আইএস আর কত দূর?
জঙ্গি সংগঠন আইএসের হামলায় ইরাকের রামাদির বহু পরিবার তাদের স্বজনদের হারিয়েছে। বর্তমানে শহরটি আইএসের দখলে আছে। ছবি: রয়টার্স |
মুসলিম
বিশ্বে ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের আগমন দুষ্ট ঝড়ের মতো। ইরাক ও সিরিয়ার
ঐতিহাসিক দুটি শহর রামাদি ও পালমিরা বেশ দাপটের সঙ্গে দখল করে শক্তিমত্তা
ভালোই জাহির করে তারা। রাস্তায় রাস্তায় প্রতিপক্ষের লোকজনের লাশ ফেলে
বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। দুনিয়াজুড়ে ছড়ি ঘোরানো ওয়াশিংটন বসে যায়
আইএসের পুনর্মূল্যায়নে। পণ্ডিতেরা এখন নাড়াচাড়া করছেন—আইএসের কৌশলটা আসলে
কী? কত দূর গড়াবে তাদের ক্ষমতার দৌরাত্ম্য?
‘খিলাফত রাষ্ট্র’ ঘোষণা করে আইএসের চালানো রক্তক্ষয়ী অভিযান এর মধ্যে এক বছরের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। সংগঠনটির অর্জন-ব্যর্থতা আর ভবিষ্যৎ কেমন হবে, তা নিয়ে চলছে নানা বিচার-বিশ্লেষণ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক বিশ্লেষণে দাবি করা হচ্ছে, আর্থিক অবস্থা আর অস্ত্রের মজুত মিলিয়ে আইএস এখন তাদের গণ্ডির শেষ সীমায় এসে গেছে। তাদের শক্তি বলতে এটুকুই।
এর কারণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে নানা তথ্য আর চুলচেরা বিশ্লেষণ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক বছরের মধ্যে ইরাক ও সিরিয়ার কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দুটি শহর নিজেদের দখলে নিয়েছে আইএস—ইরাকের রাজধানী বাগদাদের পশ্চিমের শহর রামাদি এবং সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উত্তর-পূর্বের পালমিরা। এই দুই শহরের রাস্তাগুলো শত্রুর রক্তে রাঙিয়ে বিজয়ের আনন্দে ভাসছে আইএসের সদস্যরা। আর ঘোষণা দেওয়ার পরও আইএসকে মোকাবিলা করতে না পারার ব্যর্থতার সমালোচনা সইতে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রকে।
আইএস সুন্নিপন্থী। ইরাকে সুন্নি-অধ্যুষিত এলাকাগুলো আইএস একরকম বিনা বাধায় নিজেদের দখলে নিতে পেরেছে। ইরানের শিয়াপন্থী মিলিশিয়াদের সমর্থন নিয়ে ইরাকের শিয়া সরকার আইএসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিল। তবে তা সফল হয়নি।
সিরিয়ার ঘটনাটা আবার বেশ জটিল। সেখানে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সমর্থন দিচ্ছে ইরান। যুক্তরাষ্ট্র বাশারকে হটাতে বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি যখন এমন, তখন এর ভেতরে ঢুকে পড়েছে আইএস। সিরিয়ায় তাই কৌশলগত বেকায়দায় পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা বাশারের পক্ষেও না, আবার বাশারের বিপক্ষে থাকা আইএসের পক্ষেও না। যুক্তরাষ্ট্র তাই কঠোর কোনো অবস্থান নিতে পারছে না। এই সুযোগটিই কাজে লাগিয়ে সিরিয়ায় নিজেদের অবস্থান শক্ত করছে আইএস। ইরাক ও সিরিয়া—দুই দেশেই এই জঙ্গি সংগঠনটি কুর্দিদের সঙ্গে লড়েছে।
এখন দেখার বিষয় হচ্ছে, যে স্থানগুলো আইএস নিজেদের জিম্মায় নিয়েছে, সেখানে কেমন শাসন তারা প্রতিষ্ঠা করে এবং বাসিন্দারা সেটা কীভাবে নেয়।
ওয়াশিংটন ডিসিতে এডুকেশন ফর পিস ইন ইরাক সেন্টারের সিনিয়র ফেলো আহমেদ আলী বলেন, রামাদি ও পালমিরা নিজেদের দখলে রাখাই আইএসের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এর আগে আইএসের একটা লক্ষ্য ছিল, এখানে নিজেদের দখলদারি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এখন যখন এসব এলাকা নিজেদের দখলে এসেছে, তখন এটা রক্ষা করার কাজেই বেশি মনোযোগ দিতে হবে।
গত বছরের জুনে এই খিলাফত রাষ্ট্র গঠনের ঘোষণা দেয় জঙ্গিরা। আবু বকরের নেতৃত্বাধীন এই জঙ্গিগোষ্ঠীটি এরই মধ্যে তাদের ‘রাষ্ট্র’ সম্প্রসারণ করা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে।
আইএসের জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটের বিমান হামলার তেমন সাফল্য নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লড়াইয়ের মাঠে বিশ্বাসযোগ্য স্থলবাহিনীর অভাব এবং তুলনামূলক দুর্বল গোয়েন্দা তথ্যের কারণে এমনটা হচ্ছে। এর বিপরীতে আইএস কৌশলগতভাবে সেসব এলাকায় তাদের সম্প্রসারণ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে, যেখানে স্থানীয় সরকার ও নিরাপত্তাব্যবস্থা দুর্বল। কোনো এলাকা দখলে নিতে পারলে সেখানে নিজেদের শাসনব্যবস্থা চালু করছে আইএস। এভাবে আইএস যেখানে আধিপত্য বিস্তারে সক্ষম হচ্ছে, সেখানেই শক্ত খুঁটি গেড়ে বসছে। কাজেই তাদের ক্ষমতায় সীমাবদ্ধতা থাকলেও শেকড় কিন্তু কম শক্ত নয়। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জন্য এই শেকড় ওপড়ানো সহজ কথা নয়।
