শৌচাগারের পানিতে রং, চিনি মিশিয়ে তৈরি হচ্ছিল ওষুধ!
খাওয়ার অযোগ্য পানির সঙ্গে বাসন্তী রং, নিম্নমানের ঘনচিনি আর ঘ্রাণ মিশিয়ে তৈরি হচ্ছিল মানুষের জীবন রক্ষাকারী কথিত ওষুধ। শৌচাগারের পানিতে বোতল ধুয়ে স্যাঁতসেঁতে মেঝেতে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে বোতলজাত করে এসব ওষুধে লাগানো হচ্ছিল নামীদামি কোম্পানির লেবেল।
বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া শহীদ নগরের প্রথম লেনের কথিত একটি ওষুধ কারখানায় অভিযান চালাতে গিয়ে ওষুধ তৈরির নামে এমন দৃশ্য দেখেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাবিবুল হাসান। এই কোম্পানির নাম ‘লিবারেট ল্যাবরেটরিজ (আয়ুর্বেদিক)’।
পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেখান থেকে নানা ধনের বিপুল পরিমাণ তরল সিরাপ, লেবেল, বোতল এবং সিরাপ তৈরির জন্য আনা রং, ঘনচিনি ও ফ্লেভার আটক করে তা ধ্বংসের নির্দেশ দেন। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের আগেই সটকে পড়েন কারখানা মালিক আবদুল মজিদ। কারখানা মালিককে পাওয়া না গেলেও আটক করা হয় কারখানার উৎপাদন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাবুদ ও উৎপাদন কর্মী আবদুস সামাদকে। পরে কারখানা মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
ওষুধ প্রশাসনের দেওয়া তথ্যমতে, গত বছরের ২ এপ্রিল এই ওষুধ কারখানায় একইভাবে অভিযান চালিয়েছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই সময় কারখানা ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমানের এক বছরের কারাদণ্ড এবং কারখানা মালিকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের দণ্ড দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এক বছরের মাথায় আবারও নকল ওষুধের কারবারে জড়িয়ে পড়েন কারখানা মালিক।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক হাবিবুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘মানুষের জীবন রক্ষাকারী ওষুধ উৎপাদনের নামে কীভাবে প্রতারণা ও ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে তা অভিযানে না গেলে বোঝা যেত না। খাবার অযোগ্য পানির সঙ্গে মেশানো হচ্ছিল কাপড়ের বাসন্তী রং, স্বাস্থ্যহানিকর ঘনচিনি ও ফ্লেভার। ঘিঞ্জি পরিবেশে, টয়লেটের পানিতে বোতলজাত করা হচ্ছিল কথিত এসব ওষুধ। ওষুধ উৎপাদনের নামে ওই কারখানায় চলছিল ভয়াবহ কারবার।’
ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে থাকা বগুড়ার ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক (ড্রাগ সুপারভাইজার) ইকবাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন,‘লিবারেট ল্যাবরেটরিজ (আয়ুর্বেদিক)’ নামে ওই কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনুমোদনহীন, নিম্নমানের নকল ও ভেজাল তৈরি হচ্ছিল। এসব নকল ওষুধ দেশীয় বিভিন্ন কোম্পানির নামীদামি সিরাপের লেবেল ও মোড়কে ভরে বাজারজাত করা হচ্ছিল। খাবার অযোগ্য ট্যাপের পানির সঙ্গে রং, ঘনচিনি ও ফ্লেভার মিশিয়ে বোতলে ভরে যেসব সিরাপের মোড়ক লাগানো হচ্ছিল এসবের মধ্যে রয়েছে কালো মেঘ, বিটাপাপ, কার্ডিপ্লেক্স, বিটাজিন, মোস্তাকারিস্ট, কার্ডিবিট (ডিএস),মিনিস্টোলিন, অ্যালকোলি, লেমন শরবত, লাইকোবিট, তুলসি,বলারিস্টসহ আরও বেশ কয়েক প্রকারের তরল সিরাপ।
