গাছের সঙ্গে বেঁধে গৃহবধূ ববিতা নির্যাতন: শফিকুলকে স্বামী দাবি করল আরেক কলেজ ছাত্রী
নড়াইলের
লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের শালবরাত গ্রামে গাছের সঙ্গে বেঁধে
গৃহবধূ ববিতাকে অমানবিকভাবে নির্যাতন মামলার আসামি শফিকুল শেখকে স্বামী
দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মাহমুদা আক্তার নামে এক কলেজছাত্রী। তিনি
নির্যাতনের ঘটনাকে সাজানো নাটক ও পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন।
বুধবার দুপুরে লোহাগড়া উপজেলা শিক্ষক সমিতির হলরুমে লিখিত বক্তব্য মাহমুদা দাবি করেন, ২০১২ সালের পহেলা মে তার সঙ্গে লোহাগড়া উপজেলার শালবরাত গ্রামের ছালাম শেখের ছেলে সেনা সদস্য শফিকুল শেখের ইসলামী শরিয়া মোতাবেক রেজিস্ট্রি কাবিনমুলে বিবাহ হয়। তবে ববিতা নামের একটি মেয়েটি শফিকুলকে স্বামী হিসেবে দাবি করে ২০১৩ সালের ২২ জানুয়ারি মাসের যে কাবিননামা দেখিয়েছেন তা ভুয়া এবং রেজিস্ট্রিবিহীন। মাহমুদা গোপালগঞ্জে জেলার কাশিয়ানী উপজেলার নাটগ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে এবং মাদারীপুর মামা বাড়ি থেকে সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজে ডিগ্রী দ্বিতীয় বর্ষে লেখাপড়া করেন।
মাহমুদ বলেন, আমার স্বামী শফিকুল সিলেট সেনানিবাসে ৩৮ বেঙ্গলে কর্মরত ছিল। আমার ডিগ্রী পরীক্ষার জন্য দুই মাসের ছুটিতে বাড়িতে এসে ৩০/০৪/১৫ তারিখে মাদারিপুর আমার সঙ্গে আমার মামা বাড়ি অবস্থান করছিল। এড়েন্দা গ্রামের ইসমাইল মোল্যার মেয়ে ববিতা আমার স্বামীর বাড়িতে এসে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। এক পর্যায়ে শশুরবাড়ির লোকজন তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। স্বামী শফিকুল ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ তোলা হয়েছে তা মিথ্যা এবং পরিকল্পিত ও সাজানো নাটক। ২১/০১/২০১৪ তারিখে আমার শ্বশুর মো. ছালাম শেখ (সেনা সদস্য শফিকুলের পিতা) কাশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের নিকট ন্যায় বিচারের দাবিতে পারিবারিক আদালতে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান ম্যারেজ রেজিস্টার নোয়াপাড়া এর নিকট বিবাহের সত্যতা যাচাই এর জন্য চিঠি পাঠায়। চিঠির জবাবে ম্যারেজ রেজিস্টার সুলতান আহম্মেদ লিখিত ভাবে জানান ২২/০১/২০১৩ ইং তারিখে ববিতা এবং শফিকুল এর বিবাহ রেজিষ্ট্রি হয়নি। তিনি তার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের মুক্তিসহ ন্যায় বিচার দাবি করেন।
উল্লেখ্য, গত ৩০/০৪/১৫ তারিখ সকাল ৭টার দিকে ববিতার কথিত স্বামী শফিকুল, ভাসুর হাসান শেখ, শ্বশুর ছালাম শেখ, শাশুড়ি জিরিন আক্তার, চাচা শ্বশুর কালাম শেখ, প্রতিবেশী নান্নু শেখসহ কয়েকজন মিলে ববিতাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে অমানবিক নির্যাাতন চালায়। এ ঘটনায় গত ০৫/০৫/১৫ তারিখে ববিতার মা খাদিজা বেগম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে লোহাগড়া থানায় একটি মামলা করেন( মামলা নং-০৭,তারিখ ০৫ ০৫ ১৫)। এ ঘটনার পর হাইকোর্ট ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিলে পুলিশের তৎপরতায় আসামিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। বর্তমানে এ মামলার আসামি আজিজুর রহমান আরজু জামিনে রয়েছেন। বাকি সবাই জেল হাজতে রয়েছেন।