‘খিলাফত রাষ্ট্র’ ঘোষণা করে আইএসের চালানো রক্তক্ষয়ী অভিযান এর মধ্যে এক বছরের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। সংগঠনটির অর্জন-ব্যর্থতা আর ভবিষ্যৎ কেমন হবে, তা নিয়ে চলছে নানা বিচার-বিশ্লেষণ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক বিশ্লেষণে দাবি করা হচ্ছে, আর্থিক অবস্থা আর অস্ত্রের মজুত মিলিয়ে আইএস এখন তাদের গণ্ডির শেষ সীমায় এসে গেছে। তাদের শক্তি বলতে এটুকুই।
এর কারণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে নানা তথ্য আর চুলচেরা বিশ্লেষণ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক বছরের মধ্যে ইরাক ও সিরিয়ার কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দুটি শহর নিজেদের দখলে নিয়েছে আইএস—ইরাকের রাজধানী বাগদাদের পশ্চিমের শহর রামাদি এবং সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উত্তর-পূর্বের পালমিরা। এই দুই শহরের রাস্তাগুলো শত্রুর রক্তে রাঙিয়ে বিজয়ের আনন্দে ভাসছে আইএসের সদস্যরা। আর ঘোষণা দেওয়ার পরও আইএসকে মোকাবিলা করতে না পারার ব্যর্থতার সমালোচনা সইতে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রকে।
আইএস সুন্নিপন্থী। ইরাকে সুন্নি-অধ্যুষিত এলাকাগুলো আইএস একরকম বিনা বাধায় নিজেদের দখলে নিতে পেরেছে। ইরানের শিয়াপন্থী মিলিশিয়াদের সমর্থন নিয়ে ইরাকের শিয়া সরকার আইএসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিল। তবে তা সফল হয়নি।
সিরিয়ার ঘটনাটা আবার বেশ জটিল। সেখানে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সমর্থন দিচ্ছে ইরান। যুক্তরাষ্ট্র বাশারকে হটাতে বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি যখন এমন, তখন এর ভেতরে ঢুকে পড়েছে আইএস। সিরিয়ায় তাই কৌশলগত বেকায়দায় পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা বাশারের পক্ষেও না, আবার বাশারের বিপক্ষে থাকা আইএসের পক্ষেও না। যুক্তরাষ্ট্র তাই কঠোর কোনো অবস্থান নিতে পারছে না। এই সুযোগটিই কাজে লাগিয়ে সিরিয়ায় নিজেদের অবস্থান শক্ত করছে আইএস। ইরাক ও সিরিয়া—দুই দেশেই এই জঙ্গি সংগঠনটি কুর্দিদের সঙ্গে লড়েছে।
এখন দেখার বিষয় হচ্ছে, যে স্থানগুলো আইএস নিজেদের জিম্মায় নিয়েছে, সেখানে কেমন শাসন তারা প্রতিষ্ঠা করে এবং বাসিন্দারা সেটা কীভাবে নেয়।
ওয়াশিংটন ডিসিতে এডুকেশন ফর পিস ইন ইরাক সেন্টারের সিনিয়র ফেলো আহমেদ আলী বলেন, রামাদি ও পালমিরা নিজেদের দখলে রাখাই আইএসের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এর আগে আইএসের একটা লক্ষ্য ছিল, এখানে নিজেদের দখলদারি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এখন যখন এসব এলাকা নিজেদের দখলে এসেছে, তখন এটা রক্ষা করার কাজেই বেশি মনোযোগ দিতে হবে।
গত বছরের জুনে এই খিলাফত রাষ্ট্র গঠনের ঘোষণা দেয় জঙ্গিরা। আবু বকরের নেতৃত্বাধীন এই জঙ্গিগোষ্ঠীটি এরই মধ্যে তাদের ‘রাষ্ট্র’ সম্প্রসারণ করা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে।
আইএসের জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটের বিমান হামলার তেমন সাফল্য নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লড়াইয়ের মাঠে বিশ্বাসযোগ্য স্থলবাহিনীর অভাব এবং তুলনামূলক দুর্বল গোয়েন্দা তথ্যের কারণে এমনটা হচ্ছে। এর বিপরীতে আইএস কৌশলগতভাবে সেসব এলাকায় তাদের সম্প্রসারণ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে, যেখানে স্থানীয় সরকার ও নিরাপত্তাব্যবস্থা দুর্বল। কোনো এলাকা দখলে নিতে পারলে সেখানে নিজেদের শাসনব্যবস্থা চালু করছে আইএস। এভাবে আইএস যেখানে আধিপত্য বিস্তারে সক্ষম হচ্ছে, সেখানেই শক্ত খুঁটি গেড়ে বসছে। কাজেই তাদের ক্ষমতায় সীমাবদ্ধতা থাকলেও শেকড় কিন্তু কম শক্ত নয়। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জন্য এই শেকড় ওপড়ানো সহজ কথা নয়।
No comments