের একাংশ প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তাঁদের দাবি, উপাচার্য অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। দ্বিতীয়টিতে উপাচার্যের কক্ষে তালা লাগিয়েছেন চাকরিপ্রার্থী ছাত্রলীগের সাবেক নেতা-কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপি-জামায়াতের সমর্থকদের চাকরি দিলেও তাঁদের বঞ্চিত করা হয়েছে।
এভাবে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠগুলো চলতে পারে কি না, সেটাই আমাদের জিজ্ঞাস্য। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাকে নিয়োগ করবে, কাকে করবে না, সেসব নিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা-কর্মীদের নাক গলানোর সুযোগ নেই। আবার কক্ষ বরাদ্দ নিয়ে বিরোধের জের ধরে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা দেখা দেবে, তাও কাম্য হতে পারে না। ক্যাম্পাসের যেকোনো সমস্যার সমাধান হতে হবে আলোচনার মাধ্যমে।
আশা করব, উল্লিখিত দুটিসহ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অবিলম্বে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হবে। প্রশাসনিক কার্যক্রম কিংবা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হয়, এমন কিছু করা যাবে না। সমাধানের উদ্যোগ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনও নিতে পারে।
তত্ত্বাবধায়কোত্তর আমলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য শরিফ এনামুল কবিরের পদত্যাগের দাবিতে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, পরবর্তীকালে সেটি সংক্রামক ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও একই ঘটনা ঘটতে থাকে। কোথাও উপাচার্য, কোথাও সহ-উপাচার্য বিদায় নিলেও পরিস্থিতির যে সামান্য উন্নতি হয়নি, বর্তমান সিলেটে শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ই তার প্রমাণ।
প্রথমটিতে শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে উপাচার্য দুই মাসের ছুটি নিয়েও নিস্তার পাননি। গত রোববার তিনি কর্মস্থলে ফিরে এলে শিক্ষকদের একাংশ প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তাঁদের দাবি, উপাচার্য অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। দ্বিতীয়টিতে উপাচার্যের কক্ষে তালা লাগিয়েছেন চাকরিপ্রার্থী ছাত্রলীগের সাবেক নেতা-কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপি-জামায়াতের সমর্থকদের চাকরি দিলেও তাঁদের বঞ্চিত করা হয়েছে।
এভাবে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠগুলো চলতে পারে কি না, সেটাই আমাদের জিজ্ঞাস্য। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাকে নিয়োগ করবে, কাকে করবে না, সেসব নিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা-কর্মীদের নাক গলানোর সুযোগ নেই। আবার কক্ষ বরাদ্দ নিয়ে বিরোধের জের ধরে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা দেখা দেবে, তাও কাম্য হতে পারে না। ক্যাম্পাসের যেকোনো সমস্যার সমাধান হতে হবে আলোচনার মাধ্যমে।
আশা করব, উল্লিখিত দুটিসহ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অবিলম্বে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হবে। প্রশাসনিক কার্যক্রম কিংবা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হয়, এমন কিছু করা যাবে না। সমাধানের উদ্যোগ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনও নিতে পারে।
No comments