ইকবাল হোসেন বলেন, ওই কারখানায় এসব ওষুধ উৎপাদনে ওষুধ প্রশাসন বা অন্য কোনো সংস্থা থেকে অনুমোদন ছিল না।
বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া শহীদ নগরের প্রথম লেনের কথিত একটি ওষুধ কারখানায় অভিযান চালাতে গিয়ে ওষুধ তৈরির নামে এমন দৃশ্য দেখেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাবিবুল হাসান। এই কোম্পানির নাম ‘লিবারেট ল্যাবরেটরিজ (আয়ুর্বেদিক)’।
পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেখান থেকে নানা ধনের বিপুল পরিমাণ তরল সিরাপ, লেবেল, বোতল এবং সিরাপ তৈরির জন্য আনা রং, ঘনচিনি ও ফ্লেভার আটক করে তা ধ্বংসের নির্দেশ দেন। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের আগেই সটকে পড়েন কারখানা মালিক আবদুল মজিদ। কারখানা মালিককে পাওয়া না গেলেও আটক করা হয় কারখানার উৎপাদন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাবুদ ও উৎপাদন কর্মী আবদুস সামাদকে। পরে কারখানা মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
ওষুধ প্রশাসনের দেওয়া তথ্যমতে, গত বছরের ২ এপ্রিল এই ওষুধ কারখানায় একইভাবে অভিযান চালিয়েছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই সময় কারখানা ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমানের এক বছরের কারাদণ্ড এবং কারখানা মালিকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের দণ্ড দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এক বছরের মাথায় আবারও নকল ওষুধের কারবারে জড়িয়ে পড়েন কারখানা মালিক।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক হাবিবুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘মানুষের জীবন রক্ষাকারী ওষুধ উৎপাদনের নামে কীভাবে প্রতারণা ও ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে তা অভিযানে না গেলে বোঝা যেত না। খাবার অযোগ্য পানির সঙ্গে মেশানো হচ্ছিল কাপড়ের বাসন্তী রং, স্বাস্থ্যহানিকর ঘনচিনি ও ফ্লেভার। ঘিঞ্জি পরিবেশে, টয়লেটের পানিতে বোতলজাত করা হচ্ছিল কথিত এসব ওষুধ। ওষুধ উৎপাদনের নামে ওই কারখানায় চলছিল ভয়াবহ কারবার।’
ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে থাকা বগুড়ার ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক (ড্রাগ সুপারভাইজার) ইকবাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন,‘লিবারেট ল্যাবরেটরিজ (আয়ুর্বেদিক)’ নামে ওই কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনুমোদনহীন, নিম্নমানের নকল ও ভেজাল তৈরি হচ্ছিল। এসব নকল ওষুধ দেশীয় বিভিন্ন কোম্পানির নামীদামি সিরাপের লেবেল ও মোড়কে ভরে বাজারজাত করা হচ্ছিল। খাবার অযোগ্য ট্যাপের পানির সঙ্গে রং, ঘনচিনি ও ফ্লেভার মিশিয়ে বোতলে ভরে যেসব সিরাপের মোড়ক লাগানো হচ্ছিল এসবের মধ্যে রয়েছে কালো মেঘ, বিটাপাপ, কার্ডিপ্লেক্স, বিটাজিন, মোস্তাকারিস্ট, কার্ডিবিট (ডিএস),মিনিস্টোলিন, অ্যালকোলি, লেমন শরবত, লাইকোবিট, তুলসি,বলারিস্টসহ আরও বেশ কয়েক প্রকারের তরল সিরাপ।
ইকবাল হোসেন বলেন, ওই কারখানায় এসব ওষুধ উৎপাদনে ওষুধ প্রশাসন বা অন্য কোনো সংস্থা থেকে অনুমোদন ছিল না।
No comments