বুধবার দুপুরে লোহাগড়া উপজেলা শিক্ষক সমিতির হলরুমে লিখিত বক্তব্য মাহমুদা দাবি করেন, ২০১২ সালের পহেলা মে তার সঙ্গে লোহাগড়া উপজেলার শালবরাত গ্রামের ছালাম শেখের ছেলে সেনা সদস্য শফিকুল শেখের ইসলামী শরিয়া মোতাবেক রেজিস্ট্রি কাবিনমুলে বিবাহ হয়। তবে ববিতা নামের একটি মেয়েটি শফিকুলকে স্বামী হিসেবে দাবি করে ২০১৩ সালের ২২ জানুয়ারি মাসের যে কাবিননামা দেখিয়েছেন তা ভুয়া এবং রেজিস্ট্রিবিহীন। মাহমুদা গোপালগঞ্জে জেলার কাশিয়ানী উপজেলার নাটগ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে এবং মাদারীপুর মামা বাড়ি থেকে সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজে ডিগ্রী দ্বিতীয় বর্ষে লেখাপড়া করেন।
মাহমুদ বলেন, আমার স্বামী শফিকুল সিলেট সেনানিবাসে ৩৮ বেঙ্গলে কর্মরত ছিল। আমার ডিগ্রী পরীক্ষার জন্য দুই মাসের ছুটিতে বাড়িতে এসে ৩০/০৪/১৫ তারিখে মাদারিপুর আমার সঙ্গে আমার মামা বাড়ি অবস্থান করছিল। এড়েন্দা গ্রামের ইসমাইল মোল্যার মেয়ে ববিতা আমার স্বামীর বাড়িতে এসে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। এক পর্যায়ে শশুরবাড়ির লোকজন তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। স্বামী শফিকুল ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ তোলা হয়েছে তা মিথ্যা এবং পরিকল্পিত ও সাজানো নাটক। ২১/০১/২০১৪ তারিখে আমার শ্বশুর মো. ছালাম শেখ (সেনা সদস্য শফিকুলের পিতা) কাশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের নিকট ন্যায় বিচারের দাবিতে পারিবারিক আদালতে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান ম্যারেজ রেজিস্টার নোয়াপাড়া এর নিকট বিবাহের সত্যতা যাচাই এর জন্য চিঠি পাঠায়। চিঠির জবাবে ম্যারেজ রেজিস্টার সুলতান আহম্মেদ লিখিত ভাবে জানান ২২/০১/২০১৩ ইং তারিখে ববিতা এবং শফিকুল এর বিবাহ রেজিষ্ট্রি হয়নি। তিনি তার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের মুক্তিসহ ন্যায় বিচার দাবি করেন।
উল্লেখ্য, গত ৩০/০৪/১৫ তারিখ সকাল ৭টার দিকে ববিতার কথিত স্বামী শফিকুল, ভাসুর হাসান শেখ, শ্বশুর ছালাম শেখ, শাশুড়ি জিরিন আক্তার, চাচা শ্বশুর কালাম শেখ, প্রতিবেশী নান্নু শেখসহ কয়েকজন মিলে ববিতাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে অমানবিক নির্যাাতন চালায়। এ ঘটনায় গত ০৫/০৫/১৫ তারিখে ববিতার মা খাদিজা বেগম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে লোহাগড়া থানায় একটি মামলা করেন( মামলা নং-০৭,তারিখ ০৫ ০৫ ১৫)। এ ঘটনার পর হাইকোর্ট ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিলে পুলিশের তৎপরতায় আসামিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। বর্তমানে এ মামলার আসামি আজিজুর রহমান আরজু জামিনে রয়েছেন। বাকি সবাই জেল হাজতে রয়েছেন।
No comments