যেখানকার শিশুরা পড়ে না...
কাশিয়া কাটায় ব্যস্ত এক শিশু। ছবিটি গত শনিবার তোলা l প্রথম আলো |
কাস্তে
হাতে চরের জমির আইল দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছিল দুই শিশু। ডাকলে চিৎকার করে জবাব
দেয়, সময় নাই। আবার কী মনে করে একজন থেকে বলে, ‘কী কবার চান তাড়াতাড়ি
কন।’ জানতে চাই, কোথায় যাও। উত্তর আসে, ‘ঘাস কাটবার’। জানতে চাই, স্কুলে
যাও না? বলে, ‘হামার চরত স্কুল নাই।’ যার সঙ্গে এ আলাপচারিতা তাঁর নাম কদু।
বয়স আট। বাড়ি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র
নদবেষ্টিত পার্বতীপুর চরে।
এ রকম কদুর মতো পার্বতীপুর চরের কোনো শিশুই লেখাপড়া শিখতে বিদ্যালয়ে যায় না। কারণ চরটিতে কোনো বিদ্যালয় নেই।
এখানকার কৃষক সোলেমান মুন্সি (৭৫) বলেন, চরে শতাধিক পরিবারে বিদ্যালয় যাওয়ার মতো বয়সী ১৮৬টি শিশু আছে। এর মধ্যে ৯৯টি ছেলে ও ৮৯টি মেয়ে। চরে লেখাপড়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এসব শিশু নানা ধরনের কাজে নিয়োজিত। ছেলেরা বেশির ভাগই গরুর ঘাস কাটে, মাছ ধরে ও গরু চরায়। অনেকে কাজের খোঁজে শহরেও গেছে। মেয়েরা গৃহস্থালি কাজকর্মই বেশি করে। বিদ্যালয় না থাকায় এখানে বাল্যবিবাহের সংখ্যাও বেশি।
স্থানীয় বাসিন্দা খোকা মণ্ডল বলেন, দুই বছর আগে হংকংয়ের এক ব্যবসায়ী ২৫ ফুট দীর্ঘ একটি টিনশেড ঘর করে একটি বিদ্যালয় বানিয়ে দিয়েছিলেন। সেখানে শতাধিক শিশু লেখাপড়া করত। এক মাসের বেতন দেওয়ার পর আর টাকা দেননি তিনি। খোকা মণ্ডল বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি পাঠদান চালু রাখতে। কিন্তু গরিব মানুষ কত দিন বিনা পয়সায় চালাই। দুই মাস চলার পর বিদ্যালয়টি বন্ধ হয়ে যায়।’
যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল গফুর জানান, ‘স্কুলের বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। কিছুই হচ্ছে না।’
এ রকম কদুর মতো পার্বতীপুর চরের কোনো শিশুই লেখাপড়া শিখতে বিদ্যালয়ে যায় না। কারণ চরটিতে কোনো বিদ্যালয় নেই।
এখানকার কৃষক সোলেমান মুন্সি (৭৫) বলেন, চরে শতাধিক পরিবারে বিদ্যালয় যাওয়ার মতো বয়সী ১৮৬টি শিশু আছে। এর মধ্যে ৯৯টি ছেলে ও ৮৯টি মেয়ে। চরে লেখাপড়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এসব শিশু নানা ধরনের কাজে নিয়োজিত। ছেলেরা বেশির ভাগই গরুর ঘাস কাটে, মাছ ধরে ও গরু চরায়। অনেকে কাজের খোঁজে শহরেও গেছে। মেয়েরা গৃহস্থালি কাজকর্মই বেশি করে। বিদ্যালয় না থাকায় এখানে বাল্যবিবাহের সংখ্যাও বেশি।
স্থানীয় বাসিন্দা খোকা মণ্ডল বলেন, দুই বছর আগে হংকংয়ের এক ব্যবসায়ী ২৫ ফুট দীর্ঘ একটি টিনশেড ঘর করে একটি বিদ্যালয় বানিয়ে দিয়েছিলেন। সেখানে শতাধিক শিশু লেখাপড়া করত। এক মাসের বেতন দেওয়ার পর আর টাকা দেননি তিনি। খোকা মণ্ডল বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি পাঠদান চালু রাখতে। কিন্তু গরিব মানুষ কত দিন বিনা পয়সায় চালাই। দুই মাস চলার পর বিদ্যালয়টি বন্ধ হয়ে যায়।’
যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল গফুর জানান, ‘স্কুলের বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। কিছুই হচ্ছে না।’
No comments